পিএসজি অধ্যায় শেষ করেছেন লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপজয়ী আলবিসেলেস্তে অধিনায়কের নতুন ঠিকানা এখন আমেরিকায়। সেখানকার পেশাদার ফুটবল লিগ মেজর লিগ সকারের দল ইন্টার মিয়ামির হয়ে খেলবেন এ আর্জেন্টাইন তারকা। দলটির সাথে চুক্তি সম্পন্ন করবেন দ্রুতই। আসছে জুলাইয়েই মিয়ামির হয়ে অভিষেক হতে পারে তার। তবে এর আগে জাতীয় দলের দায়িত্বে চীনের রাজধানী বেইজিং এ পৌঁছেছেন তিনি। আর সেখানেই বিমানবন্দরে দুই ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়েছে আর্জেইন্টাইন ফুটবল জাদুকরকে।
আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলের এশিয়া সফরের অংশ হিসেবেই মেসির এবার চীনে আসা। আসছে ১৫ জুন বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে মেসিদের এ সফর। বেইজিং এর ওয়ার্কার্স স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এ ম্যাচ। এরপর ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে প্রীতিম্যাচ খেলতে দেশটিতে উড়াল দেবেন তারা। জাতীয় দলের হয়ে খেলতে কয়েকজন সতীর্থ সহ ব্যক্তিগত জেট বিমানে করে চীনের বিমানবন্দরে পৌঁছেন মেসি। কিন্তু সেখানে পাসপোর্ট-ভিসা সংক্রান্ত জটিলতায় বিমানবন্দরে আটকে থাকতে হয় তাকে। আর এখানে ভুলটা ছিল খোদ আর্জেন্টাইন অধিনায়কেরই।
নিজের মাতৃভূমি আর্জেন্টিনা ছাড়াও স্প্যানিশ নাগরিকত্বও রয়েছে বিশ্বকাপজয়ী তারকা মেসির। তাই পাসপোর্টও তার দুইটি। আর নিজ দেশের হয়ে খেলতে চীন সফরে মেসি সঙ্গে নিয়ে গেছেন তার স্প্যানিশ পাসপোর্ট। তাতেও হয়তো সমস্যায় পড়তে হতো না যদি তিনি আগে থেকেই ভিসা নিয়ে রাখতেন।
স্পেনের নাগরিকদের চীন ভ্রমণ করতে হলে অবশ্যই ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। চীন সরকার ভিসা অনুমোদন করলে তবেই দেশটিতে প্রবেশ করতে পারে তারা। কিন্তু তাইওয়ানে যেতে হলে অবশ্য কোনো রকম ভিসা প্রয়োজন হয় না স্পেনের নাগরিকদের। ঠিক এখানেই গুলিয়ে ফেলেছিলেন অলবিসেলেস্তে অধিনায়ক।
চীন ও তাইওয়ানকে এক ভেবে বসেছিলেন মেসি। তাই কোনো ভিসা অনুমোদনও নেন নি তিনি। আর তাই মেসিকে শুরুতেই দেশটিতে ঢুকতে দেয়নি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। পরে অবশ্য জরুরি ভিত্তিতে মেসির জন্য ভিসা অনুমোদন করে হয় এবং তারপরই দেশটিতে ঢুকতে পারেন তিনি। বিমানবন্দরে আটকে থাকার পুরো সময়েই মেসির সাথে ছিলেন তার সতীর্থরা। source : dhakamail