নিজস্ব প্রতিনিধি: জমকালো আয়োজনের মধ্যদিয়ে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে রাতব্যাপী শর্ট পিচ মিনি নাইট ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। এম.কে. মোজাইকের সহযোগিতায় ও বাগবাড়িয়ানদের আয়োজনে জে, বি রোডস্থ ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজর মাঠে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্ট দেখকে ভিড় জমায় কয়েক শত দর্শক। চার হাঁকালে বা আউটের সময়ে করতালি আর চিৎকার ধ্বনিতে খেলোয়াদের উৎসাহ জোগান দর্শকরা। এদের প্রায় সবাই বয়সে শিশু-কিশোর ও যুবক। আর এসব কিশোর-যুবাদের সঙ্গে রাত জেগে খেলা উপভোগ করলেন ক্রীড়ামোদি প্রবীণরাও। তারাও খেলার জমজমাট মুহূর্তগুলোতে করতালিতে সরব ছিলেন দর্শক সারিতে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে এমনই এক প্রাণবন্ত মিনি ক্রিকেট নাইট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম শিবলু, ইউনিয়ন ব্যাংক জকসিন শাখার ম্যানেজার মোহাম্মদ রেজাউল হাসান টিটু, বিআরডিবির ভাইস চেয়ারম্যান ইবনে জিসাদ আল নাহিয়ান, কেয়ার স্পেশালাইজড হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মুজিবুর রহমান, এম.কে.মোজাইকের পরিচালক রিয়াদ মিঝি, কামরুল হাসান শুভ, স্বাধীন বাংলা ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংঘের সভাপতি মো. রিয়াদ হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শিমু রেজা, বিশিষ্ট সমাজ সেবক মো. শাকিল মোহন, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক সেবাব নেওয়াজ, সদর উপজেলা ছাত্র লীগের যুগ্ম-আহবায়ক আবদুল্ল্যাহ আল মামুন জুয়েল, সাংবাদিক মেহরাজ উদ্দিন রবিন।
ব্যতিক্রমী এই আয়োজনে মুগ্ধ পৌর মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া তার প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, রাতে উৎসবমুখর পরিবেশে এই ক্রিকেট টুর্নামেন্ট দেখে আমি অভিভূত। এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের উপহার। ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি আজকের এই খেলার মাঠে ফুটে উঠেছে। এ ধরনের আয়োজন তরুণ প্রজন্মকে খেলাধূলায় আগ্রহ সৃষ্টি করবে বলে আশা করছি।
এর আগে করিমুল হক কনক কারি ও মো. আলমের শ্রুতিমধুর ধারাভাষ্যে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে আম্প্যায়ার হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আয়োজক কমিটির সদস্যরা। এই টুর্নামেন্টে চেয়ারম্যান একাদশের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্র্ণ খেলায় চ্যাম্পিয়ন হয় খন্দকার একাডেমী।
ম্যাচ শেষে মঙ্গলবার সকালে আয়োজক কমিটির উপস্থিতিতে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের হাতে পুরস্কার এবং প্রাইজমানি তুলে দেন অতিথিরা।
এ বিষয়ে আয়োজক কমিটির সদস্য সানি, ফয়সাল ও রাসেল জানান, মূলত সকলের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে তরুণদের নিয়ে এই খেলার আয়োজন করা হয়েছে। মোট ২৪টি দল খেলায় অংশগ্রহণ করে। প্রতিটি ম্যাচই বেশ উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে শুরু ও শেষ হয়েছে।