নিজস্ব প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরে লীজকৃত জমি বেদখল হওয়ার ১৭ দিনের মাথায় উদ্ধার অভিযানে নামলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ।সোমবার (৯ জুলাই) বিকেলে লক্ষ্মীপুর চকবাজারস্থ অঙ্গশোভা ভবনে অভিযান চালিয়ে বন্দোবস্ত সূত্রে পাওয়া জমিতে আল মামুন পোষাক বিতান নামীয় দোকানটি সরকারের দখলে নেয়। এ সময় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অভিযান পরিচালনা করেন সদর উজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুর রহমান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিদাস
জানাগেছে, ১৯৭৯ সালে আবদুল বাতেন ভূঁইয়া সরকার থেকে বন্দোবস্ত সূত্রে পাওয়া মালিকানা জমির দোকান ঘর জোরপূর্বক দখল নেওয়ার অভিযোগ অঙ্গোশোভার মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে। বেদখল হওয়া জমি উদ্ধারে ভূক্তভোগী এ্যাডভোকেট মোরশেদ আলম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অভিযোগ করেন। অভিযান চলাকালে বেদখল হওয়া লীজ জমিতে থাকা দোকানটির শার্টারের তালা ভেঙ্গে সরকারের পক্ষে দখল নেয়। এ সময় দোকানের ভেতরে থাকা মালামাল সরিয়ে না নেওয়ায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান ঘটনাস্থলে এসে ২৪ ঘন্টার মধ্যে দোকান থেকে মালামাল সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয় অঙ্গোশোভা কর্তৃপক্ষকে।
লীজকৃত জমির মালিক এ্যাডভোকেট মোরশেদ আলম জানান, তার বাবা আবদুল বাতেন ভূঁইয়া মিছ ২/৭৯-৮০ইং মুলে .০০৫ শতাংশ জমি বন্দোবস্ত সূত্রে মালিক হয়ে প্রথমে টিনের ব্যবসা পরে আল মামুন পোষাক বিতান দিয়ে কাপড়ের ব্যবসা করে আসছে। তারা দোকানের ডেকোরেশন কাজ করতে গেলে গত ২২ জুন রাতে অঙ্গোশোভা পোষাক বিতানের মালিকপক্ষের লোকজন তাদের মারধর দিয়ে বের করে দেয়। তারা দোকানের দুটি শার্টারে তালা লাগিয়ে আল মামুন পেষাক বিতান নাম মুছিয়ে অঙ্গোশোভা পোষাক বিতান স্টিকার লাগায়।
অঙ্গোশোভার মালিকের ছেলে জিহাদ হোসেন জানান, কোন নোটিশ না দিয়ে হঠাৎ তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে দোকান দখল নেওয়ায় এর বিরুদ্ধে তারা আইনী প্রক্রিয়ায় যাওয়ার কথা জানান। এছাড়া তিনি বলেন, এ দোকান অধিগ্রহনের কারণে তাদের নামে ২০ লাখ টাকা এ্যালটমেন্ট হয়েছে। তার দাবী আল মামুন পোষাক বিতান নামীয় দোকানের জমির মালিক তার বাবা মোঃ সেলিম।
পিসি সরকার জানান, বেদখল হওয়া আল মামুন পোষাক বিতান নামীয় দোকানের জমি তাদের জমি। তার পিতা এ জমির মালিক। তিনি অঙ্গশোভার মালিক ফিরোজ আলমের সাথে এ জমি বিক্রির জন্য প্রাথমিক চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা আরিফুর রহমান জানান, ১৯৭৯ সালে এ জমি লীজ দেওয়া হয়েছে। ৩০ শে জুন রাতের আঁধারে জমিটি অঙ্গশোভা মালিপক্ষ আমাদের লীজ গ্রহিতাকে বেদখল করেছে। তারা দখলের বিষয়টি ডিসি স্যারের কাছে স্বীকার করে জমি মাপার পর তাদের দখলে থাকলে ছেড়ে দিবে। এখন জমিটি উদ্ধার করে লীজ গ্রহিতাকে বুঝিয়ে দেব। দোকানে রাখা মালামাল তাদেরকে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।