শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কোটা আন্দোলন সহিংসতায় নিহতদের জন্য বিশষ দোয়ার আয়োজন করেন লক্ষ্মীপুর পৌর মেয়র   লক্ষ্মীপুরে শ্রমজীবী কর্মহীন মানুষের মাঝে যুবলীগ নেতার খাবার বিতরণ করেন লক্ষ্মীপুরে শ্রমজীবী কর্মহীন ও পথচারিদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন পৌর মেয়র দেশব্যাপী জামায়াত,বিএনপির সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ কোটা ব্যবস্থা সংস্কার লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল লক্ষ্মীপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন লক্ষ্মীপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন লক্ষ্মীপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করলেন পারুল এমপি বিনামূল্যে ৮ শতাধিক রোগীর চিকিৎসা সেবা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে-আবু হেনা মোরশেদ

অপহরণ করে অনলাইনে শিশু বি‌ক্রি করতেন তারা!

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৯ মে, ২০২৩
  • ৩৫ বার পড়া হয়েছে

মোহাম্মদপুর থেকে অপহরণ করা তিন বছরের একটি শিশুকে ২২ দিন পর গোপালগঞ্জ থেকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-২)। শিশু সিদ্দিককে অপহরণের পর অনলাইনে বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে র‌্যাব। পরে শিশুর নাম পাল্টে দুই লাখ টাকায় স্ট্যাম্প করে বিক্রি করে দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় ঢাকা ও গোপালগঞ্জে অভিযান চালিয়ে শিশু অপহরণকারী চক্রের হোতা পীযূষ দম্পতিকে ও শিশুটির ক্রেতাসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। আটকরা হলেন- অপহরণকারী ব্যক্তি পীযূষ কান্তি পাল (২৯) ও তার সহযোগী স্ত্রী রিদ্ধিতা পাল (২৫), সুজন সুতার (৩২), পল্লব কান্তি বিশ্বাস (৫২) এবং তার স্ত্রী বেবী সরকার (৪৬)।

আজ শুক্রবার (১৯ মে) দুপুরে কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র‌্যাব-২-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন খান।

ঘটনার বর্ণনায় তিনি বলেন, গত ২৬ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন ঢাকা উদ্যানের মনির মিয়ার বাজার সংলগ্ন মো. দেলোয়ার হোসেনের বড় মেয়ে হুমায়রা (৮) ও তার ছোট ছেলে মো. সিদ্দিকসহ (৩) আরো ৭-৮ শিশু-কিশোর খেলা করছিল। এ সময় এক ব্যক্তি সব শিশুকে চকোলেট খাওয়ায়।

একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি দেলোয়ার হোসেনের বড় মেয়েকে বলে তুমি বাসায় চলে যাও আমি তোমার ভাইয়াকে বাজার থেকে আম কিনে দেব। শিশুটির বড় বোন যেতে না চাইলে তাকে ধমক দিয়ে বাসায় চলে যাওয়ার জন্য বলে। আর ছোট ভাই তিন বছরের শিশু সিদ্দিককে বাজার থেকে আম কিনে দেওয়ার কথা বলে অপহরণ করে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় হুমায়রা ভয়ে কান্নাকাটি করতে করতে বাসায় চলে যায়।

ভুক্তভোগী শিশুর মা কাজ শেষে বাসায় এলে মেয়ে হুমায়রা বিষয়টি তার মাকে জানায়। তাৎক্ষণিক ভুক্তভোগীর মা তার স্বামীকে জানায় এবং আশপাশে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। খোঁজাখুঁজি করেও ছেলের সন্ধান না পেয়ে মোহাম্মদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তারা।র‌্যাব-২-এর অধিনায়ক বলেন, পরবর্তী সময়ে ২৯ এপ্রিল অপহৃত শিশুটির বাবা দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেন। জিডির পর থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে অপহৃত শিশু উদ্ধারে তৎপর হয় র‌্যাব-২।

র‌্যাব-২ ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ, পর্যালোচনা, বিভিন্ন সোর্স ও তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে জানতে পারে, অপহরণকারী ব্যক্তি পীযূষ কান্তি পাল ও তার সহযোগী স্ত্রী রিদ্ধিতা পাল। পীযূষ দম্পতি শিশুটিকে বিক্রির জন্য সুজন সুতার নামের ব্যক্তির মাধ্যমে পল্লব কান্তি বিশ্বাস ও তার স্ত্রী বেবী সরকার দম্পতির কাছে দুই লাখ টাকায় বিক্রি করে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রথমে সুজন সুতারকে রাজধানীর শাহবাগ এলাকা থেকে আটক করা হয়। পরবর্তী সময়ে তার দেওয়া তথ্য মতে, অপহৃত শিশুকে গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানাধীন তাড়াসি গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে সুজন সুতারের নিকটআত্মীয় পল্লব কান্তি বিশ্বাস ও তার স্ত্রী বেবী সরকার দম্পতির কাছ থেকে অপহৃত শিশু সিদ্দিককে (৩) অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

পরবর্তী সময়ে ঢাকার সাভার এলাকায় অপর একটি অভিযান পরিচালনা করে অপহরণকারী চক্রের হোতা পীযূষ কান্তি পাল ও তার স্ত্রী রিদ্ধিতা পালকে আটক করা হয়।

আটক পীযূষ কান্তি পাল ও তার স্ত্রী রিদ্ধিতাকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, পীযূষ কান্তি পাল একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ পড়াকালীন একটি স্পা সেন্টারে কাজ করতেন। স্পা সেন্টারে কাজ করার সময় রিদ্ধিতা পালের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ২০২০ সালে তারা বিয়ে করেন।

মূলত স্পা সেন্টারে কাজ করার সময় থেকে পীযূষ কান্তি পাল মানবপাচারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ২০২২ সালের মে মাসে মানবপাচারের অভিযোগে বনানী থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। মামলায় গ্রেপ্তারের পর তিনি কিছুদিন জেলহাজতে থাকার পর জামিনে বের হন।

পীযূষ ও তার স্ত্রী রিদ্ধিতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘সনাতনী উদ্যেক্তা ফোরাম’ নামে একটি গ্রুপের মাধ্যমে সন্তান বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে আসছিল। আটক সুজন সুতারের সঙ্গে ওই ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে রিদ্ধিতা পালের পরিচয় হয়।

অতিরিক্ত ডিআইজি আনোয়ার হোসেন খান বলেন, পীযূষ পাল ও রিদ্ধিতা পাল বাচ্চা বিক্রির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে শিশু অপহরণ করে থাকে। ২৬ এপ্রিল পীযূষ কান্তি পাল সাভার এলাকা থেকে ১২টার দিকে ঢাকা উদ্যান এলাকায় আসে। সাড়ে ১২টার দিকে শিশু সিদ্দিককে রাস্তায় চকোলেটের লোভ দেখিয়ে কোলে নিয়ে সিএনজিযোগে গাবতলী হয়ে সাভার তার বাসায় নিয়ে যায়।

পরবর্তী সময়ে ওই দিনই রিদ্ধিতা পাল সুজনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে আগারগাঁও আইডিবি ভবনের সামনে একটি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে রিদ্ধিতা পাল নিজেকে অর্পণা দাস ও পীযূষ কান্তি পাল নিজেকে বিজন বিহারী পাল পরিচয় দেন। শিশু সিদ্দিককে প্রণিল পাল নাম দিয়ে স্ট্যাম্প করে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে সুজনের কাছে বিক্রি করে দেন। প্রমাণস্বরূপ প্রণিল পালের টিকা কার্ড, রিদ্ধিতা পালের জন্ম সনদ এবং বিজন বিহারী পালের আইডি কার্ডের ফটোকপি প্রদান করেন।

আটক সুজন সুতার জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তার নিকটাত্মীয় পল্লব কান্তি বিশ্বাসের স্ত্রীর বড় বোন বেবি সরকারের একটি সন্তান প্রয়োজন হয়। পরে সুজন সুতার পীযূষ কান্তি পাল ও তার স্ত্রী রিদ্ধিতা পালের কাছ থেকে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে অপহৃত শিশু মো. সিদ্দিককে কিনে নেন। পরে ২৬ এপ্রিল রাতের বেলা সিদ্দিককে গোপালগঞ্জ দিয়ে আসেন।   সুত্র: কালেরকণ্ঠ

 

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের নামাজের সময়সুচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:০৪ পূর্বাহ্ণ
  • ১২:০৮ অপরাহ্ণ
  • ১৬:৪৩ অপরাহ্ণ
  • ১৮:৪৯ অপরাহ্ণ
  • ২০:১১ অপরাহ্ণ
  • ৫:২৪ পূর্বাহ্ণ
কপিরাইট © ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
themesba-lates1749691102