বুধবার (১০ মে) দুপুরের আগেই সৃষ্টি হতে পারে ঘূর্ণিঝড় মোখা। বঙ্গোপসাগরে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে সৃষ্টি হওয়া সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটিই পরে ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হবে। মঙ্গলবার (৯ মে) রাত সোয়া ৯টায় নিজের ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানিয়েছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ। তিনি লিখেছেন, আজ রাত ৮টার দিকে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে সৃষ্টি হওয়া সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটা পরে গভীর ও গভীরতর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে পূর্ণাঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। আগামীকাল দুপুরের আগেই ঘূর্ণিঝড়টি (নামকরণ করা হয়েছে মোখা) সৃষ্টির আশঙ্কা করা যাচ্ছে। এর আগে আরেক পূর্বাভাসে তিনি জানিয়েছিলেন, সুস্পষ্ট নিম্নচাপ কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪৩ থেকে ৫২ কিলোমিটার পরিমাপ করা হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে নিম্নচাপ কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬৩ কিলোমিটার কিংবা তা অপেক্ষা বেশি হলে পূর্ণাঙ্গ ঘূর্ণিঝড় নামকরণ করা হবে। সুস্পষ্ট নিম্নচাপটি বর্তমানে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে উত্তরদিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং আগামী ২৪ ঘণ্টা তা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার (৯ মে) দুপুর ৩টার সময় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ইন্টিগ্রেটেড ফরকাস্টিং সিস্টেম নামক আবহাওয়া মডেল থেকে প্রাপ্ত ঘূর্ণিঝড় মোখার ৫১টি সম্ভাব্য যাত্রাপথের বেশিভাগ পথ নির্দেশ করছে ঘূর্ণিঝড় মোখার চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করার সর্বোচ্চ আশঙ্কা রয়েছে। বেশিরভাগ এনসেম্বল সদস্য নির্দেশ করছে, স্থলভাগে আঘাতের সময় ঘূর্ণিঝড় মোখার বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ১৫০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার। মোখা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপকূলের উপর দিয়ে অতিক্রম করার সময় এই দুই জেলার উপকূলীয় এলাকাগুলো ১৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোখার কেন্দ্র কক্সবাজার জেলার সেন্টমার্টিন দ্বীপ, টেকনাফ, কুতুবদিয়া ও মহেশখালী উপজেলার উপর দিয়ে অতিক্রম করার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা টেকনাফ উপজেলায় অবস্থিত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোর উপর দিয়ে অতিক্রম করার আশঙ্কা প্রবল।