Dhaka , শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এদেশের মানুষের হৃদয়ে শেখ হাসিনার নাম থাকবে না: এ্যানি চৌধুরী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ১৭ বছর পর লক্ষ্মীপুরে প্রকাশ্যে শিবিরের র‍্যালি  শিক্ষার্থীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা বিএনপির পক্ষেই সম্ভব..এ্যানি কমলনগর ইউএনও’র বদলি প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন, লক্ষ্মীপুরে সাংবাদিকদের ওপর হামলা :৪ সাংবাদিক আহত লক্ষ্মীপুর জামীরতলী দারুসুন্নাহ ইসলামিায়া আলিম মাদ্রাসার পুস্কার বিতরণ ভূমি অফিসার্স কল্যাণ সমিতির লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার,সভাপতি আলী, সম্পাদক ফারুক লক্ষ্মীপুরে ব্যতিক্রমী আয়োজনে সুন্নাতে খাতনা গাজী কমপ্লেক্স ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির সভাপতি আরিফ, সম্পাদক শিপন। কমলনগরে ইউনিয়ন কৃষক দলের কৃষক সমাবেশ

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভ-সহিংসতায় নিহত ১১

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুন ২০২০
  • ৫৭ Time View

অনলাইন ডেস্ক :  শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার হাতে কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন নাগরিক জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব শহরে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভে সহিংসতায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন।

বুধবার (৩ জুন) রুশ বার্তাসংস্থা তাস এ তথ্য জানায়।

বিক্ষোভে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে শিকাগো, ডেট্রয়েট, ওমাহা, ডেভেনপোর্ট, ওকল্যান্ড, ল্যুইভিলের বাসিন্দা রয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই আফ্রিকান আমেরিকান।

ওকল্যান্ডে ফেডারেল প্রোটেকটিভ সার্ভিস অফিসার ৫৩ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ ডেভ প্যাট্রিক আন্ডারউড গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। এসময় আরেকজন অফিসার গুরুতর আহত হন।

ওমাহায় ২২ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ জেমস স্কারলক নিহত হয়েছেন। তিনি ও তার দল একজন শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তিকে মারধর করছিলেন। এসময় ওই ব্যক্তি স্কারলককে লক্ষ্য করে গুলি করলে তার মৃত্যু হয়।

এছাড়া, বিক্ষোভে সহিংসতায় যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকশ’ মানুষ আহত হলেও তাদের সঠিক সংখ্যা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সংবাদমাধ্যম এপির তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েকদিনের বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৪ হাজার ৪শ’ মানুষকে আটক করা হয়। তাদের বেশিরভাগই লুট, কারফিউ ভঙ্গ এবং সড়কে ব্যারিকেড দেওয়ার অপরাধে আটক হয়েছেন। বিক্ষোভ দমনে ওয়াশিংটন, লস এঞ্জেলেস, নিউইয়র্কসহ ৪০টিরও বেশি শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে।

২৫ মে মিনিয়াপোলিসে শ্বেতাঙ্গ এক পুলিশ কর্মকর্তার হাতে ৪৬ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মিনিয়াপোলিসসহ যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি শহরে পুলিশি সহিংসতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়।

ভিডিওতে দেখা গেছে, পুলিশের এক কর্মকর্তা ফ্লয়েডের ঘাড়ের ওপর হাঁটু দিয়ে তাকে মাটিতে চেপে ধরে রেখেছেন। এসময় ফ্লয়েড বলেছেন, ‘প্লিজ, আমি শ্বাস নিতে পারছি না’, ‘আমাকে মারবেন না।’

ফ্লয়েডের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি ২০ ডলারের একটি জালনোট ব্যবহার করেছিলেন। তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের গাড়িতে নেওয়ার আগে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবি, হাতকড়া পরাতে বাধা দিচ্ছিলেন তিনি।

তবে পুলিশের সঙ্গে ফ্লয়েড কীভাবে সংঘর্ষে জড়ালেন তা ভিডিওতে দেখা যায়নি।

এ ঘটনায় নিরস্ত্র ফ্লয়েডের ঘাড়ের ওপর হাঁটু রাখা ৪৪ বছর বয়সী পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শভিনসহ চারজন পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ফ্লয়েডকে হত্যার অভিযোগে ডেরেক শভিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Tag :
About Author Information

এদেশের মানুষের হৃদয়ে শেখ হাসিনার নাম থাকবে না: এ্যানি চৌধুরী

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভ-সহিংসতায় নিহত ১১

Update Time : ১১:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুন ২০২০

অনলাইন ডেস্ক :  শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার হাতে কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন নাগরিক জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব শহরে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভে সহিংসতায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন।

বুধবার (৩ জুন) রুশ বার্তাসংস্থা তাস এ তথ্য জানায়।

বিক্ষোভে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে শিকাগো, ডেট্রয়েট, ওমাহা, ডেভেনপোর্ট, ওকল্যান্ড, ল্যুইভিলের বাসিন্দা রয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই আফ্রিকান আমেরিকান।

ওকল্যান্ডে ফেডারেল প্রোটেকটিভ সার্ভিস অফিসার ৫৩ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ ডেভ প্যাট্রিক আন্ডারউড গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। এসময় আরেকজন অফিসার গুরুতর আহত হন।

ওমাহায় ২২ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ জেমস স্কারলক নিহত হয়েছেন। তিনি ও তার দল একজন শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তিকে মারধর করছিলেন। এসময় ওই ব্যক্তি স্কারলককে লক্ষ্য করে গুলি করলে তার মৃত্যু হয়।

এছাড়া, বিক্ষোভে সহিংসতায় যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকশ’ মানুষ আহত হলেও তাদের সঠিক সংখ্যা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সংবাদমাধ্যম এপির তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েকদিনের বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৪ হাজার ৪শ’ মানুষকে আটক করা হয়। তাদের বেশিরভাগই লুট, কারফিউ ভঙ্গ এবং সড়কে ব্যারিকেড দেওয়ার অপরাধে আটক হয়েছেন। বিক্ষোভ দমনে ওয়াশিংটন, লস এঞ্জেলেস, নিউইয়র্কসহ ৪০টিরও বেশি শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে।

২৫ মে মিনিয়াপোলিসে শ্বেতাঙ্গ এক পুলিশ কর্মকর্তার হাতে ৪৬ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মিনিয়াপোলিসসহ যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি শহরে পুলিশি সহিংসতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়।

ভিডিওতে দেখা গেছে, পুলিশের এক কর্মকর্তা ফ্লয়েডের ঘাড়ের ওপর হাঁটু দিয়ে তাকে মাটিতে চেপে ধরে রেখেছেন। এসময় ফ্লয়েড বলেছেন, ‘প্লিজ, আমি শ্বাস নিতে পারছি না’, ‘আমাকে মারবেন না।’

ফ্লয়েডের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি ২০ ডলারের একটি জালনোট ব্যবহার করেছিলেন। তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের গাড়িতে নেওয়ার আগে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবি, হাতকড়া পরাতে বাধা দিচ্ছিলেন তিনি।

তবে পুলিশের সঙ্গে ফ্লয়েড কীভাবে সংঘর্ষে জড়ালেন তা ভিডিওতে দেখা যায়নি।

এ ঘটনায় নিরস্ত্র ফ্লয়েডের ঘাড়ের ওপর হাঁটু রাখা ৪৪ বছর বয়সী পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শভিনসহ চারজন পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ফ্লয়েডকে হত্যার অভিযোগে ডেরেক শভিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।