শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কোটা আন্দোলন সহিংসতায় নিহতদের জন্য বিশষ দোয়ার আয়োজন করেন লক্ষ্মীপুর পৌর মেয়র   লক্ষ্মীপুরে শ্রমজীবী কর্মহীন মানুষের মাঝে যুবলীগ নেতার খাবার বিতরণ করেন লক্ষ্মীপুরে শ্রমজীবী কর্মহীন ও পথচারিদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন পৌর মেয়র দেশব্যাপী জামায়াত,বিএনপির সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ কোটা ব্যবস্থা সংস্কার লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল লক্ষ্মীপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন লক্ষ্মীপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন লক্ষ্মীপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করলেন পারুল এমপি বিনামূল্যে ৮ শতাধিক রোগীর চিকিৎসা সেবা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে-আবু হেনা মোরশেদ

লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতা হত্যার সাড়ে ৯ বছর পর ১২ আসামীকে খালাস দিয়েছে আদালত :

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২২ মে, ২০২৩
  • ৬৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা মিরাজুল ইসলাম মিরাজ(২৬) হত্যার সাড়ে ৯ বছর পর মামলার ১২ আসামীকে খালাস দিয়েছে আদালত। মিরাজ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

আজ (২২ মে) সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। রায়ের সময় ১১ আসামী আদালতে উপস্থিত থাকলেও পলাতক ছিলো এ মামলার অন্যতম আসামী তানজীদ হায়দার রিয়াজ।

জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, হত্যা মামলায় ১৭ জন স্বাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তবে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কোন স্বাক্ষী ছিল না। এছাড়া মামলার কোন আসামীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও ছিল না। তাই মামলার বাদি এবং স্বাক্ষীদের সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে ১২ জন আসামীর বিরুদ্ধে হত্যায় সম্পৃক্ততার বিষয়টি প্রমানিত হয়নি। আদালতের বিচারক দীর্ঘ শুনানি শেষে সাড়ে ৯ বছর পর এ রায় দিয়েছেন।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, রিয়াজ (৩৫), মোস্তফা কামাল (৫৭), হারুন ওরফে ডাইল হারুন (৪৩), জহির (৩৫), রফিক উল্লা (৪৫), রাকিব হোসেন রাজু ওরফে ইয়াবা রাজু (৪০), মাসুদ (৩৯), সোহেল (৩২), মুসলিম (৩২), মো. তানজিল হায়দার রিয়াজ (৩২), জাহাঙ্গীর (৪৫), নূরে হেলাল মাসুদ (৩৯)। এরা সকলে রায়পুর উপজেলার পৌরসভার দেনায়েতপুর গ্রাম, বামনী, কেরোয়া ও সদর উপজেলার হাসন্দী গ্রামের বাসিন্দা।

রায়ের পর বাদি পক্ষের আইনজীবী মিজানুর রহমান মুন্সি বলেন, মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব। অন্যদিকে মামলার বাদি নিহত ছাত্রলীগ নেতা মিরাজের বাবা আবুল কালাম রায়ের পর তাৎক্ষণিক কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

মামলা ও আদালত সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর বিকেলে জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিরাজুল ইসলাম মিরাজ তার বন্ধু মাসুদ ও সোহলকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে রায়পুর উপজেলার ভূইয়ারহাট বাজার থেকে রায়পুর বাজারের দিকে রওনা হন।

তারা রায়পুর-মীরগঞ্জ সড়কের বজুভাটের মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় এলে ২০/২৫ জন সন্ত্রাসীরা তাদের তিনজনের উপর হামলা করে। তারা চা, চেনী ও কিরিজ দিয়ে আঘাত করে। এতে তিন জন আহত হয়। তাদেরকে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছাত্রলীগ নেতা মিরাজকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পরদিন মিরাজের বাবা মৎস্য ব্যবসায়ী আবুল কালাম রায়পুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে ১১ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক ১৪/১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়।
ঘটনার সময় লক্ষ্মীপুরসহ দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াত সরকারবিরোধী ব্যাপক সহিংস আন্দোলন হওয়ায় জামাত-শিবিরের নেতাকর্মীদের হত্যা মামলায় আসামী করা হলে পরবর্তীতে তাদের অব্যাহতি দেওয়ার জন্য বাদী ২০১৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করেন। এসময় তিনি একটি সম্পূরক এজাহার দেন। এতে রায়পুরের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রাজু, হারুনসহ ১০ আসামির নাম উল্লেখ করেন। এজাহারে ঘটনার সময় মিরাজের সঙ্গে থাকা আহত মাসুদ, সোহেলকেও আসামি করা হয়। পরবর্তীতে আবারও থানায় দায়েরকৃত হত্যা মামলার এজাহারে উল্লেখিত বিবাদীদেরও মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বাদি আদালতে আবেদন করেন।

এদিকে ২০১৫ সালের ৩১ মে হত্যা মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দেন রায়পুর থানার সেই সময়ের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মালেক। তিনি সম্পূরক এজাহারভূক্ত আসামী রাকিব হোসেন রাজু ওরফে ইয়াবা রাজু, জহির ওরফে মাদক জহির ও মুসলিম নামে তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন এবং ১৮ জনকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন।

ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে একই বছরের ৯ জুলাই আদালতে নারাজির আবেদন করেন মামলার বাদি। পরে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ২০১৬ সালের ৯ মে লক্ষ্মীপুর সিআইডি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মোজাম্মেল হোসেন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে মোট ২২ জন আসামীর মধ্যে ১০ জনকে মামলার দায় হতে অব্যাহতির আবেদন করে ১২ জন আসামীকে অভিযুক্ত করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিদের সঙ্গে মিরাজের ব্যবসায়ীক সম্পর্ক গড়ে উঠে। মিরাজের কাছে তাদের (আসামিদের) ব্যবসার ৩ লাখ টাকা ছিল। ওই টাকা বন্টন নিয়ে তার সঙ্গে মনমালিন্য হয়। পরে হত্যা ঘটনার ২-৩ দিন আগে আসামিরা মামলার বাদী মিরাজের বাবা আবুল কালামের মাছের দোকানে গিয়ে হামলা করে। এসময় তারা মিরাজকে খোঁজ করে হুমকি দিয়ে চলে যায়। এর তিনদিনের মাথায় ঘটনার দিন ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর জহিরের বাড়িতে মিরাজকে ডেকে নিয়ে আসামীরা ব্যবসায়িক কথাবার্তা বলে। পরে কৌশলে মাসুদ ও সোহেলকে পরামর্শ দিয়ে তাকে মোটরসাইকেলযোগে ভূঁইয়ারহাটের দিকে নিয়ে যায়। মিরাজের অবস্থান নিশ্চিতের জন্য মাসুদ ও সোহেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে অন্য আসামিরা। ভূইয়ার হাট থেকে ফেরার পথে বিকেলে কেরোয়া ইউনিয়নের ভাঁটের মসজিদের অদূরে নির্জন এলাকায় পৌঁছলে আসামিরা সংঘবদ্ধভাবে মিরাজকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে। ঘটনাস্থলে প্রচুর রক্তক্ষরণে মিরাজ মারা যান। তার মাথা, কপাল, বুক ও পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে কোপানোর চিহ্ন ছিল। মিরাজের সঙ্গে থাকা মাসুদ ও সোহেলকেও আঘাত করা হলেও ডাক্তারি প্রতিবেদনে বলা হয়, মাসুদ ও সোহলের আঘাত সামান্য ছিল।

আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযুক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমান না থাকায় তাদের বেকুসুল খালাসের এ রায় দেন।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের নামাজের সময়সুচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:০৪ পূর্বাহ্ণ
  • ১২:০৮ অপরাহ্ণ
  • ১৬:৪৩ অপরাহ্ণ
  • ১৮:৪৯ অপরাহ্ণ
  • ২০:১১ অপরাহ্ণ
  • ৫:২৪ পূর্বাহ্ণ
কপিরাইট © ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
themesba-lates1749691102