নিজস্ব প্রতিনিধি:লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর রমনি মোহন এলাকায় প্রাণঘাতী ড্রাম্প ট্রাকের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণে অনন্য ভূমিকা রাখছেন তরুণ ব্যবসায়ী ড্রাম্প ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন জনি।
লক্ষ্মীপুর জেলা সদরের অদূরে অবস্থিত মজুচৌধুরীর হাট ফেরিঘাট জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যকেন্দ্র। এই ঘাট থেকে নৌপথে সংযুক্ত রয়েছে দেশের ২২টি জেলা। এখানে রয়েছে বৃহৎ বালু মহল, যা লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীসহ বিভিন্ন জেলার সড়ক সংস্কার ও গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যবহৃত হয়। এ কারণে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এলাকাটি পরিণত হয়েছে একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্রবিন্দুতে।
তবে ক্রমবর্ধমান এই ব্যবসার প্রতিযোগিতা ধীরে ধীরে মানবিকতার জায়গা সংকুচিত করেছে। গত কয়েক বছরে লক্ষ্মীপুর–মজুচৌধুরীর হাট মহাসড়কে বালু বহনকারী ড্রাম্প ট্রাকের চাপায় বহু মানুষ নিহত ও আহত হয়েছেন। নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলা এসব ট্রাক জনজীবনকে করেছে দুর্বিষহ, সড়কে পরিণত হয়েছে মৃত্যুফাঁদে।
এ অবস্থায় স্থানীয় প্রবাসফেরত তরুণ উদ্যোক্তা মহিউদ্দিন জনি উদ্যোগ নেন ব্যতিক্রমধর্মী এক পদক্ষেপে। ড্রাম্প ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকার ড্রাম্প ট্রাক মালিকদের নিয়ে একাধিক বৈঠক ও কাউন্সেলিং সেশন আয়োজন করেন—কীভাবে এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সম্ভব তা নিয়ে আলোচনা হয়।
তিনি মালিকদের বোঝান, “যানবাহনে ওভারলোড বন্ধ, প্রশিক্ষিত ও লাইসেন্সধারী চালক নিয়োগ, সঠিক সংকেত মেনে চলা এবং পুলিশের সহযোগিতা নিশ্চিত করা গেলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।”
তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ট্রাক মালিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে গঠন করেন লক্ষ্মীপুর জেলা ড্রাম্প ট্রাক মালিক সমিতি, যেখানে মহিউদ্দিন জনি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
পাশাপাশি তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন মেসার্স আব্দুল্লাহ এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স আব্দুল্লাহ পরিবহন, ও আব্দুল্লাহ কল্যাণ তহবিল, এবং ফেরিঘাট ইজারার ২০ শতাংশ অংশীদারিত্বসহ আরও নানা সামাজিক ও ব্যবসায়িক উদ্যোগে যুক্ত হয়েছেন।
তবে সম্প্রতি একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাকে রাজনৈতিকভাবে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে “আওয়ামীপন্থী” বানানোর অপপ্রচার চলছে।
এ বিষয়ে মহিউদ্দিন জনি বলেন,“কালের বিবর্তনে স্বার্থের সংঘাতে অনেক অপপ্রচার চলছে। কিন্তু আমি একজন সচেতন নাগরিক ও বিএনপির নিবেদিত কর্মী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ড্রাম্প ট্রাকে শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করছি। মানুষের ভালোবাসা ও দোয়া নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই।”


Reporter Name 









