কমলনগর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে বনবিভাগ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সরকারী গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। মঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এগাছ কেটে নেয় হয়। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলছেন প্রক্রিয়া করে বৈধভাবেই গাছ কাটা হয়েছে। উপজেলার উত্তর চরমার্টিন এমন ঘটনা ঘটেছে।
সুফলভোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান,
ঝড়েপড়ার নামে উপজলা বনবিভাগ কর্মকর্তা মোঃ কামরিল হাছান স্হানীয় স মিল মালিক বাহারের মাধ্যমে বিগত এক বছরে আকাশমনসহ বিভিন্ন জাতের কয়েক লক্ষ টাকার গাছনবিক্রি করেছেন। এছাড়া ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও তার ভাইয়ের সাথে গোপন আতাত করে ভিন চার লাখ টাকার গাছ বিক্রি করেন ওই কর্মকর্তা।
বর্তমানে বাগানের সুফলভোগীদের সাথে কোন আলোচনা ছাড়াই তার পছন্দের বেপারী আব্বাসের কাছ গাছ বিক্রি করেন। অথচ ঝড়েপড়া গাছে আনুমানিক যে হার বা দাম ধরা হয়েছে বাস্তবে সাথে তার উল্টো। প্রকৃত গাছের ঘনফুট বা দাম নিলামের কাগজে গোপন করা হয়েছে। এতে সরকারের রাজস্বে বড় ফাঁকি দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে আমরা ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত।
তারা আরও বলেন এ এলাকায় উপজেলা থেকে অনেক দূরে হওয়ায় কর্মকর্তা তার ইচ্ছে মতোই এমন কাজ করেন। উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ না করলে এত গাছ কিভাবে বিক্রি করেন ওই কর্মকর্তা। সুফলভোগী অজিউল্যাহ ও সাহাব উদ্দিন একই কথা ব্যক্ত করেন।
এদিকে চরকাদিরা ইউনিয়ন এক সুফলভোগী জানান, বন কর্মকর্তা কামরিল হাছান প্রায় ৩০/৪০ হাজার টাকা মূল্যের গামারী গাছ নিলাম ছাড়া নিজই বিক্রি করে দেন।
প্রতিবাদ করায় গাছ জিম্মায় থাকা ব্যক্তিকে উল্টো বিভিন্ন ভয় দেখিয় শাসান।
এবিষয়ে উপজেলা বন কর্মকর্তা মোঃ কামরুল হাছান বলেন সরকারী বিধি মোতাবেক টেন্ডার আহ্বানে আব্বাস ভাই গাছ পেয়েছে। নিয়মানুযায়ী ওনাকে সরেজমিনে গাছ দেখিয়ে দিয়েছি। ব্যক্তিগতভাবে উনি অফিসকে ভালো জানেন ; এত টুকু। উনি অফিসের সাথে যোগাযোগ রাখেন; টেন্ডারের আগে আমরা ওনাকে একটু ‘ম্যাসেস’ দেই জাস্ট। এাছাড়া লক্ষ্মীপুরের এক ঠিকাদারও এক লর্ড পেয়েছে।