Dhaka , রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল থেকে ৭ দালাল আটক পূর্ব শত্রুতার জেরে সাংবাদিক ও নারীকে লাঞ্চিত করার দায়ে, মামলা লক্ষ্মীপুর চক বাজার মসজিদ মার্কেটে,পুলিশ-সাংবাদিক প্রবেশে লাগবে অনুমতি! লক্ষ্মীপুরে সাংবাদিকদের সম্মানে শিবিরের ইফতার জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সংস্কার দুটিই খুব জরুরি-এ্যানী লক্ষ্মীপুরে যৌতুক মামলায় কৃষি কর্মকর্তা কারাগারে লক্ষ্মীপুরে আদালত কর্তৃক হেবাকৃত দলিল বাতিল হওয়ায় বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি প্রতিবাদ লক্ষ্মীপুরে যুবদলের নবগঠিত কমিটির আনন্দ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন লক্ষ্মীপুর নন্দন অটিজম এন্ড এনডিডি স্কুলের  শিশুদের বার্ষিক ক্রীয়া ও পুরস্কার বিতরণ লক্ষ্মীপুরে ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধে সংবাদ সম্মেলন

লক্ষ্মীপুরে আ. লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করছে দুর্বত্তরা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৬১ Time View

  নিজস্ব প্রতিনিধি:  ক্ষ্মীপুরে আ. লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ হাসপাতালে নুর আলমের নিথর দেহ।

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে নুর আলম (৬০) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার জন্য খোকন নামে স্থানীয় এক বিএনপি কর্মীকে দায়ী করেছেন নিহতের পরিবার।
নুর আলমের মরদেহ জেলা সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে।

তিনি পাঁচপাড়া ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বলে জানিয়েছে নিহতের পরিবারের লোকজন। বাড়ির পাশের একটি দোকানে পোশাক সেলাইয়ের কাজ করতেন তিনি।দু ই মেয়ে ও এক ছেলের জনক নুর আলম।

নিহতের ছেলে আরিফ হোসেন  বলেন, সন্ধ্যার পর আমার বাবা ঘরে ছিলেন।

তার ফোনে একটি কল আসে, লোকজন তাকে মারতে আসছেন। তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়া মাত্রই আমাদের ঘরের পেছনে হামলাকারীরা তাকে আক্রমণ করেন। তাকে লাঠিসোঁটা দিয়ে মারধর করা হয়। তিনি পুকুরের পানিতে পড়ে যান। সেখান থেকে তুলে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। আমার বাবা তাদের বলেছিলেন ‌‌‘আমাকে মেরো না, তুলে নিয়ে যাও’। তারপরও তারা আমার বাবাকে মেরে ফেললেন।
তিনি বলেন, ঘটনার সময় আমি ঘর থেকে বেরিয়ে আমার বাবাকে মারতে দেখি। আমাকে হামলাকারী দুইজন ধরে রেখেছিল। আমি তাদের হাত থেকে ছুটে পুকুরের অন্য পাড়ে গিয়ে আশ্রয় নিই। আমার মা মমতাজ বেগম হামলাকারীদের পায়ে ধরে ছিলেন। যাতে আমার বাবাকে না মারার জন্য। কিন্তু কেউ কোনো কথা শোনেননি। বাবাকে হত্যা করেছে। আমার মাকেও মারধর করা হয়েছে।

আরিফ জানান, হামলার পর প্রথমে তার বাবাকে চন্দ্রগঞ্জের একটি হাসপাতালে, পরে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি দাবি করেন, আমাদের ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা খোকন নামের একজনকে আমি চিনেছি, যিনি হামলার নেতৃত্বে ছিলেন। তার সাথে আরও ১০/১২ জন ছিল। খোকন বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। কিন্তু বাবা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলেও কারো ক্ষতি করেননি।

সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়নাল আবেদিন বলেন, আমরা ভিকটিমকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ পাইনি। মরদেহের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক  বলেন, একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ সদর হাসপাতালে আছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

Tag :
About Author Information

Sagor Ahmed

আলোচিত

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল থেকে ৭ দালাল আটক

লক্ষ্মীপুরে আ. লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করছে দুর্বত্তরা

Update Time : ০৬:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

  নিজস্ব প্রতিনিধি:  ক্ষ্মীপুরে আ. লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ হাসপাতালে নুর আলমের নিথর দেহ।

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে নুর আলম (৬০) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার জন্য খোকন নামে স্থানীয় এক বিএনপি কর্মীকে দায়ী করেছেন নিহতের পরিবার।
নুর আলমের মরদেহ জেলা সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে।

তিনি পাঁচপাড়া ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বলে জানিয়েছে নিহতের পরিবারের লোকজন। বাড়ির পাশের একটি দোকানে পোশাক সেলাইয়ের কাজ করতেন তিনি।দু ই মেয়ে ও এক ছেলের জনক নুর আলম।

নিহতের ছেলে আরিফ হোসেন  বলেন, সন্ধ্যার পর আমার বাবা ঘরে ছিলেন।

তার ফোনে একটি কল আসে, লোকজন তাকে মারতে আসছেন। তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়া মাত্রই আমাদের ঘরের পেছনে হামলাকারীরা তাকে আক্রমণ করেন। তাকে লাঠিসোঁটা দিয়ে মারধর করা হয়। তিনি পুকুরের পানিতে পড়ে যান। সেখান থেকে তুলে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। আমার বাবা তাদের বলেছিলেন ‌‌‘আমাকে মেরো না, তুলে নিয়ে যাও’। তারপরও তারা আমার বাবাকে মেরে ফেললেন।
তিনি বলেন, ঘটনার সময় আমি ঘর থেকে বেরিয়ে আমার বাবাকে মারতে দেখি। আমাকে হামলাকারী দুইজন ধরে রেখেছিল। আমি তাদের হাত থেকে ছুটে পুকুরের অন্য পাড়ে গিয়ে আশ্রয় নিই। আমার মা মমতাজ বেগম হামলাকারীদের পায়ে ধরে ছিলেন। যাতে আমার বাবাকে না মারার জন্য। কিন্তু কেউ কোনো কথা শোনেননি। বাবাকে হত্যা করেছে। আমার মাকেও মারধর করা হয়েছে।

আরিফ জানান, হামলার পর প্রথমে তার বাবাকে চন্দ্রগঞ্জের একটি হাসপাতালে, পরে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি দাবি করেন, আমাদের ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা খোকন নামের একজনকে আমি চিনেছি, যিনি হামলার নেতৃত্বে ছিলেন। তার সাথে আরও ১০/১২ জন ছিল। খোকন বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। কিন্তু বাবা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলেও কারো ক্ষতি করেননি।

সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়নাল আবেদিন বলেন, আমরা ভিকটিমকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ পাইনি। মরদেহের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক  বলেন, একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ সদর হাসপাতালে আছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।