নিজস্ব প্রতিনিধি: ডাক, টেলিযোগাযোগ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ছাত্র-জনতার উপর যেভাবে নির্বিচারে হামলা ও গুলি চালিয়ে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। সে ফ্যাসিষ্টদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে। সে যে হোকনা কেন? যতবড় ক্ষমতাধর ব্যাক্তিই হোক। সারাদেশে আইনশৃংখলা পরিবেশ ধীরে ধীরে ফিরে আসছে।
সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেটি ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। যেন এই কার্যক্রম গুলো দ্রুত শেষ করা হয়। সারাদেশে অনেকগুলো মামলা হয়েছে। অনেক মামলা গ্রহনযোগ্য নয়। সুনিদিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে মামলাগুলোর কার্যক্রম যেন শেষ করে আইনশৃংখলা বাহিনীকে জড়িতদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন। আজ শুক্রবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরে বন্যার্তদের মাঝে ত্রান বিতরন শেষে বাংগাখাঁ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা আরো বলেন, বিভিন্ন সেক্টরের সংস্কারের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে ৬টি কমিশন গঠন করা হয়েছে। ওই কমিশনগুলো নিয়ে বৈঠক হয়েছে। অক্টোবর মাস থেকে সংস্কারের কার্যক্রম শুরু হবে। এছাড়া শিক্ষা-গনমাধ্যমসহ আরো কয়েক সংস্কার কমিশন গঠনের পরিকল্পনা চলছে। সে অনুযায়ী রুপ রেখা তৈরির কাজ চলছে। রুপ রেখা অনুযায়ী কমিশনের কার্য়ক্রম চলবে।
তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম আরো বলেন, এবারের ভয়াবহ বন্যা প্রশাসন.সেনাবাহিনী ও ছাত্র-জনতা সু-শৃংখলভাবে ত্রান নিয়ে দূগ্যতদের পাশে দাড়িঁয়েছে। তাদের এই কার্যক্রম নিয়ে সন্তষ্ট প্রকাশ করে তিনি বলেন, অবৈধভাবে বিভিন্ন খাল দখল করার কারনে বন্যার পানি নামতে বিলম্ভ হচ্ছে। খালগুলোর উপর অবৈধ বাধঁ দ্রুত অপসারন করা হবে।
এর আগে উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম লক্ষ্মীপুর সার্কিট হাউজে এলে তাকে গার্ড অব অর্নার প্রদান করা হয়। পরে বাংগাখাঁ উচ্চ বিদ্যালয় ও মান্দারী ইউনিয়নের যাদৈয়া এলাকা পরিদর্শন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রান বিতরন করেন। পরে শহর পুলিশ ফাড়িঁ এলাকায় সেনাবাহিনী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমন্বকয়দের সাথে মতবিনিময় করেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার,পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন, লে, কর্নেল মাজেদুল হক রেজা, মেজর জিয়া উদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জেপি দেওয়ান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।