নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর চররমনী মোহন এলাকা থেকে নেমানের চুরি হওয়া মহিষ চররমনীর আলমগীর মোল্লার নিকট থেকে উদ্দার করে মহিষের মালিক নোমানকে বুঝিয়ে দিলেন লক্ষ্মীপুর সদর থানার এস আই কামাল উদ্দীন।
নোমান শাকচর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের শহীদ উল্যা বেপারীর ছেলে। চররমনীতে তার মহিষের বড় খামার আছে।
আপরদিকে আলমগীর মোল্লা চররমনী মোহন ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডেে বাসিন্দা। তিনি চররমনীর সাবেক যুবলীগ আহবায়ক হারুন মোল্লার ভাই হয়। জানাগেছে, ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজার নূরুল আমিন একটি মহিষ জনৈক বেলায়েত থেকে খরিদ করে ওই মহিষটি বর্গা হিসেবে নোমানকে দেয়। কিছুদিন আগে নোমানের ওই মহিষটি চুরি হয়ে গেলে তিনি খোঁজাখজি করে চররমনীর আলমগীর মোল্লার বাওরে মহিষটির সন্ধান পায়। তাৎক্ষণিক মহিষ পাওয়ার বিষয়টি তার ভাই হারুন মেল্লাকে জানালে তিনি সমাধানের আশ্বাস দেয়। পরে মহিষ না পেয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যন আবু ইউসূফ সৈয়াল ও থানাকে অবহিত করে মহিষ মালিক নোমান। শনিবার (৮ জুন) মহিষটি থানায় হাজির করতে জাহাঙ্গীর মোল্লাকে নির্দেষ দিলে থানায় মহিষ হাজির করলে ওইদিন সকাল ১০টায় থানায় দুই পক্ষের উপস্থিতিতে শালিশ বৈঠক বসে। বৈঠকে নোমান সাক্ষী প্রমাণ দিয়ে নিজেদের মহিষ সনাক্ত করলেও চোরা আলমগীর মোল্লা প্রমান করিতে ব্যর্থ হয়েছে। একপর্যায়ে শালিশদারদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হয়ে এস আই কামাল উদ্দীন মহিষটি থানা থেকে নোমানকে বুঝিয়ে দেয়। নোমান জানান, ব্যাংক কর্মকতা একটি মহিষ কিনে আমাকে বর্গা দিয়েছে। ওই মহিষ কিছুদিন আগে আমার বাওর থেকে হারিয়ে যায়। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে মহিষটি চররমনী মোহন ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক আহবায়ক হারুন মোল্লার ভাই আলমগীর মোল্লার বাওরে সন্ধান পাওয়া যায়। পরে আমি হারুন মোল্লাকে জানালেও সে মিমাংসা করে দিবে বলে কালক্ষেপন করায় আমি চেয়ারম্যান ও থানা পুলিশকে আবগত করি। লক্ষীপুর সদর থানার পুলিশের এস আই কামাল উদ্দীন থানায় শালিশ বৈঠকের আয়োজন করে। শালিশে সাক্ষী প্রমাণে মহিষটি আমার সনাক্ত হলে আমাকে মহিষটি দিয়ে দেয়। মহিষ খোজতে গিয়ে আমি ব্যাপক হয়রানি হয়েছি। তবে মহিষ চোর আলমগীরের বিরুদ্ধে আইনগত কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।