কমলনগর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে সাজানো পরীক্ষায় প্রধান শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার শহীদ নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের এ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই নিয়োগবোর্ডে চরবসু এসইএসডিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজান মানিক ও শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো ইসমাইল এ নিয়োগে উপস্থিত থেকে সকল অপকর্মের কলকাঠি নাড়েন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন। নিয়োগে প্রধান শিক্ষক পদে চারজন অংশগ্রহণ করলেও তাদের পছন্দের প্রার্থী মো কামাল হোসেনকে নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত করা হয়।
পরে পরীক্ষায় অংশ গ্রহনকারীদের সবাইকে সভাপতির বাড়িতে দুপুরের খবারের আয়োজন করা হয়।
জানা যায়, স্কুল ম্যানেজিং কমিটি প্রধান শিক্ষক, নৈশ প্রহরী, নিরাপত্তা কর্মী, ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তী প্রকাশ করে পত্রিকায়। কিন্তু কবে কোন পত্রিকার তা প্রকাশিত হয় তা জানেন না ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইকবাল হোসেন। তিনি বলেন, এ নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে সকল কার্যক্রমের প্রক্রিয়া করেন চরবসু এসইএসডিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজান রহমান মানিক। সে আলোকে পরীক্ষা শুরু হলে প্রধান শিক্ষকসহ দুই জনের নিয়োগ চুড়ান্ত হয়।
এ বিষয়ে চরবসু এসইএসডিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান মানিক বলেন, আমি নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত ছিলাম না। ম্যানেজিং কমিটি অনেক কিছু বুজেনা তাই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আমাকে ডাকা হয়েছে।
এ বিষয়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তাহমিনা আক্তারের ছেলে মো ফিরোজ বলেন, কোন অনিয়ম ছাড়াই আমরা নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। অনিয়মের বিষয়ে আপনাদের (সাংবাদিকদের) কেউ ভুল তথ্য দিয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বলেন, নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে কোন অনিয়ম হয়নি। কিন্ত অন্য স্কুলের দুই জন প্রধান শিক্ষক কেন নিয়োগ বোর্ডে ছিলেন এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি দ্রুত ফোন কেটে দেন।
জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সামছুদ্দিন মোহাম্মদ রেজা বলেন, আমি উপস্থিত থেকে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়েছি। পরীক্ষায় যে ভাল করেছে তাকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছি।এর বাহিরে কিছু হয়ে থাকলে তা আমার জানা নেই।