স্টাফ রিপোর্টার : লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর রুস্তম আলী কলেজের শিক্ষক ও ছাত্রী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা সম্প্রতি বেশ আলোচিত হয়েছে। এবার সদর উপজেলার দালালবাজার ইউনিয়নের শাহাদাত মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিবাহিত আরিফুল ইসলামের সাথে আরেক বিবাহিত শিক্ষিকার অনৈতিক সম্পর্কের ঘটনাও আলোচিত হচ্ছে। বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান ও প্রধান শিক্ষকের আজ্ঞাবহ সভাপতি ইছমাইল পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিন পরিদর্শন ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়,দালালবাজার ইউনিয়নের শাহাদাত মেমোরিয়াল স্কুলের সহকারী শিক্ষক (কৃষি) আরিফুল ইসলামের সাথে আরেক সহকারী শিক্ষিকার সাথে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট ৩ জুন ২০২৪ তারিখে দাখিল করেছেন সহকারী শিক্ষিকার স্বামী মাসুদ পাটোয়ারী। উক্ত অভিযোগপত্রে তিনি প্রবাসে থাকাকালীন তার স্ত্রীর সাথে একই প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সময়ে ছাত্রীদের উত্যক্ত করাসহ ছাত্রীদের শ্লিলতাহানীর অভিযোগ থাকা আরিফুল ইসলামের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক চলছে বলে উল্লেখ করেন। সর্বশেষ ৬ জুন ২০২৪ তারিখে এলাকাবাসী অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবীতে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সমবেত হয়ে প্রতিবাদ করলে বিদ্যালয় সভাপতি ইছমাইল পাটওয়ারী বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এখতিয়ারে আছে বলে জানালে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, ৩ জুন ২০২৪ তারিখে শাহাদাত মেমোরিয়াল স্কুলের একজন শিক্ষিকার স্বামী একটা অভিযোগ দায়েরের দুই দিন পর ৫ জুন ২০২৪ তারিখে এ শিক্ষিকা পারিবারিক বিরোধকে বিদ্যালয়ে টেনে আনার কথা উল্লেখ করেন। তাই শিক্ষিকার আবেদনে বিদ্যালয়ে কোনো সালিশ দরবার না করার কথাই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান, প্রধান শিক্ষকের আজ্ঞাবহ সভাপতি ইছমাইল পাটওয়ারী ও অভিযুক্ত শিক্ষক আরিফুল ইসলাম মিডিয়ার সামনে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষিকার স্বামী মাসুদ পাটোয়ারী বলেন, আমি প্রবাসে থাকার সুবাধে আমার স্ত্রী সহকারী শিক্ষকের সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। এটা জানার পর প্রবাস থেকে তাকে একাধিকবার সতর্ক করা হলেও সে সঠিক পথে আসে নাই এবং ঐ শিক্ষকের সাথে কোন যোগাযোগ না থাকার কথা বলে। যদিও তার স্ত্রীর মোবাইল কল রেকর্ড বাহির করলে দেখা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষিকার বিভিন্ন সময়ে প্রচুর কথোপকথন হয়। অভিযুক্ত শিক্ষিকার বক্তব্যের জন্য ফোন দিলে তিনিও সাংবাদিকের সাথে কথা বলতে রাজি হননি। এলাকাবাসী ও কয়েকজন অভিভাবক জানান, এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের ইভটিজিং করার সুস্পষ্ট প্রমান থাকলেও বিদ্যালয় সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক তাকে জবাবদিহিতার আওতায় না আনায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ। শতাধিক এলাকবাসী অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবী জানিয়েছেন।