কমলনগর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে উপজেলা ভূমি অফিস অনিয়মের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই অনিয়মের নতুন নতুন কৌশল পালেট দাবড়িয়ে চলছে এক শ্রেনীর কর্মচারী। অফিসের শর্ত ভঙ্গকরে কাজকে মামলি ব্যপার মনে করে
দাবড়িয়ে চলছে অফিস সহকারী মো: বখতিয়ার। ইতিপূর্বে তিনি অফিস সহকারী (নাজের) হিসেবে কর্মবত ছিলেন। এখানেই শেষ নয়, তার অনিয়মের সংবাদ প্রত্রিকায় প্রকাশ হলেও জেলা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে যেন না পড়ে, সেজন্য জেলায় বেশ কিছু দপ্তরের লোককেও ম্যানেজ রাখার গুঞ্জনও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। যা অফিসে সকলের মাঝে “ওপেন সিক্রেট”।
ভুক্তভোগী মোঃ আলী হোসেন ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, তিনি দীর্ঘ ৮ মাস পূর্বে একটি নথির কাগজপত্র তৎকালীন অফিস সহকারী (নাজের) এর কাছে দেন। তার দেয়া কাজটি দ্রুত হওয়ার জন্য সাথে বকশিসও দেন। অদ্যবধি পর্যন্ত ওই ডকুমেন্টের বিপরীতে কোন কাজের সুসংবাদ, কাজের নামে দেয়া বকশিস কিংবা সেবাপ্রার্থীদের ডকুমেন্ট ফেরত কিছুই দিচ্ছেনা।
অফিসে অফিস সহকারী ও নাজের দুজনের অনিয়মের রশি টানাটানিতে ভুগছেন ভূমি সেবাপ্রত্যাশীরা।
বিগত ৮ মাসের বেশি সময়ে আসা-যাওয়, গাড়ি ভাড়া, ফোনে যোগাযোগসহ আরো ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার
বেশি খরচ হয়েছে। বুকে কষ্টকে সঙ্গী করে খালি হাতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
একই ভাবে ক্ষোভ-কষ্টের কথা বলেন, চর বসু এলাকার আরেক ভুক্তভোগী অজিউল্যাহ এছাড়া তোবারগঞ্জ এলাকার, নাজমুল রায়হান ও কবির হোসেন তারাও একইভাবে কষ্টের কথা বলেন।
এবিষয় উপজেলা ভূমি অফিসের অফিস সহকারী মোঃ বখতিয়ার বলেন, ওই ফাইলগুলি (নাজের) থাকা অবস্থায় আমার কাছে ছিল, আমি জহির (নাজের)কে বুঝাইয়া দিছি। তিনি এগুলোর কাজ করেন। এগুলোর ভালো-মন্দ, আর্থিক লে