Dhaka , বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কমলনগরে এসিল্যান্ড অফিসে সেবাপ্রার্থীদের হয়রানির অভিযোগ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪
  • ১৩৫ Time View

কমলনগর প্রতিনিধি :লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে উপজেলা ভূমি অফিসে প্রিন্টা অকেজোতে অফিস কার্যক্রমে স্হবির দেখা দিছে। বৃহস্পতিবার অফিস চলাকালীন সময়ে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে এমন অসংখ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে। এখানে শেষ নহে, অফিসে ( নাজেরের রুমে) আগত লোকদের ” ফেইস” দেখে কিছু কাজের প্রিন্ট করা হয় বলে ভুক্তভোগীরা জানান। হাছান নামে এক যুবক জানান, নাজের স্যারেরে খুশিমত টাকা দিলে তিনি কাজ করে দেন। তবে ব্যক্তিগত কোন ডিমান্ড নাই তার ( নাজের স্যারের)।
মো: জহিরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি জানান, চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের একটি নামজারি অনলাইনে আবেদন করেছেন তিনি । আবেদনের ফাইনাল কাজে তিনি নিজস্ব মোবাইল ফোন থেকে টাকা পেমেন্ট করেছেন। ওই আবেদনের অনলাই ডুপ্লিকেট কপি নাজেরের কাছে চাইলে তিনি তার কম্পিউটারে সার্ভারে নাই বলে পাশের রুমে যেতে বলেন। ওই রুমে তিনি আবার বলেন নাজেরের কাছ থেকে সংগ্রহ করেন। পুনরায় নাজেরের কাছে চাইলে তিনি অসৌজন্যমূলক আচরণ করে অফিসের বাহিরে কম্পিউটার দোকান থেকে ডুপ্লিকেট কপি নিতে বলেন।
মূলত অফিসে নাজেরের মাধ্যমে নামজারির পেমেন্ট করলে কমপক্ষে দুই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা নেন। তার নিজস্ব একটি চোটখাট দালাল সিন্ডিকেটও রয়েছে। তারা বিভিন্ন সময় তার সাথে অফিসের বাহিরে টেকে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন। তারা দূর থেকে ফোনে কথা বলে অফিসে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি ব্যবহার ও কথাবার্তায় নানান কৌশল ব্যবহার করেন তার নির্ধারিত লোকদের সাথে। প্রতিদিনই দালালের প্রভাব থাকছেই।
এদিকে আবেদনকারী নিজে পেমেন্ট করলে অফিসসহকারী নাজের টাকার কোন সুবিধা পায়না এটিই মূল কারণ। ( প্রিন্টার অকেজো এটা মানুষকে দেখানো কৌশল মাত্র। এতে ভূমি অফিসে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়া ছাড়া কিছু ই না।তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার অধিক মনিটরিংয়ের অগাব রয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান।
এদিকে পাশের রুমে বখতিয়ারের একই রকম অসৌজন্যমূলক আচরণ করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এ অফিসে প্রতিদিন ১০- ১২ জনের একটি শক্তিশালী দালাল সিন্ডিকেট রয়েছে। যা সকলের মাঝে ” ওপেন সিক্রেট ” । প্রতিদিন নিচ তলা থেকে অফিসে সকলরুমে এদের অবাধ যাতায়াত । এদের কারণে প্রকৃত সাধারণ মানুষ সেবা বাঞ্ছিত হচ্ছে ্
সেবায় না পাওয়া প্রার্থীদের ” বুক ফাটেও তো মুখ ফাটে না”। যথাযথ সেবার বিপরীতে সীমাহীন দুর্ভোগ আর কষ্টই নিয়েই ফিরতে যাচ্ছেন সেবাপ্রার্থীরা।
এবিষয় অফিস সহকারী ( নাজের) মো: জহির বলেন, চরজাঙ্গালিয়া দুটি নামজারির ডুপ্লিকেটের জন্য লোক আসছে। গত কয়েকদিন যাবত অফিসের প্রিন্টার সমস্যা ; এজন্য ওনাদের বাহিরে থেকে কাজ করে নেয়ার জন্য বলেছি। নিউজের মতামত চাইলে বিষয়টি না করার জন্য অনুরোধ করেন।

Tag :
About Author Information

Sagor Ahmed

কমলনগরে এসিল্যান্ড অফিসে সেবাপ্রার্থীদের হয়রানির অভিযোগ

Update Time : ০৩:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪

কমলনগর প্রতিনিধি :লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে উপজেলা ভূমি অফিসে প্রিন্টা অকেজোতে অফিস কার্যক্রমে স্হবির দেখা দিছে। বৃহস্পতিবার অফিস চলাকালীন সময়ে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে এমন অসংখ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে। এখানে শেষ নহে, অফিসে ( নাজেরের রুমে) আগত লোকদের ” ফেইস” দেখে কিছু কাজের প্রিন্ট করা হয় বলে ভুক্তভোগীরা জানান। হাছান নামে এক যুবক জানান, নাজের স্যারেরে খুশিমত টাকা দিলে তিনি কাজ করে দেন। তবে ব্যক্তিগত কোন ডিমান্ড নাই তার ( নাজের স্যারের)।
মো: জহিরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি জানান, চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের একটি নামজারি অনলাইনে আবেদন করেছেন তিনি । আবেদনের ফাইনাল কাজে তিনি নিজস্ব মোবাইল ফোন থেকে টাকা পেমেন্ট করেছেন। ওই আবেদনের অনলাই ডুপ্লিকেট কপি নাজেরের কাছে চাইলে তিনি তার কম্পিউটারে সার্ভারে নাই বলে পাশের রুমে যেতে বলেন। ওই রুমে তিনি আবার বলেন নাজেরের কাছ থেকে সংগ্রহ করেন। পুনরায় নাজেরের কাছে চাইলে তিনি অসৌজন্যমূলক আচরণ করে অফিসের বাহিরে কম্পিউটার দোকান থেকে ডুপ্লিকেট কপি নিতে বলেন।
মূলত অফিসে নাজেরের মাধ্যমে নামজারির পেমেন্ট করলে কমপক্ষে দুই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা নেন। তার নিজস্ব একটি চোটখাট দালাল সিন্ডিকেটও রয়েছে। তারা বিভিন্ন সময় তার সাথে অফিসের বাহিরে টেকে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন। তারা দূর থেকে ফোনে কথা বলে অফিসে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি ব্যবহার ও কথাবার্তায় নানান কৌশল ব্যবহার করেন তার নির্ধারিত লোকদের সাথে। প্রতিদিনই দালালের প্রভাব থাকছেই।
এদিকে আবেদনকারী নিজে পেমেন্ট করলে অফিসসহকারী নাজের টাকার কোন সুবিধা পায়না এটিই মূল কারণ। ( প্রিন্টার অকেজো এটা মানুষকে দেখানো কৌশল মাত্র। এতে ভূমি অফিসে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়া ছাড়া কিছু ই না।তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার অধিক মনিটরিংয়ের অগাব রয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান।
এদিকে পাশের রুমে বখতিয়ারের একই রকম অসৌজন্যমূলক আচরণ করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এ অফিসে প্রতিদিন ১০- ১২ জনের একটি শক্তিশালী দালাল সিন্ডিকেট রয়েছে। যা সকলের মাঝে ” ওপেন সিক্রেট ” । প্রতিদিন নিচ তলা থেকে অফিসে সকলরুমে এদের অবাধ যাতায়াত । এদের কারণে প্রকৃত সাধারণ মানুষ সেবা বাঞ্ছিত হচ্ছে ্
সেবায় না পাওয়া প্রার্থীদের ” বুক ফাটেও তো মুখ ফাটে না”। যথাযথ সেবার বিপরীতে সীমাহীন দুর্ভোগ আর কষ্টই নিয়েই ফিরতে যাচ্ছেন সেবাপ্রার্থীরা।
এবিষয় অফিস সহকারী ( নাজের) মো: জহির বলেন, চরজাঙ্গালিয়া দুটি নামজারির ডুপ্লিকেটের জন্য লোক আসছে। গত কয়েকদিন যাবত অফিসের প্রিন্টার সমস্যা ; এজন্য ওনাদের বাহিরে থেকে কাজ করে নেয়ার জন্য বলেছি। নিউজের মতামত চাইলে বিষয়টি না করার জন্য অনুরোধ করেন।