বিএম সাগর : লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর রমনী মোহন ইউনিয়নের বিছিন্ন দ্বীপ চর মেঘায় জলদস্যু ও ভূমিদস্যুদের নির্মম নির্যাতনের শিকার হচ্ছে কৃষক সাথে লুট হচ্ছে ফসল। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে যৌথ অভিযান করেছে পুলিশ ও জেলা প্রশাসন। করলে ফৌজদারি আইনে তাহাদের আনইনগত ব্যাবস্থা নিতে বাধ্যহবো।
ভয়েজ ওভার: ১২ মে রবিবার ভোরে এ যৌথ অভিয়ান করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসান মোস্তফা স্বপন ও সহকারী কমিশনার ভূমি অভি দাস। এ সময় উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার, ২০ নং চর রমনী মোহন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ইউছুফ সহ আরো অনেকে। তবে প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় দস্যুরা। ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা জানায়, সব সময় চাষীদের ফসল লুট করে নিয়ে যায় দস্যুরা। এছাড়াও চাষীদের মারধর, হাত পা কেটে দেয়াসহ হত্যার ঘটনার ঘটনাও ঘটেছে এই চর মেঘায়।
একনলা, দুনালা বন্দুক, দা-চেনিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চলছে সন্ত্রাসীদের নিয়মিত মহড়া। সেখানে দস্যুরা গড়ে তুলেছে তাদের স্বর্গরাজ্য । ভোলার জেলার রাসেল খাঁ, হালিম খাঁ, মিন্টু খাঁ সহ বেশ কয়েকজন এবং লক্ষ্মীপুরের শাহজালাল রাহুল, রশিদ মোল্লাসহ বেশ কয়েকজনের নেতৃত্বে সেখানে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে একটা বিশাল বাহিনী দিয়ে রাসেল খাঁ নামের এক দস্যু তান্ডব চালায় চর মেঘাতে, তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ বেশ কয়েকটা মামলাও রয়েছে বলেও জানায় কৃষকেরা। ফসল লুটের সময় বাঁধা দিলে দা-চেনি দিয়ে কুপিয়ে মারত্বক জখম করে দেয়। এতে অনেক পঙ্গুগুত্ববরণ করে। গত দু বছর আগেও দুই চাষী সহোদরকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দেয় এবং তাদেরই একজনের শিশু সন্তানকে জবাই করে হত্যা করে নদীতে বাসিয়ে দিন দস্যুরা। এছাড়া ওই চরে দস্যুদের হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
সর্বশেষ গত রবিবার রাত থেকে সশস্ত্র মহাড়া দিচ্ছে দস্যুরা। সোমবার দিনের বেলায় কৃষকরা ফলনকৃত ফসল তুলে আনতে গেলে গুলি করে ধাওয়া করে দেয় তারা।
অভিযান শেষে যারা অভিযুক্ত এবং এমন কার্যক্রমের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা আশ্বাস দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসান মোস্তফা স্বপন। অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।