Dhaka , শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
লক্ষীপুরে  বৃদ্ধা মহিলাকে জবাই করে হত্যা লক্ষ্মীপুর মাদরাসার টয়লেটে থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার,অটক -১ কমলনগরে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন দুই দফা না মানলে লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি লক্ষ্মীপুর আদালতের কর্মচারীদের কমলনগরে খাল দখল করে দোকানঘর নির্মাণের প্রতিবাদে  মানববন্ধন  ন্যায্যমূল্য না পেয়ে হতাশায় কৃষক; কোটি কোটি টাকা লোকসান লক্ষ্মীপুরে ইউনিয়ন বিভক্তির দাবিতে ফুুঁসে উঠেছে জনগণ লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মে দিবসের বর্ণাঢ্য র‌্যালিও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কমলনগরে অপহরণকৃত স্কুলছাত্রীর লাইভ নিয়ে নানা প্রশ্ন  কমলনগরে অবৈধ ইটভাটা স্থাপনের দায়ে ৯ লাখ টাকা জরিমানা আদায়

কমলনগরে টিআর-কাবিখায় লুটপাটের অভিযোগ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪
  • ১৩৬ Time View
কমলনগর-রামগতি  প্রতিনিধি;: নীতিমালার তোয়াক্কা না করে লক্ষীপুরের কমলগরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষন ও সংস্কার কর্মসূচীর (টিআর-কাবিখা) সমূদয় বরাদ্দ লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন ইউনিয়নের জন্য নেওয়া প্রকল্পের বিপরীতে কোনো প্রকার কাজ না করেই প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির বরাদ্দ তুলে নিয়েছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বার সহ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সভাপতিরা। সরেজমিন বিভিন্ন প্রকল্প এলাকা ঘুরে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে সরকারি অর্থ লুটপাটের এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উদয়ন রোড থেকে ছেরাজল হক রোড সংস্কার ২ মে.টন, ৫ নং ওয়ার্ডের তাজু মুন্সি রোড সংস্কার ২ মে.টন,  ৬নং ওয়ার্ডের মাস্টার রোড ভ‚ঁইয়া গ্রাম সঃপ্রাবি থেকে সেলিম রোড পর্যন্ত ৪ লাখ ১০হাজার টাকা, গনিরমিজ আলম রোড সংস্কার ১ লাখ টাকা, দুলাল রোডে ২ লাখ ২৮ হাজার টাকা, দোপাড়া থেকে দুলাল রোড ১ লাখ টাকা, সেলিম রোড থেকে কোনার বাড়ি পর্যন্ত ২ লাখ টাকা, দোপাড়া রোড হতে তাহের ভ‚ঁইয়া বাড়ি পর্যন্ত ৫৫ হাজার টাকা, আলাউদ্দিনের বাড়ি হতে মহিউদ্দিনের দোকান পর্যন্ত ৫৫ হাজার টাকা, গনি রমিজ আলম রোডে মফিজের বাড়ি পর্যন্ত সংস্কার ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা, হাজী ফাজির ব্যাপারি রোড সংস্কার ৩ মে.টন, মনির মাস্টার রোড সংস্কার ৩ মে.টন, হাজী ছেরাজল হক রোড সংস্কারে সাডে ৩ মে.টন, মনির মাস্টার রোড (শাহজী রোড হতে গোপটা পর্যন্ত) সংস্কার ৩ মে.টন, দুলাল রোর্ড সংস্কার ( সেরাং বাড়ি হতে হাজী ফজর আলী রাস্তা পর্যন্ত) ১ লাখ টাকা; চরফলকন কেয়াররোড সংস্কার ৩ লাখ টাকা, সিকদার রোড সংস্কার ২ লাখ টাকা, পূর্ব চরফলকন সপ্রাবি মাঠ ভরাট, ৩.৬  মে.টন, হাজিরহাট-খায়েরহাট সড়কের দুই পাশ মাটি ভরাট ১ লাখ ১০ হাজার টাকা,  লেদু হাজী জামে মসজিদের সামনে টয়লেট নির্মাণ ২ লাখ টাকা, সাহেবেরহাট, মিন্টুরোড সংস্কার ২ লাখ টাকা, চরজগবন্ধু সীমান্তরোড ২ লাখ টাকা, মাছঘাট রাস্তা সংস্কার ১ লাখ টাকা, ইউনিয়ন পরিষদ মাঠ ভরাট ২ মে.টন, জগবন্ধু মাতাব্বরহাট রাস্তা সংস্কার ৩ লাখ টাকা, সফিকগঞ্জ কমিউনিটি ক্লিনিক সংস্কার ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা, চরমার্টিন বশির সড়কে খোদাই কুপের রাস্তার মাটি ভরাট ৫.৫ মে.টন

চরলরেঞ্চ ইউনিয়নে উত্তর চরলরেঞ্চ সওদাগর রোড সংস্কার ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা, বীর মুক্তিযোদ্ধ নুরনবী রোড সংস্কার ৩ মে.টন, সেলিম রোড সংস্কার ৩ মে.টন, মুছার বাপের স্কুল থেকে নাজু সর্দার রাস্তার মাথা পর্যন্ত সংস্কার ৩ মে.টন; হাজিরহাট ইউনিয়নে মানিক রোড সংস্কার ২ লাখ টাকা, আজিজিয়া রোড সংস্কার ১ লাখ টাকা, চরকাদিরা ইউনিয়নে জান্ডার খাল রোড সংস্কার দেড় লাখ টাকা, মেজর মন্নান রোড সংস্কার ২ লাখ টাকা, কেয়ার রোড সংস্কার ৮ মেট্রিক টন, সাহেবেরহাট ইউনিয়নে মাছঘাট রোড সংস্কার ১ লাখ টাকা, জগবন্ধু চেয়ারম্যান বাজার রোড সংস্কার ২ মেট্রিক টন, জগবন্ধু-মাতাব্বরহাট রোড সংস্কার ৩ লাখ টাকা, সোহেল রোড সংস্কার ২ লাখ টাকা, ফজলু মাস্টার বাড়ির পাশের পুকুরে গাইড ওয়াল নির্মাণ সাড়ে তিন মেট্রিক টন, এমপির খাল পাড় কালভার্ট নির্মাণের জন্য ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু প্রকল্পগুলো সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে কোনো কোনোটিতে কোনো কাজই হয়নি। আবার কিছু প্রকল্পে সামান্য কাজ হলেও সেটার অস্তিত্ব এখন নেই।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওইসব প্রকল্পের সভাপতিরা ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে সরকারী বরাদ্দগুলো লুটে নিয়েছেন।

উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মো. শাহাজান, ছিদ্দিক উল্যাহ আবুল কালাম জানান, ওই এলাকার ছেরাজল হক সড়কটি দীর্ঘ দিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে। কিন্তু ওই সড়কটি সংস্কারের জন্য সরকার দুই মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হলে কোনো কাজই হয়নি। এমন অনয়িম-দুর্নীতির কারণে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ওই সড়কটি একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়বে। যে কারণে তারা এমন কর্মকান্ডের সঙ্গে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা পরিতোষ কুমার বিশ^াস জানান, টিআর-কাবিখা প্রকল্পে অনিয়ম হয়ে থাকলে তা সরেজমিন তদন্ত করে দেখা হবে। অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুচিত্র রঞ্জন দাস জানান, কাজ না করে বিল উত্তোলনের সুযোগ নেই। তবুও, অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হবে।

Tag :
About Author Information

Sagor Ahmed

লক্ষীপুরে  বৃদ্ধা মহিলাকে জবাই করে হত্যা

কমলনগরে টিআর-কাবিখায় লুটপাটের অভিযোগ

Update Time : ০১:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪
কমলনগর-রামগতি  প্রতিনিধি;: নীতিমালার তোয়াক্কা না করে লক্ষীপুরের কমলগরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষন ও সংস্কার কর্মসূচীর (টিআর-কাবিখা) সমূদয় বরাদ্দ লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন ইউনিয়নের জন্য নেওয়া প্রকল্পের বিপরীতে কোনো প্রকার কাজ না করেই প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির বরাদ্দ তুলে নিয়েছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বার সহ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সভাপতিরা। সরেজমিন বিভিন্ন প্রকল্প এলাকা ঘুরে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে সরকারি অর্থ লুটপাটের এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উদয়ন রোড থেকে ছেরাজল হক রোড সংস্কার ২ মে.টন, ৫ নং ওয়ার্ডের তাজু মুন্সি রোড সংস্কার ২ মে.টন,  ৬নং ওয়ার্ডের মাস্টার রোড ভ‚ঁইয়া গ্রাম সঃপ্রাবি থেকে সেলিম রোড পর্যন্ত ৪ লাখ ১০হাজার টাকা, গনিরমিজ আলম রোড সংস্কার ১ লাখ টাকা, দুলাল রোডে ২ লাখ ২৮ হাজার টাকা, দোপাড়া থেকে দুলাল রোড ১ লাখ টাকা, সেলিম রোড থেকে কোনার বাড়ি পর্যন্ত ২ লাখ টাকা, দোপাড়া রোড হতে তাহের ভ‚ঁইয়া বাড়ি পর্যন্ত ৫৫ হাজার টাকা, আলাউদ্দিনের বাড়ি হতে মহিউদ্দিনের দোকান পর্যন্ত ৫৫ হাজার টাকা, গনি রমিজ আলম রোডে মফিজের বাড়ি পর্যন্ত সংস্কার ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা, হাজী ফাজির ব্যাপারি রোড সংস্কার ৩ মে.টন, মনির মাস্টার রোড সংস্কার ৩ মে.টন, হাজী ছেরাজল হক রোড সংস্কারে সাডে ৩ মে.টন, মনির মাস্টার রোড (শাহজী রোড হতে গোপটা পর্যন্ত) সংস্কার ৩ মে.টন, দুলাল রোর্ড সংস্কার ( সেরাং বাড়ি হতে হাজী ফজর আলী রাস্তা পর্যন্ত) ১ লাখ টাকা; চরফলকন কেয়াররোড সংস্কার ৩ লাখ টাকা, সিকদার রোড সংস্কার ২ লাখ টাকা, পূর্ব চরফলকন সপ্রাবি মাঠ ভরাট, ৩.৬  মে.টন, হাজিরহাট-খায়েরহাট সড়কের দুই পাশ মাটি ভরাট ১ লাখ ১০ হাজার টাকা,  লেদু হাজী জামে মসজিদের সামনে টয়লেট নির্মাণ ২ লাখ টাকা, সাহেবেরহাট, মিন্টুরোড সংস্কার ২ লাখ টাকা, চরজগবন্ধু সীমান্তরোড ২ লাখ টাকা, মাছঘাট রাস্তা সংস্কার ১ লাখ টাকা, ইউনিয়ন পরিষদ মাঠ ভরাট ২ মে.টন, জগবন্ধু মাতাব্বরহাট রাস্তা সংস্কার ৩ লাখ টাকা, সফিকগঞ্জ কমিউনিটি ক্লিনিক সংস্কার ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা, চরমার্টিন বশির সড়কে খোদাই কুপের রাস্তার মাটি ভরাট ৫.৫ মে.টন

চরলরেঞ্চ ইউনিয়নে উত্তর চরলরেঞ্চ সওদাগর রোড সংস্কার ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা, বীর মুক্তিযোদ্ধ নুরনবী রোড সংস্কার ৩ মে.টন, সেলিম রোড সংস্কার ৩ মে.টন, মুছার বাপের স্কুল থেকে নাজু সর্দার রাস্তার মাথা পর্যন্ত সংস্কার ৩ মে.টন; হাজিরহাট ইউনিয়নে মানিক রোড সংস্কার ২ লাখ টাকা, আজিজিয়া রোড সংস্কার ১ লাখ টাকা, চরকাদিরা ইউনিয়নে জান্ডার খাল রোড সংস্কার দেড় লাখ টাকা, মেজর মন্নান রোড সংস্কার ২ লাখ টাকা, কেয়ার রোড সংস্কার ৮ মেট্রিক টন, সাহেবেরহাট ইউনিয়নে মাছঘাট রোড সংস্কার ১ লাখ টাকা, জগবন্ধু চেয়ারম্যান বাজার রোড সংস্কার ২ মেট্রিক টন, জগবন্ধু-মাতাব্বরহাট রোড সংস্কার ৩ লাখ টাকা, সোহেল রোড সংস্কার ২ লাখ টাকা, ফজলু মাস্টার বাড়ির পাশের পুকুরে গাইড ওয়াল নির্মাণ সাড়ে তিন মেট্রিক টন, এমপির খাল পাড় কালভার্ট নির্মাণের জন্য ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু প্রকল্পগুলো সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে কোনো কোনোটিতে কোনো কাজই হয়নি। আবার কিছু প্রকল্পে সামান্য কাজ হলেও সেটার অস্তিত্ব এখন নেই।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওইসব প্রকল্পের সভাপতিরা ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে সরকারী বরাদ্দগুলো লুটে নিয়েছেন।

উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মো. শাহাজান, ছিদ্দিক উল্যাহ আবুল কালাম জানান, ওই এলাকার ছেরাজল হক সড়কটি দীর্ঘ দিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে। কিন্তু ওই সড়কটি সংস্কারের জন্য সরকার দুই মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হলে কোনো কাজই হয়নি। এমন অনয়িম-দুর্নীতির কারণে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ওই সড়কটি একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়বে। যে কারণে তারা এমন কর্মকান্ডের সঙ্গে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা পরিতোষ কুমার বিশ^াস জানান, টিআর-কাবিখা প্রকল্পে অনিয়ম হয়ে থাকলে তা সরেজমিন তদন্ত করে দেখা হবে। অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুচিত্র রঞ্জন দাস জানান, কাজ না করে বিল উত্তোলনের সুযোগ নেই। তবুও, অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হবে।