লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জে এম সজিব হত্যা মামলার আসামি আনোয়ার হোসেন দুলাল ওরফে পাহাড়ি দুলাল ওরফে বামহাতি দুলালকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যে একটি দেশীয় তৈরি এলজি ও দুটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
দুলাল সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের মান্দারের দিঘির পাড়া এলাকার মৃত আবদুল আজিজের ছেলে। সে সজিব হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত ৫ নম্বর আসামি।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পর পাহাড়ি দুলালকে গ্রেপ্তার করতে ঝিনাইদহ এবং খুলনা জেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালানো হয়। পরে তাকে খুলনার ডুমুরিয়া থানাধীন শরাপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। পরে তাকে লক্ষ্মীপুরে নিয়ে আসা হয়।
পুলিশ আরও জানায়, দুলালকে জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তার দেওয়া স্বীকারোক্তিতে সোমবার (২৯ এপ্রিল) ভোররাতে তার বসতবাড়ি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি দেশীয় তৈরি এলজি ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
প্রেস বিফ্রিংয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশীদ বলেন, আসামি দুলাল জিজ্ঞাসাবাদে অন্য আসামিদের নামও বলেছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। মামলার প্রধান আসামি কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুকেও গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, ১২ এপ্রিল রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় অভিযুক্তরা। একপর্যায়ে সজীবকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এসময় তাকে বাঁচাতে গেলে অন্যদের ওপরও গুলি চালানোর অভিযোগ রয়েছে। সোমবার রাতে সজিবের মা বুলি বেগম বাদি হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কাজী বাবলুসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছে। এতে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। ১৬ এপ্রিল রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় এম সজিব। এ মামলায় বিভিন্ন সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তাজু ভূঁইয়াসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।