ভোলা- সাংবাদাতা: ভোলা লালমোহন উপজেলায় দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি ও আনন্দ টিভির জেলা প্রতিনিধি এম এ হান্নান কে হামলা ও হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে মো. ছিদ্দিকুর রহমান(৫৫),মো. শরিফের (২৪) নামের দুজনের বিরুদ্ধে । তারা উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের, ০১নং ওয়ার্ড, কর্তারহাট বাজার এলাকার বাসিন্দা,সম্পর্কে তারা বাবা ছেলে।
এঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার (২০মার্চ) সকালে ভুক্তভোগী সাংবাদিক হান্নান লালমোহনে থানায় একটি সাধারণ সাধারন ডায়েরী করেন।
থানায় দায়ের কৃত সাধারণ ডায়েরির সূত্রে ও সাংবাদিক হান্নান এর সাথে কথা বলে জানা যায়,
গত অনুমান ৩/৪ মাস পূর্বে অভিযুক্ত ছিদ্দিকুর রহমানের পুত্রবধূ ও অভিযুক্ত মো. শরীফ এর স্ত্রী তাহাদের বসত ঘরের মধ্যে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে, এঘটনায় আমি ও আমার সহকর্মীবৃন্দরা উক্ত ঘটনার সংবাদ পাইয়া আত্নহত্যার মূল রহস্য উদঘাটনের লক্ষ্যে তাদের বাড়ীতে যাই এবং উক্ত আত্মহত্যার বিষয়ে সংক্রান্ত নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করি। যাহার ফলশ্রুতিতে তারা আমার উপর ক্ষীপ্ত হইয়া সুযোগ খুজিতে থাকে। তারই ধারাবাহীকতায় গতকাল ১৯শে মার্চ বুধবার রাত ১০টার দিকে
আমিও আমার এক সহ কর্মী মোঃ হাসনাইন (৩৭) সাথে নিয়ে ,উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ০১ নং ওয়ার্ড এলাক কর্তারহাট বাজারে জনৈক রুবেল এর মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থাকাকালীন সময়ে হঠাৎ অভিযুক্ত ছিদ্দিকুর, ও শরিফ আমাকে দেখে পূর্বে সংবাদ অনুসন্ধানের নিমিত্তে তাহাদের বাড়ীতে যাওয়াকে কেন্দ্র করে আমার এর সাথে অযথা ঝগড়া ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তখন আমি প্রতিবাদ করলে তারা তাকে ধারালো চাকু, লাঠি সোঠা, লোহার রড ইত্যাদি নিয়ামারার জন্য তেড়ে আসে। তখন স্থানীয় সাক্ষী ১) মোঃ রুবেল (৩৭) পিতা-মৃত লোকমান সাজি, ২। মোঃ জহিরুল (৩০), পিতা-অজ্ঞাত, উভয় সাং-রমাগঞ্জ, ০১নং ওয়ার্ড, কর্তারহাট, সহ আরো অনেকে ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্তদের থেকে আমাকে ও আমার সহকর্মী কে উদ্বার করে। পরবর্তীতে তারা ধারালো চাকু ও লোহার রড ইত্যাদি লাঠি উঠিয়ে প্রকাশ্যে জনসম্মুখে খুন জখমের হুমকি দেয়।অভিযুক্তরা একই উপজেলার পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের লোক,তারা অত্যন্ত দুষ্ট দুর্দান্ত ও বখাটে প্রকৃতির লোক। মানুষের সাথে অকারনে ঝগড়া বিবাদ মারামারি করা ও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সম্মান হানি করা তাদের নেশা ও পেশা। তাদের সাথে আমার ব্যাক্তিগত কোন বিরোধ নেই।
তারা যেকোন সময় আমার ও আমার পরিবারের লোকদের বড় ধরনের ক্ষতিসাধন করতে পারে। তাই এ বিষয়ে আমি আইনি সহায়তা পেতে থানায় এজাহার দায়ের করেছি বলেও জানান ভুক্তভোগী সাংবাদিক হান্নান।
অভিযুক্ত সিদ্দিকুর রহমান,উপজেলার বদর পুর ইউপি সচিব, তার মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি সাংবাদিককে হত্যার বিষয়টিকে হেসে উড়িয়ে দিয়ে বলেন,এ বিষয়ে আমি আপনার সাথে ফোনে কোন কথা বলতে পারবোনা আপনার কিছু জানার থাকলে আপনি এসে আমার সাথে সাক্ষাত করে জানেন।
এ বিষয় লালমোহন থানা অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) এস এম মাহাবুবুর রহমান জানান সাংবাদিক হান্নান কে হত্যার বিষয় আজ সকালে একটি জিডি পেয়েছি,পরবর্তীতে জিডিটি বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে,আদালত থেকে ওয়ারেন্ট ইস্যু হলে,আসামীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে এবিষয়টিকে কেন্দ্র করে বিবৃতি দিয়েছেন ভোলা সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, ভোলা প্রেসক্লাব সভাপতি এডভোকেট নজরুল হক অনু, (অনু-মিঠু পরিষদ)
বলেন এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি, একজন ইউপি সচিব কিভাবে দেশের প্রথমসারির গণমাধ্যমে কাজ করা একজন সাংবাদিক কে হত্যার হুমকি দেয়। অনতিবিলম্বে দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি