নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে নুর হোসেন নামের এক ব্যবসায়ীর বসত ঘরে ডুকে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে মোরশেদ হোসেন,রেদোয়ান ও তাসলিমা আক্তারের বিরুদ্ধে। এসময় তারা নুর হোসেনের স্ত্রী ফিরোজা বেগমকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে তার কাছে রক্ষিত ব্যবসার ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা এবং গলার ও কানের স্বর্ণালংকার চিনিয়ে নেয়। ফিরোজা বেগমের আত্মচিৎকারে মোরশেদ ও তাসলিমা পালিয়ে গেলেও রেদওয়ানকে আটক করে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা। ফিরোজাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় এখনো সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
রেদোয়ান সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের শরিফপুর গ্রামের আহম্মদ এর ছেলে। তাসলিমা একই ইউনিয়নের পিয়ারাপুর গ্রামের রুহুল আমিনের মেয়ে। এদিকে অপর অভিযুক্ত মোরশেদ শরিফপুর গ্রামের আব্দুর গফুর বাড়ির হাসেম এর ছেলে এবং তাসলিমার স্বামী। তার রয়েছে একাধিক মামলা এছাড়াও অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া আপন শ্যালিকাকে অপহরণ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী নুর হোসেন পিয়ারাপুর গ্রামের কবিরাজ বাড়ির মৃত আবদুল হালিমের ছেলে পেশায় গরু ব্যবসায়ী। অভিযুক্ত তাসলিমা তার…।
ভুক্তভোগী ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ মার্চ সন্ধ্যার দিকে ব্যবসায়ী নুর হোসেন বাড়ি থেকে একটু দূরে চা দোকানে যায়। যাওয়ার সময় গরু বিক্রির ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা রেখে যায় স্ত্রী ফিরোজার নিকট। তাসলিমা এসে দরজা খুলতে বলে ফিরোজা দরজা খোলার সাথে সাথে রেদোয়ান ও তাসলিমার স্বামী মোরশেদ ঘরে ডুকে ফিরোজার মুখ চেপে ধরে। এবং হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। তার কোমরে থাকা টাকা এবং গলা এবং কানের স্বর্ণালংকার নিয়ে নেয়। পরে ফিরোজা চিৎকার দিলে তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় রেদোয়ানকে আটক করে দিপু এ সময় দিপু মাথায় আঘাত পায়।
পরে এ ঘটনায় নুর হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে সেই মামলায় তাসলিমাকে গ্রেফতার করে পুলিশ পলাতক রয়েছে তার স্বামী। এদিকে রেদোয়ান বর্তমানে কারাবন্দী থাকলেও জামিনে আছে তাসলিমা তার হুমকিতে আতঙ্কে আছে নুর হোসেন ও তার পরিবার।
অনতিবিলম্বে প্রধান আসামি মোরশেদকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের।