গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে সদর উপজেলার আটিয়াতলী গ্রামের নাছির মাস্টার বাড়িতে এ হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
প্রবাসী সাফায়েত ও হামলাকারী সবাই একই বাড়ির বাসিন্দা।
এ ঘটনায় প্রবাসীর স্ত্রী ফারজানা আক্তার সুমি বাদি হয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
অন্যদিকে মামলা করায় আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে মঙ্গলবার ২৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পুনরায় হামলা ও ভাঙচুর চালায়।
এদিকে মামলার পর পুনরায় হামলার শিকার হয়ে আতঙ্কে রয়েছে প্রবাসীর পরিবার।
ভুক্তভোগী ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন থেকে পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছে।
এ নিয়ে স্থানীয় ভাবে একাধিক বার শালিসি বৈঠক হয়। সর্বশেষ এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় শালিসি বৈঠক শেষ ঘর নির্মাণ শুরু করে প্রবাসী সুজন। নির্মাণ কাজ শুরু থেকে দিদার, ইব্রাহিম, শাজাহান, রাসেল,জুয়েল নানা ভাবে হুমকি দেয়। পরে তারা গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে নির্মাণাধীন ঘরে হামলা ও ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় প্রবাসীর স্ত্রী সুমি বাদি হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। ভাঙচুর করে ঘরের আসবাবপত্র ভেঙ্গে ফেলে দুটি দেয়াল। এসময় বাধা দিতে আসলে প্রবাসীর স্ত্রী সুমিকে মারধর করে তারা। এক পর্যায়ে তার গলায় ধারালো অস্ত্রদিয়ে হত্যা করতে যায়। এতে বাধা দিলে মাহবুব ও জেসমিন কে মারধর করে তারা।
এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। একটি মামলা রজু করা হয়েছে। পুনরায় হামলার বিষয়টি কেউ জানায়নি।