নিজস্ব প্রতিবেদক; লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার হাজিরহাটের চরজাঙ্গালীয়া এলাকার সয়াবিন ক্ষেত থেকে আবুল কাশেম (৩৫) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে আবুল কাশেমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। ঘটনাস্থলটি ওই যুবকের শ্বশুর বাড়ির পাশের সয়াবিন ক্ষেত ছিল। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী করেছেন, স্বজনরা। কাশেম কমলনগর উপজেলার চরকাদিরার আবু সায়েদের ছেলে। সে পেশায় কৃষি শ্রমিক ছিল।
পুলিশ ও স্বজনরা জানায়. প্রায় তিন মাস আগে আবুল কাশেম হাজিরহাট ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চর জাঙ্গালিয়া এলাকার আলি আক্কাসের মেয়ে তাসলিমাকে বিয়ে করে। তাসলিমা তার দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রথম স্ত্রীর সাথে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। বুধবার সকালে কাশেমের মরদেহ সয়াবিন ক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। আবুল কাশেমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। এঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান তারা।
কামেশের বাবা আবু সায়েদ জানান, মঙ্গলবার তার ছেলে শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে তাদের বাড়ি থেকে বের হয়। সকালে ছেলের মৃত্যুর খবর পান তিনি। তার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে সয়াবিন ক্ষেতে ফেলে যায়। এঘটনার সাথে করা জড়িত,সেটা তদন্ত করে বের করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন তিনি।
হাজিরহাট ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ইয়াছিন আরাফাত বলেন, কাশেম মঙ্গলবার বিকেলে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়। বুধবার সকালে শ্বশুর বাড়ির পাশের একটি ফসলি ক্ষেতে তার মৃতদেহ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মুখে দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে।
কমলনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল জলিল বলেন, আবুল কাশেমের মৃতদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার নাক-মুখ দিয়ে রক্ত রক্ত বের হচ্ছে। তাকে শ^াসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। তবে কি কারনে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। সেটা এখন নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত চলছে। জড়িতদের চিহিৃত করে গ্রেফতার করা হবে।