নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসেনর নৌকার প্রার্থী গোলাম ফারুক পিংকুর নির্বাচনী গান দোকানে বসে শুনছে দুই বন্ধু আবু কাওসার (২১) ও ফজলে রাব্বি (২১)। হঠাৎ স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক) প্রতীক এম.এ সাত্তারের সমার্থক আসিফ এসে তাদের নিষেধ করে গান বন্ধ রাখার জন্য। গান শুনাকে কেন্দ্র করে একপর্যায়ে উভয়পক্ষ তর্কবিতর্ক জড়িয়ে পড়ে। পরে আসিফ ও তার সহপাঠীরা (নৌকার) সমার্থক কাওসার ও রাব্বিকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এতে তাদের মাথা ফেটে যায়।
কিন্তু চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু তালেব বলছে, এটি একটি পারিবারিক ঘটনা। রাজনীতি বা নির্বাচনী কোন ইস্যু নয়।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৫ টার দিকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আতহ কাওসার ও রাব্বি তাদের ওপর হামলার ঘটনা বর্ণনা দেয়।
এর-আগে, দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে সদর উপজেলার মান্দারি ইউনিয়নের গন্তব্যপুর বৌ-বাজার শাহজাহানের চা-দোকানে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত কাওসার গন্তব্যপুর গ্রামের নূর-এ আকমের ছেলে। ফজলে রাব্বি একই গ্রামের রফিকউল্লাহর ছেলে। তারা দুইজন কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে তারা দাবি করছে। হামলাকারী আসিফ গন্তব্যপুর গ্রামের আনিসুর রহমানের ছেলে।
মান্দারি ইউনিয়নের (৮নং ওয়ার্ড) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান, দুপুরের একটু পরে নৌকার সমর্থক ও ছাত্রলীগের সক্রিয়কর্মী কাওসার ও রাব্বি দোকানে বসে নৌকা মার্কার গান শুনছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ট্রাক মার্কার সমর্থক আসিফের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা হয়। খবর পেয়ে আহতদের হাসপাতালে দেখতে আসি।
বক্তব্য জানতে স্বতন্ত্র (ট্রাক) প্রতীক মার্কা এম এ সাত্তারকে মোবাইল করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
নৌকার প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, আমার কর্মীদের উপর হামলার ঘটনা জেনেছি। তাদেরকে চিকিৎসা নিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করবো ও থানায় মামলা করবো। আমার কর্মীর উপর হামলাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়নাল আবেদীন বলেন, মারামারির ঘটনায় দুইজনকে হাসাপাতালে ভর্তি দেওয়া হয়েছে। তাদের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলছেন বিষয়টি তাদের জানা নেই। বিস্তারিত খবর নিচ্ছে।