Dhaka , শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
লক্ষীপুরে  বৃদ্ধা মহিলাকে জবাই করে হত্যা লক্ষ্মীপুর মাদরাসার টয়লেটে থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার,অটক -১ কমলনগরে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন দুই দফা না মানলে লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি লক্ষ্মীপুর আদালতের কর্মচারীদের কমলনগরে খাল দখল করে দোকানঘর নির্মাণের প্রতিবাদে  মানববন্ধন  ন্যায্যমূল্য না পেয়ে হতাশায় কৃষক; কোটি কোটি টাকা লোকসান লক্ষ্মীপুরে ইউনিয়ন বিভক্তির দাবিতে ফুুঁসে উঠেছে জনগণ লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মে দিবসের বর্ণাঢ্য র‌্যালিও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কমলনগরে অপহরণকৃত স্কুলছাত্রীর লাইভ নিয়ে নানা প্রশ্ন  কমলনগরে অবৈধ ইটভাটা স্থাপনের দায়ে ৯ লাখ টাকা জরিমানা আদায়

লক্ষ্মীপুরে স্ত্রী-শ্বশুরকে কুপিয়ে হত্যা শ্বাশুড়ি আহত ঘাতক পলাতক

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৪৯ Time View

ফাইল ছবি : ঘাতক সুমন

নিজস্ব প্রতিনিধি:  লক্ষ্মীপুরে নিজের স্ত্রীকে অন্য জাগায় বিয়ে দেওয়ায় স্ত্রী রাশেদা বেগম (২২) ও শ্বশুর মো. বাদশা মিয়াকে (৫০) নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তালাক প্রাপ্ত স্বামী মো. জাকির হোসেন সুমনের বিরুদ্ধে। এসময় শ্বাশুড়ি আঙ্কুরী বেগমকে (৪৫) কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। তাকে মুমূর্ষু অবস্থা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা জেলার রামগতি উপজেলার চর বাদাম ইউনিয়নে (৯নং ওয়ার্ড) চরকলা কোপা গ্রামে এ নৃশংস হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়।

নিহত বাদশা মিয়া চরকলা কোপা গ্রামের মৃত তোবারক আলীর ছেলে পেশায় ইট ভাটার শ্রমিক ও ৪ ছেলে ১ কন্যা সন্তানের বাবা ছিলেন।

ঘাতক সুমন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়নের (৪নং ওয়ার্ড) পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন-
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যন্ড অপস্) মো. হাসান মোস্তফা স্বপন, কমলনগর-রামগতি সার্কেল সাইফুল আলম চৌধুরী, রামগতি থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে সুমনের সঙ্গে রামগতি উপজেলার চর কলা কোপা গ্রামের তোবারক আলীর মেয়ের সঙ্গে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে জাহিদ নামে ৩ বছরে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে তারা চট্টগ্রামে বসবাস করতো। বিয়ের পর থেকেই সুমন স্ত্রী রাশেদাকে মারধর করতো। তাই রাশেদাকে তার বাবা-মা নিজের বাড়িতে নিয়ে চলে আসেন। পরে তাকে এলাকায় আনা হয়। ২০ দিন পূর্বে রাশেদার মা-বাবা তাকে নোয়াখালী সদরের আন্ডারচর এলাকার আব্দুল কাদের নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে দেন। তবে সুমন তার স্ত্রীর বিয়ের বিষয়টি জানতেন না। বুধবার সন্ধ্যায় সুমন তার স্ত্রীকে নিতে আসলে বিয়ের বিষয়টি জানতে পারেন। পরে এসব নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী রাশেদা, শ্বশুর বাদশা ও শাশুড়ি আঙ্কুরী বেগমকে কুপিয়ে সুমন পালিয়ে যান। এ সময় ঘটনাস্থলেই রাশেদা ও তার বাবা বাদশা মারা যান। আহত অবস্থায় আঙ্কুরীকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম অ্যন্ড অপস্) মো. হাসান মোস্তফা স্বপন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, পারিবারিক কলহে বাবা-মাকে কুপিয়ে হত্যা করে মেয়ের স্বামী সুমন। আহত হয় শ্বাশুড়ি। তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর থেকে ঘাতক সুমন পলাতক রয়েছে। তাকে আটক করতে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

Tag :
About Author Information

Sagor Ahmed

লক্ষীপুরে  বৃদ্ধা মহিলাকে জবাই করে হত্যা

লক্ষ্মীপুরে স্ত্রী-শ্বশুরকে কুপিয়ে হত্যা শ্বাশুড়ি আহত ঘাতক পলাতক

Update Time : ১১:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ফাইল ছবি : ঘাতক সুমন

নিজস্ব প্রতিনিধি:  লক্ষ্মীপুরে নিজের স্ত্রীকে অন্য জাগায় বিয়ে দেওয়ায় স্ত্রী রাশেদা বেগম (২২) ও শ্বশুর মো. বাদশা মিয়াকে (৫০) নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তালাক প্রাপ্ত স্বামী মো. জাকির হোসেন সুমনের বিরুদ্ধে। এসময় শ্বাশুড়ি আঙ্কুরী বেগমকে (৪৫) কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। তাকে মুমূর্ষু অবস্থা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা জেলার রামগতি উপজেলার চর বাদাম ইউনিয়নে (৯নং ওয়ার্ড) চরকলা কোপা গ্রামে এ নৃশংস হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়।

নিহত বাদশা মিয়া চরকলা কোপা গ্রামের মৃত তোবারক আলীর ছেলে পেশায় ইট ভাটার শ্রমিক ও ৪ ছেলে ১ কন্যা সন্তানের বাবা ছিলেন।

ঘাতক সুমন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়নের (৪নং ওয়ার্ড) পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন-
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যন্ড অপস্) মো. হাসান মোস্তফা স্বপন, কমলনগর-রামগতি সার্কেল সাইফুল আলম চৌধুরী, রামগতি থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে সুমনের সঙ্গে রামগতি উপজেলার চর কলা কোপা গ্রামের তোবারক আলীর মেয়ের সঙ্গে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে জাহিদ নামে ৩ বছরে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে তারা চট্টগ্রামে বসবাস করতো। বিয়ের পর থেকেই সুমন স্ত্রী রাশেদাকে মারধর করতো। তাই রাশেদাকে তার বাবা-মা নিজের বাড়িতে নিয়ে চলে আসেন। পরে তাকে এলাকায় আনা হয়। ২০ দিন পূর্বে রাশেদার মা-বাবা তাকে নোয়াখালী সদরের আন্ডারচর এলাকার আব্দুল কাদের নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে দেন। তবে সুমন তার স্ত্রীর বিয়ের বিষয়টি জানতেন না। বুধবার সন্ধ্যায় সুমন তার স্ত্রীকে নিতে আসলে বিয়ের বিষয়টি জানতে পারেন। পরে এসব নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী রাশেদা, শ্বশুর বাদশা ও শাশুড়ি আঙ্কুরী বেগমকে কুপিয়ে সুমন পালিয়ে যান। এ সময় ঘটনাস্থলেই রাশেদা ও তার বাবা বাদশা মারা যান। আহত অবস্থায় আঙ্কুরীকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম অ্যন্ড অপস্) মো. হাসান মোস্তফা স্বপন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, পারিবারিক কলহে বাবা-মাকে কুপিয়ে হত্যা করে মেয়ের স্বামী সুমন। আহত হয় শ্বাশুড়ি। তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর থেকে ঘাতক সুমন পলাতক রয়েছে। তাকে আটক করতে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।