পরিচয় গোপন করার শর্তে সাবেক এক শিবির নেতা জানান, ২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসে লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি হওয়া জাকারিয়াকে অর্থ আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগে বছরের মাঝামাঝি জুলাই মাসে তার পদথেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয় ।
এই পূঁজির অপব্যবহার করে জাকারিয়া, লক্ষ্মীপুর হাউজিং, ইউনাইটেড ট্রেড সেন্টার, ভিআইপি হাউজিং সহ বিভিন্ন নামে কোম্পানি গঠন করে। এরপর বিভিন্ন মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে লাখ টাকায় মাসিক ৩০০০-৩৫০০ টাকা লভাংশ প্রদানের লোভনীয় প্রস্তাব দেয়। এভাবে কয়েক কোটি টাকা সংগ্রহ করে একসময় লভ্যাংশ না দিয়ে গা ঢাকা দেয় ।
২০১০ সালে লক্ষ্মীপুর কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ মোবাশ্বের আহমেদকে গোপন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সরিয়ে দিয়ে জাকারিয়া নিজে নিজেই অধ্যক্ষ বনেযান । অধ্যক্ষ হয়ে কলেজের শেয়ার হোল্ডার নেয়ার নামে আবারও কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন জাকারিয়া । ধীরে ধীরে তার হাউজিং এর বিনিয়োগ কারিগন তার অবস্থান জেনে ফেলায় জাকারিয়া আত্নগোপনে চলে যান । কয়েক বছর আত্নগোপন থেকে জেলাশহর থেকে দূরে চন্দ্রগঞ্জ উপশহরে গড়ে উঠা নতুন কলেজ চন্দ্রগঞ্জ সিটি ক্যামব্রিজ কলেজে ভারপ্রাপ্ত থেকে অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেন তিনি । এদিকে তার প্রতিষ্ঠিত হাউজিং কোম্পানির বিনিয়োগ কারীগন তাকে না পেয়ে আদালতে তার টাকা নেয়ার জামানত হিসাবে দেয়া চেক দিয়ে মামলা করেন । এক পর্যায়ে মামলায় সাজার ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাঝ পথ থেকে গায়েব করে দিতেন তিনি । এভাবেই জেল না খেটে আত্নগোপন থেকে বছরের পরে বছর কাটিয়ে দেন তিনি ।