নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং করেন পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ ১৯ জুলাই বুধবার সকাল ১১ ঘটিকার সময় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের হল রুমে সাংবাদিতদের সাথে এই প্রেস ব্রিফিং করেন।। তিনি বলেন গত ১৮ জুলাই মঙ্গলবার বিকাল অনুমান ৩ ঘটিকা হইতে ৫ ঘটিকার মধ্যবর্তী যেকোন সময়ে লক্ষ্মীপুর জেলার বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি সময়ের আগে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি স্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডটি ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণে হত্যাকান্ড। কোন রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড নয়। বিএনপি কর্তৃক দাবিকৃত সজীব নামক এক ব্যক্তির হত্যাকাণ্ডের যে ঘটনা ঘটেছে, তা প্রাথমিক অনুসন্ধানে কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। বিএনপির সাথে পুলিশের যে স্থানে সংঘর্ষ হয়, সেখান থেকে হত্যাকাণ্ডের স্থানের দূরত্ব আনুমানিক ২/২.৫ কি:মি:। বিএনপি’র পদযাত্রার রুটের সম্পূর্ণ বিপরীতে মূল সড়ক হতে ১৫০ গজ দূরে কলেজ রোডের পাশে ফিরোজা টাওয়ারের গলির মুখে ৪-৫ জন ছেলে সজীবকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। একপর্যায়ে সজীব নিজেকে বাঁচাতে দৌড়ে ফিরোজা টাওয়ারের এস এস গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকে দোতলায় সিঁড়ি দিয়ে উঠে ফ্লাটবাসার নোমান হোসেনের পাশের ফ্লাটের দরজার সামনে বসে শুয়ে পড়ে যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে সজীবের মৃত্যু ঘটে। পরবর্তীতে ঘটনাটির প্রকৃত সত্য উদঘাটনে রাত আনুমানিক দেড় ঘটিকায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সিসি ক্যামেরা ফুটেজে দেখা সজীবের মৃত্যু এবং ভাড়াটিয়া নোমান হোসেনের সাথে সজীবের শেষ মুহূর্তে কিছু কথা হয়, যা অনুসন্ধানে পাওয়া যায়।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ ১৯ জুলাই বুধবার সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং করেন লক্ষ্মীপুর জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ মাহফুজ্জামান আশরাফ । এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জনাব মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জনাব মোঃ সোহেল রানা, সহকারী পুলিশ সুপার (শিক্ষানবিশ) জনাব মাহমুদুল হোসাইন, ডিআইও-১ জনাব একেএম আজিজুর রহমান মিয়া, ওসি ডিবি, জনাব সাহাদাত হোসেন টিটো, অফিসার ইনচার্জ (লক্ষ্মীপুর মডেল থানা) জনাব মোহাম্মদ মোসলেহ্ উদ্দিন, অফিসার ইনচার্জ (রায়পুর থানা) জনাব শিপন বড়ুয়া, জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ সহ লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।