Dhaka , শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
লক্ষ্মীপুরে কন্যা ধ’র্ষ’ণ : অভিযুক্ত পিতা গ্রেফতার ২৫ দিন ধরে নিখোঁজ কলেজ শিক্ষার্থী, ফিরে পেতে পরিবারের আকুতি লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারির পদত্যাগ,নতুন সেক্রেটারি এ আর হাফিজ উল্লাহ লক্ষ্মীপুরে যুবদল নেতার ওপর সন্ত্রাসী হামলা আহত -২ জামায়াত নেতা হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করছে বিএনপি-ড. রেজাউল করিম নব্য ফ্যাসিবাদরাই জামায়াত নেতা কাউছারকে হত্যা করেছে : ড. রেজাউল করিম স্বাভাবিক মৃত্যুকে পুঁজি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার চেষ্টা করবেন না : এ্যানি  ফ্যাসিস্ট পালিয়ে গেছে কিন্তু ষড়যন্ত্র শেষ হয়নাই আমাদের প্রত্যাশা এপ্রিলের আগে নির্বাচন:এ্যানি লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতার খুনীদের গ্রেফতার দাবিতে বিক্ষোভ  লক্ষ্মীপুরে ৭০০ স্বর্ণের দোকান বন্ধ, বৃষ্টিতে ভিজে মানববন্ধন

লক্ষ্মীপুরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩
  • ২০০ Time View

নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর শহরের সিটি হসপিটালের অপারেশনের সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর মো. আবু ছায়েদ নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সকালে টার দিকে মারা যান তিনি। তবে পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় তার মৃত্যু হয়েছে। আবু ছায়েদ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের বিজয়নগর গ্রামের বাসিন্দা।
তার ছেলে দেলোয়ার হোসেন নিশান জানান, তার বাবার ডান পায়ে পোঁড়ার অপারেশনের জন্য গত ২ জুলাই শহরের সিটি হসপিটালে ভর্তি করেন। বুধবার (৫ জুলাই) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ওই হাসপাতালের মালিক ডাঃ রাকিবুল আহছান রোগীর পায়ে অপারেশন করেন। অপারেশন থিয়েটারে নেওয়ার আগে শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকায় তার বাবার অপারেশন করানো হয়। ভোররাতের দিকে তার বাবা বুমি করে, তখন হাসপাতালে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক বা নার্সদের ডেকেও কাছে পাননি। কিছুক্ষণের মধ্যে তার বাবার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর চিকিৎসক এসে দেখে যায়।
দেলোয়ার অভিযোগ করে বলেন, অপারেশন করানোর আগে চিকিৎসক বলেছে অপারেশনের পর পায়ের ব্যাথা বাড়বে বা কমবে। কিন্তু তিনি মৃত্যুর ঝুঁকির কথা বলেননি। সঠিক সময়ে চিকিৎসক বা নার্স এসে চিকিৎসা দিলে হয়তো আমার বাবা মারা যেত না। তাদের অবহেলায় আমার বাবার মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সকালে সিটি হসপিটালে গিয়ে ডাঃ রাকিবুল আহছানকে পাওয়া যায়নি।
তবে ওই হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ইলিয়াস মাহমুদ বলেন, চিকিৎসাজনিত কোন ক্রটি বা অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হয়নি। রোগীকে সঠিকভাবে অপারেশন এবং চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, যে কোন ব্যক্তির হঠাৎ হার্ট এট্যাক হতে পারে। এ রোগীর ক্ষেত্রে হয়তো তেমনটি হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আহম্মদ কবীর বলেন, হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুর বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে শুনেছি। এ বিষয়ে রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :
About Author Information

Sagor Ahmed

আলোচিত

লক্ষ্মীপুরে কন্যা ধ’র্ষ’ণ : অভিযুক্ত পিতা গ্রেফতার

লক্ষ্মীপুরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ

Update Time : ০৬:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর শহরের সিটি হসপিটালের অপারেশনের সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর মো. আবু ছায়েদ নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সকালে টার দিকে মারা যান তিনি। তবে পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় তার মৃত্যু হয়েছে। আবু ছায়েদ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের বিজয়নগর গ্রামের বাসিন্দা।
তার ছেলে দেলোয়ার হোসেন নিশান জানান, তার বাবার ডান পায়ে পোঁড়ার অপারেশনের জন্য গত ২ জুলাই শহরের সিটি হসপিটালে ভর্তি করেন। বুধবার (৫ জুলাই) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ওই হাসপাতালের মালিক ডাঃ রাকিবুল আহছান রোগীর পায়ে অপারেশন করেন। অপারেশন থিয়েটারে নেওয়ার আগে শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকায় তার বাবার অপারেশন করানো হয়। ভোররাতের দিকে তার বাবা বুমি করে, তখন হাসপাতালে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক বা নার্সদের ডেকেও কাছে পাননি। কিছুক্ষণের মধ্যে তার বাবার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর চিকিৎসক এসে দেখে যায়।
দেলোয়ার অভিযোগ করে বলেন, অপারেশন করানোর আগে চিকিৎসক বলেছে অপারেশনের পর পায়ের ব্যাথা বাড়বে বা কমবে। কিন্তু তিনি মৃত্যুর ঝুঁকির কথা বলেননি। সঠিক সময়ে চিকিৎসক বা নার্স এসে চিকিৎসা দিলে হয়তো আমার বাবা মারা যেত না। তাদের অবহেলায় আমার বাবার মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সকালে সিটি হসপিটালে গিয়ে ডাঃ রাকিবুল আহছানকে পাওয়া যায়নি।
তবে ওই হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ইলিয়াস মাহমুদ বলেন, চিকিৎসাজনিত কোন ক্রটি বা অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হয়নি। রোগীকে সঠিকভাবে অপারেশন এবং চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, যে কোন ব্যক্তির হঠাৎ হার্ট এট্যাক হতে পারে। এ রোগীর ক্ষেত্রে হয়তো তেমনটি হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আহম্মদ কবীর বলেন, হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুর বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে শুনেছি। এ বিষয়ে রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।