Dhaka , সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এবার ফ্রি চক্ষু সেবা নিয়ে আসলো স্মার্ট একাডেমি রামগঞ্জে পাঠ্য বইয়ে গণঅভ্যুত্থান নিয়ে’অন্তর্ভুক্ত করবে বিএনপি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ২১ দিন পর স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু লক্ষ্মীপুরে উদ্বোধন হলো বারাকাহ্ মাল্টিকেয়ার হসপিটাল লক্ষ্মীপুরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে পুড়ে গেছে ২০টি দোকান, কোটি টাকার ক্ষতি লক্ষ্মীপুরে আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের মাঝে ঘর নির্মাণের সামগ্রী বিতরণ রায়পুরে ব্যবসায়ী ফেডারেশনের মতবিনিময় গ্রন্থাগার দিবসে পাবলিক লাইব্রেরি উদ্বোধন করলেন ইউ,এন,ও ইমরান খান এদেশের মানুষের হৃদয়ে শেখ হাসিনার নাম থাকবে না: এ্যানি চৌধুরী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ১৭ বছর পর লক্ষ্মীপুরে প্রকাশ্যে শিবিরের র‍্যালি 

বিজয় মিছিল না করার কারণ জানিয়েছেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩
  • ১১২ Time View

মেয়র পদে মাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করার পরও বিজয় মিছিল না করার কারণ জানিয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর দিকে ইঙ্গিত করে তিনি জানিয়েছেন, বিজয় মিছিল করলে অনেকে লজ্জিত হতো। এছাড়া তার অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। বিজয় মিছিল করলে জেলে থাকা নেতাকর্মীরা কষ্ট পাবেন- এজন্য বিজয় মিছিল করেননি।

শনিবার (১০ জুন) নগরের ছয়দানা এলাকার নিজ বাসায় পূবাইল ও কাউলতিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ও সমবেত লোকজনের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজয় মিছিল না করার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘আমরা বিজয় মিছিল করিনি। আমাদের লোকজনকে জেলে রেখে আমরা যদি বিজয় মিছিল করি তাহলে তারা কষ্ট পাবে। এছাড়া আমরা বিজয় মিছিল করলে আবার অনেকে লজ্জিত হবে। তাদের লজ্জায় ফেলতে চাইনি।’

এবারের গাজীপুর সিটি নির্বাচন নিয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এই ভোটটা আনন্দের ছিল না। কষ্টের ছিল। একটা আদর্শের জায়গায় ছিল। আপন মানুষ কীভাবে পর হয়ে যায়, তা এই সিটি নির্বাচন দেখলেই আপনারা বুঝবেন। মিথ্যা কীভাবে সত্য হয়, আর সত্য কীভাবে ধ্বংস করে দেয়, তা এই গাজীপুরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

জাহাঙ্গীর বলেন, ‘এই শহরের ১২ লাখ মানুষকে যারা মানুষ মনে করেনি, যারা মনে করেছিল সিল মেরে ক্ষমতায় বসে মানুষকে চুষে খাবে, তাদের বিরুদ্ধে এই নির্বাচন একটা প্রতিবাদ হয়েছে।’

সাবেক মেয়র বলেন, ‘এই শহর আপনাদের আমাদের সকলের শহর। যারা আমাদের লোকদের ধরিয়েছে, হয়রানি করেছে, গ্রেফতার করিয়েছে বা আমাদের লোকদের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়েছে, সেই নেতাদের ছাড় দেওয়া যাবে না। কারণ শহরের মালিক জনগণ, পুলিশ নয়। লোকদের ধরে গাড়ি পোড়ার মামলা দেবে, বিস্ফোরক মামলা দেবে, এটা কোনো সভ্য সমাজে হয় না।’

 

আওয়ামী লীগের সাবেক এই নেতা বলেন, ‘যারা এসব করিয়েছে তাদের কোনোভাবে ছাড় দেওয়া যাবে না। অপরাধীদের ছাড় দিলে ভবিষ্যৎ বংশধররা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মাস্তান, মিথ্যাবাদী, প্রতারক, ভণ্ড রাজনৈতিক থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি। আমরা মানুষকেও মুক্ত করে দেব।’

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমাদের কিছু লোক এখনো জেলখানায় রয়েছে। আমি মনে করি এই সপ্তাহে তারা মুক্ত হয়ে যাবে। আমাদের প্রায় পাঁচ হাজারের মতো মানুষকে ২৫ তারিখের ভোট পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল। এখন পর্যন্ত চার হাজার ৭০০ জনের মতো মুক্ত হয়েছে। এখনো ৩০০ জনের মতো আটক আছে। তাদের আগামী সপ্তাহের মধ্যে মুক্ত করব।’

ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে সাবেক মেয়র বলেন, ‘আমরা সমাজের সবাইকে নিয়ে চলতে চাই। তবে যারা বাটপার, ধোঁকাবাজ, ক্ষতিকারক তাদের দরকার নেই। আপনারা বিশ্বাস করে আমার মাকে মেয়র নির্বাচিত করেছেন। আপনাদের যা প্রয়োজন মায়ের সাথে মিলে, পরামর্শ করে আমি সেগুলোর সমাধান করে দেব।’

গত ২৫ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১৬ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে পরাজিত করে মেয়র হয়েছেন জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন। আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত জাহাঙ্গীর আলম ঋণখেলাপির অভিযোগে ভোটে লড়তে পারেননি। মাকে সামনে রেখে মূলত তিনিই ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

Tag :
About Author Information

zahirul islam

আলোচিত

এবার ফ্রি চক্ষু সেবা নিয়ে আসলো স্মার্ট একাডেমি রামগঞ্জে

বিজয় মিছিল না করার কারণ জানিয়েছেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর

Update Time : ০১:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩

মেয়র পদে মাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করার পরও বিজয় মিছিল না করার কারণ জানিয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর দিকে ইঙ্গিত করে তিনি জানিয়েছেন, বিজয় মিছিল করলে অনেকে লজ্জিত হতো। এছাড়া তার অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। বিজয় মিছিল করলে জেলে থাকা নেতাকর্মীরা কষ্ট পাবেন- এজন্য বিজয় মিছিল করেননি।

শনিবার (১০ জুন) নগরের ছয়দানা এলাকার নিজ বাসায় পূবাইল ও কাউলতিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ও সমবেত লোকজনের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজয় মিছিল না করার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘আমরা বিজয় মিছিল করিনি। আমাদের লোকজনকে জেলে রেখে আমরা যদি বিজয় মিছিল করি তাহলে তারা কষ্ট পাবে। এছাড়া আমরা বিজয় মিছিল করলে আবার অনেকে লজ্জিত হবে। তাদের লজ্জায় ফেলতে চাইনি।’

এবারের গাজীপুর সিটি নির্বাচন নিয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এই ভোটটা আনন্দের ছিল না। কষ্টের ছিল। একটা আদর্শের জায়গায় ছিল। আপন মানুষ কীভাবে পর হয়ে যায়, তা এই সিটি নির্বাচন দেখলেই আপনারা বুঝবেন। মিথ্যা কীভাবে সত্য হয়, আর সত্য কীভাবে ধ্বংস করে দেয়, তা এই গাজীপুরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

জাহাঙ্গীর বলেন, ‘এই শহরের ১২ লাখ মানুষকে যারা মানুষ মনে করেনি, যারা মনে করেছিল সিল মেরে ক্ষমতায় বসে মানুষকে চুষে খাবে, তাদের বিরুদ্ধে এই নির্বাচন একটা প্রতিবাদ হয়েছে।’

সাবেক মেয়র বলেন, ‘এই শহর আপনাদের আমাদের সকলের শহর। যারা আমাদের লোকদের ধরিয়েছে, হয়রানি করেছে, গ্রেফতার করিয়েছে বা আমাদের লোকদের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়েছে, সেই নেতাদের ছাড় দেওয়া যাবে না। কারণ শহরের মালিক জনগণ, পুলিশ নয়। লোকদের ধরে গাড়ি পোড়ার মামলা দেবে, বিস্ফোরক মামলা দেবে, এটা কোনো সভ্য সমাজে হয় না।’

 

আওয়ামী লীগের সাবেক এই নেতা বলেন, ‘যারা এসব করিয়েছে তাদের কোনোভাবে ছাড় দেওয়া যাবে না। অপরাধীদের ছাড় দিলে ভবিষ্যৎ বংশধররা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মাস্তান, মিথ্যাবাদী, প্রতারক, ভণ্ড রাজনৈতিক থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি। আমরা মানুষকেও মুক্ত করে দেব।’

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমাদের কিছু লোক এখনো জেলখানায় রয়েছে। আমি মনে করি এই সপ্তাহে তারা মুক্ত হয়ে যাবে। আমাদের প্রায় পাঁচ হাজারের মতো মানুষকে ২৫ তারিখের ভোট পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল। এখন পর্যন্ত চার হাজার ৭০০ জনের মতো মুক্ত হয়েছে। এখনো ৩০০ জনের মতো আটক আছে। তাদের আগামী সপ্তাহের মধ্যে মুক্ত করব।’

ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে সাবেক মেয়র বলেন, ‘আমরা সমাজের সবাইকে নিয়ে চলতে চাই। তবে যারা বাটপার, ধোঁকাবাজ, ক্ষতিকারক তাদের দরকার নেই। আপনারা বিশ্বাস করে আমার মাকে মেয়র নির্বাচিত করেছেন। আপনাদের যা প্রয়োজন মায়ের সাথে মিলে, পরামর্শ করে আমি সেগুলোর সমাধান করে দেব।’

গত ২৫ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১৬ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে পরাজিত করে মেয়র হয়েছেন জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন। আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত জাহাঙ্গীর আলম ঋণখেলাপির অভিযোগে ভোটে লড়তে পারেননি। মাকে সামনে রেখে মূলত তিনিই ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।