Dhaka , সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এবার ফ্রি চক্ষু সেবা নিয়ে আসলো স্মার্ট একাডেমি রামগঞ্জে পাঠ্য বইয়ে গণঅভ্যুত্থান নিয়ে’অন্তর্ভুক্ত করবে বিএনপি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ২১ দিন পর স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু লক্ষ্মীপুরে উদ্বোধন হলো বারাকাহ্ মাল্টিকেয়ার হসপিটাল লক্ষ্মীপুরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে পুড়ে গেছে ২০টি দোকান, কোটি টাকার ক্ষতি লক্ষ্মীপুরে আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের মাঝে ঘর নির্মাণের সামগ্রী বিতরণ রায়পুরে ব্যবসায়ী ফেডারেশনের মতবিনিময় গ্রন্থাগার দিবসে পাবলিক লাইব্রেরি উদ্বোধন করলেন ইউ,এন,ও ইমরান খান এদেশের মানুষের হৃদয়ে শেখ হাসিনার নাম থাকবে না: এ্যানি চৌধুরী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ১৭ বছর পর লক্ষ্মীপুরে প্রকাশ্যে শিবিরের র‍্যালি 

‘আমরা তো দুইবার প্রতারণার শিকার হয়েছি : মির্জা ফখরুল

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩
  • ৯৬ Time View

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিগত নির্বাচনের আগে সংলাপে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘আমরা তো দুইবার প্রতারণার শিকার হয়েছি। তৃতীয়বার দেশের মানুষ আর প্রতারণার শিকার হবে না।’

শনিবার (১০ জুন) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিএনপি নেতা গৌতম চক্রবর্তীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট আয়োজিত এক স্মরণসভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘গত ১৮–তে (২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে) ডেকেছিলেন আলোচনার জন্য, সংলাপের জন্য, আমরা গিয়েছিলাম। আমরা ভেবেছিলাম আলোচনার মাধ্যমে যদি একটা অবস্থা তৈরি হয়, সেই অবস্থাতে আমরা যদি নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে পারি, তাহলে জনগণের ইচ্ছা–আকাঙ্ক্ষা পরিবর্তন ঘটাতে পারব।’

ক্ষমতাসীনরা সংলাপের প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করায় তাঁদের সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, তোমাদের এসব কথায় কেউ ভুলবে না। কারণ, তোমরা কখনোই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করো না। জাতির কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখো না।’

২০১৮ সালের নির্বাচন এবং তার আগে ২০১৪ সালের নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির মহাসচিব মন্তব্য করেন, ‘ওই দুটি নির্বাচন মানুষ দেখেছে। আবার ওই জায়গায় ফেরত যাওয়ার প্রশ্নই উঠতে পারে না।’

নির্বাচনের সময় কাউকে গ্রেফতার বা হয়রানি করা যাবে না বলে আইনমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আইনমন্ত্রী সংসদে বলেছেন, যখন নির্বাচন চলবে, তখন আর কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না, আটক করা যাবে না। এ কথা কে বিশ্বাস করবে? এ তো রাখাল বালকের গল্পের মতো। রাখাল বালক গ্রামবাসীকে বোকা বানানোর জন্য বাঘ আসছে বলে চিৎকার করত, কিন্তু বাঘ আসেনি। তৃতীয়বার যখন সত্যি সত্যি বাঘ এসেছিল, তখন রাখাল বালক চিৎকার করলেও গ্রামবাসী আর আসেনি।’

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিএনপির দাবি নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের নেতা–মন্ত্রীরা বলছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন ডেড ইস্যু। ডেড ইস্যু হবে কেন? এটা সবচেয়ে লাইভ ইস্যু। কারণ, আমরা মনে করি, এই সরকারের এই মুহূর্তে পদত্যাগ করা উচিত।’

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকারের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব তরুণ কুমার দের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের উপদেষ্টা অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, তপন চন্দ্র মজুমদার, সুশীল বড়ুয়া, ভাইস চেয়ারম্যান অপর্ণা রায়, নিতাই চন্দ্র ঘোষ, রমেশ দত্ত, প্রয়াত নেতার ছেলে গৌরব চক্রবর্তী প্রমুখ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে গৌতম চক্রবর্তীর সহধর্মিণী ও ফ্রন্টের উপদেষ্টা দীপালি সাহা চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
About Author Information

zahirul islam

আলোচিত

এবার ফ্রি চক্ষু সেবা নিয়ে আসলো স্মার্ট একাডেমি রামগঞ্জে

‘আমরা তো দুইবার প্রতারণার শিকার হয়েছি : মির্জা ফখরুল

Update Time : ০১:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিগত নির্বাচনের আগে সংলাপে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘আমরা তো দুইবার প্রতারণার শিকার হয়েছি। তৃতীয়বার দেশের মানুষ আর প্রতারণার শিকার হবে না।’

শনিবার (১০ জুন) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিএনপি নেতা গৌতম চক্রবর্তীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট আয়োজিত এক স্মরণসভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘গত ১৮–তে (২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে) ডেকেছিলেন আলোচনার জন্য, সংলাপের জন্য, আমরা গিয়েছিলাম। আমরা ভেবেছিলাম আলোচনার মাধ্যমে যদি একটা অবস্থা তৈরি হয়, সেই অবস্থাতে আমরা যদি নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে পারি, তাহলে জনগণের ইচ্ছা–আকাঙ্ক্ষা পরিবর্তন ঘটাতে পারব।’

ক্ষমতাসীনরা সংলাপের প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করায় তাঁদের সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, তোমাদের এসব কথায় কেউ ভুলবে না। কারণ, তোমরা কখনোই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করো না। জাতির কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখো না।’

২০১৮ সালের নির্বাচন এবং তার আগে ২০১৪ সালের নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির মহাসচিব মন্তব্য করেন, ‘ওই দুটি নির্বাচন মানুষ দেখেছে। আবার ওই জায়গায় ফেরত যাওয়ার প্রশ্নই উঠতে পারে না।’

নির্বাচনের সময় কাউকে গ্রেফতার বা হয়রানি করা যাবে না বলে আইনমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আইনমন্ত্রী সংসদে বলেছেন, যখন নির্বাচন চলবে, তখন আর কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না, আটক করা যাবে না। এ কথা কে বিশ্বাস করবে? এ তো রাখাল বালকের গল্পের মতো। রাখাল বালক গ্রামবাসীকে বোকা বানানোর জন্য বাঘ আসছে বলে চিৎকার করত, কিন্তু বাঘ আসেনি। তৃতীয়বার যখন সত্যি সত্যি বাঘ এসেছিল, তখন রাখাল বালক চিৎকার করলেও গ্রামবাসী আর আসেনি।’

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিএনপির দাবি নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের নেতা–মন্ত্রীরা বলছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন ডেড ইস্যু। ডেড ইস্যু হবে কেন? এটা সবচেয়ে লাইভ ইস্যু। কারণ, আমরা মনে করি, এই সরকারের এই মুহূর্তে পদত্যাগ করা উচিত।’

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকারের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব তরুণ কুমার দের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের উপদেষ্টা অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, তপন চন্দ্র মজুমদার, সুশীল বড়ুয়া, ভাইস চেয়ারম্যান অপর্ণা রায়, নিতাই চন্দ্র ঘোষ, রমেশ দত্ত, প্রয়াত নেতার ছেলে গৌরব চক্রবর্তী প্রমুখ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে গৌতম চক্রবর্তীর সহধর্মিণী ও ফ্রন্টের উপদেষ্টা দীপালি সাহা চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।