স্টাফ রিপোর্টার: বিগত সরকারের আমলে প্রভাব খাটিয়ে হিন্দুদের আশ্রমের দিঘি নিজের নামে করে অন্যত্র বিক্রিসহ বিভিন্ন জাল-জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলাধীন চন্ডিপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডস্থ ভূঁইয়া বাড়ির আব্দুল মতিন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বিগত ৩০-৪০ বছর আগে ফতেহপুর সমবায় সমিতি নামে একটি সমিতি গঠন করে গ্রাহকদের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া, ফতেহপুর ঐদ্বারা দিঘি নামক যদু বাবুর আশ্রমের একটি দিঘি নিজের নামে করে বিক্রি করা। মসজিদের ইমাম ওবায়দুল্যার দীর্ঘ বছরের ভোগ দখলকৃত সম্পত্তি নিজের বলে জোরপূর্বক দখল করে নেয়া, বাড়ির অন্য অংশীদারদের গাছ নিজের বলে কেটে বিক্রি করা এবং বিভিন্ন প্রতারণার কৌশল অবলম্বন করে একের জমিন অন্যের নিকট বিক্রিসহ অভিযোগের পাহাড় গড়ে উঠেছে আব্দুল মতিন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে।
ওই এলাকার মানুষদের ভাষ্যমতে সে অত্যান্ত বড় মানের একজন ঠকবাজ ও প্রতারক।
সম্প্রতি আমেনা রহমান ট্রাস্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠান খুলে প্রতারণার নতুন ফাঁদ পেতেছেন বলেও জানায় এলাকার মানুষজন।
তাই যতদ্রুত সম্ভব আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তার সঠিক বিচারের দাবি করেন এলাকাবাসী।
এতদিন কেউ তার ভয়ে মুখ না খুললেও ইদানীং অনেকেই শক্তি সঞ্চার করে তার বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নিতে আগ্রহী হচ্ছেন বলে জানায় এলাকাবাসী।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি একই বাড়ির বাসিন্দা মরহুম মৌলভী মুনসুর আহম্মেদের ছেলে হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় আব্দুল মতিন ভূঁইয়াকে প্রধান আসামিসহ মোট ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
মামলার এজাহারে জানা যায়, গেল ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ইং রোজ সোমবার আনুমানিক সকাল ১০ ঘটিকার সময় আব্দুল মতিন ভূঁইয়া দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে একদল ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীসহ হাবিবুর রহমানকে পৈতৃক সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। এসময় হাবিবুর রহমানের পরিবারের কাউকে না পেয়ে ওষুধি, ফলজ ও বনজ মিলিয়ে বিভিন্ন জাতের প্রায় ১ লক্ষ ৯ হাজার টাকা মূল্যমানের গাছ কেটে বিক্রি করে দেয়।
উল্লেখিত অভিযোগের বিষয়ে কথা বললে আব্দুল মতিন ভূঁইয়া অকপটেই অপরাধের কথা স্বীকার করেন এবং ৮০ দশকে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃত্বস্থানীয় একজন ছিলেন বলেও দাবি করেন। তবে, বর্তমানে তিনি কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত নন বলে জানান তিনি।
এলাকাবাসী জানায়, সে সবসময় একজন সুবিধাবাদী ও পরের ধনের লোভী একজন মানুষ। তিনি সুযোগ বুঝেই নিজের স্বার্থের জন্য অর্থের বিনিময়ে যে কোন ব্যক্তিকেই ম্যানেজ করে নিতে পারেন।


Reporter Name 










