Dhaka , বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লক্ষ্মীপুর পাসপোর্ট কার্যালয়ে দুদকের অভিযান

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৪৭ Time View

নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযান পরিচলনা করা হয়েছে। ‘দালাল ছাড়া সেবা মেলে না’ এমন অভিযোগে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন পরিচ্ছন্নতা কর্মী বাবর উল আলম পাসপোর্টের আবেদন জমা নেওয়ার কাজ করার তথ্য উঠে আসে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে দুদক চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আজগর হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আজগর হোসেন বলেন, একজন সেবাগ্রহীতা অভিযোগ করেছেন লক্ষ্মীপুর পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট করতে দালালের মাধ্যমে না আসলে হয়রানির শিকার হতে হয়। পাসপোর্ট পেতেও লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয়। ওই গ্রাহক দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ করেন। প্রধান কার্যালয়ের অনুমতিক্রমে আমরা লক্ষ্মীপুর পাসপোর্ট অফিসে অভিযান পারিচালনা করি।
তিনি আরো বলেন, অভিযানের সময় অফিস চত্বরের ভেতরে দালালের উপস্থিতি পাইনি। তবে আমরা প্রাথমিকভাবে দেখতে পেয়েছি সেবাগ্রহীতারা খারাপ ব্যবহারে শিকার হচ্ছেন। এ বিষয়ে সহকারী পরিচালককে দেখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনো দালালের মাধ্যমে সেবাগ্রহীতাদের যেন আসতে না হয়, এখানে এসে যেন কেউ বলতে না পারে যে আমরা মাধ্যম হয়ে এসেছি, এ ধরনের একটি নির্দেশনা দিয়েছি।
অভিযোগ রয়েছে দালালের মাধ্যমে যেসব আবেদন করা হয় তাতে সুনির্দিষ্ট কিছু চিহ্ন থাকে। কিন্তু আমরা বেশ কিছু আবেদন যাচাই করে তা পাইনি। তবে দুই একটা নোট পেয়েছি। তা নিয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ডিএসবি প্রতিবেদনের জন্য আবেদনগুলোতে নোট রাখা হয়েছে।
পরিচ্ছন্নতা কর্মীর বিষয়ে দুদকের সহাকারি পরিচালক বলেন, ‘অফিসের আদেশ অনুযায়ী পরিচ্ছন্নতা কর্মী বাবর পাসপোর্ট আবেদনগুলো যাচাইয়ের কাজ করছেন।
আমাদের ডকুমেন্ট দেখানো হয়েছে।’

লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক একেএম আবু সাঈদ বলেন, দুদকের এটি নিয়মিত অভিযান। তারা আমাদের কাছে তথ্য জানতে চেয়েছেন। আমরা কিভাবে কাজ করছি তা বলাও আমাদের দায়িত্ব। আমরা তাদেরকে সবকিছু বলেছি। তারা আমাদেরকে বলেছেন সেবাগ্রহীতারা যেন হয়রানি না হয়, এজন্য আমাদের আন্তরিকভাবে কাজ করতে।

আবেদনের কোনো কাগজপত্র ভুল থাকলে তা আমরা লিখে দিই। আবেদনকারীকে সর্বোচ্চ সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। লোকবল স্বল্পতা থাকায় পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে দিয়ে বাড়তি কাজ করানো হয়। কাজটি জটিল না হওয়ায় তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

Tag :
About Author Information

Sagor Ahmed

লক্ষ্মীপুর পাসপোর্ট কার্যালয়ে দুদকের অভিযান

Update Time : ০৪:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযান পরিচলনা করা হয়েছে। ‘দালাল ছাড়া সেবা মেলে না’ এমন অভিযোগে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন পরিচ্ছন্নতা কর্মী বাবর উল আলম পাসপোর্টের আবেদন জমা নেওয়ার কাজ করার তথ্য উঠে আসে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে দুদক চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আজগর হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আজগর হোসেন বলেন, একজন সেবাগ্রহীতা অভিযোগ করেছেন লক্ষ্মীপুর পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট করতে দালালের মাধ্যমে না আসলে হয়রানির শিকার হতে হয়। পাসপোর্ট পেতেও লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয়। ওই গ্রাহক দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ করেন। প্রধান কার্যালয়ের অনুমতিক্রমে আমরা লক্ষ্মীপুর পাসপোর্ট অফিসে অভিযান পারিচালনা করি।
তিনি আরো বলেন, অভিযানের সময় অফিস চত্বরের ভেতরে দালালের উপস্থিতি পাইনি। তবে আমরা প্রাথমিকভাবে দেখতে পেয়েছি সেবাগ্রহীতারা খারাপ ব্যবহারে শিকার হচ্ছেন। এ বিষয়ে সহকারী পরিচালককে দেখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনো দালালের মাধ্যমে সেবাগ্রহীতাদের যেন আসতে না হয়, এখানে এসে যেন কেউ বলতে না পারে যে আমরা মাধ্যম হয়ে এসেছি, এ ধরনের একটি নির্দেশনা দিয়েছি।
অভিযোগ রয়েছে দালালের মাধ্যমে যেসব আবেদন করা হয় তাতে সুনির্দিষ্ট কিছু চিহ্ন থাকে। কিন্তু আমরা বেশ কিছু আবেদন যাচাই করে তা পাইনি। তবে দুই একটা নোট পেয়েছি। তা নিয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ডিএসবি প্রতিবেদনের জন্য আবেদনগুলোতে নোট রাখা হয়েছে।
পরিচ্ছন্নতা কর্মীর বিষয়ে দুদকের সহাকারি পরিচালক বলেন, ‘অফিসের আদেশ অনুযায়ী পরিচ্ছন্নতা কর্মী বাবর পাসপোর্ট আবেদনগুলো যাচাইয়ের কাজ করছেন।
আমাদের ডকুমেন্ট দেখানো হয়েছে।’

লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক একেএম আবু সাঈদ বলেন, দুদকের এটি নিয়মিত অভিযান। তারা আমাদের কাছে তথ্য জানতে চেয়েছেন। আমরা কিভাবে কাজ করছি তা বলাও আমাদের দায়িত্ব। আমরা তাদেরকে সবকিছু বলেছি। তারা আমাদেরকে বলেছেন সেবাগ্রহীতারা যেন হয়রানি না হয়, এজন্য আমাদের আন্তরিকভাবে কাজ করতে।

আবেদনের কোনো কাগজপত্র ভুল থাকলে তা আমরা লিখে দিই। আবেদনকারীকে সর্বোচ্চ সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। লোকবল স্বল্পতা থাকায় পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে দিয়ে বাড়তি কাজ করানো হয়। কাজটি জটিল না হওয়ায় তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।