প্রতিনিধি,লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে দাবিকৃত দুই লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে প্রতিপক্ষের সীমানাপ্রচীর ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে শরীফ নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তির দাবি চাঁদা নয় জমি সংক্রান্ত বিরোধে জোরপূর্বক তার প্রতিপক্ষ রাতের আঁধারে তার জমির সীমা ঘেঁষে সীমানাপ্রচীর করলে তার স্ত্রী ভেঙে দেয়।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার (১২নং ওয়ার্ড) আবিরনগর শাহ্-গো দীঘির পূর্ব পাড়ে সীমানাপ্রচীর ভাঙচুরের দৃশ্য মিলে।
এর-আগে, রাতের কোনো একসময় জমির মালিক মো. জামাল হোসেন ওরফে ফয়েজের নির্মাণাধীন সীমানাপ্রচীর ভেঙে ফেলে প্রতিপক্ষ শরীফ ও তার লোকজন।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ফয়েজ ও শরীফের মধ্যেই জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এনিয়ে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা থেকে শুরু করে সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতারাও সরেজমিন পরিদর্শন করেছে। একপর্যায়ে শরীফ ৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ফয়েজের পক্ষ থেকে ২ লাখ টাকা দেওয়া হয়। বাকি টাকার জন্য শরীফ চাপপ্রয়োগ করে। এরমধ্যেই জমির ৩ অংশ সীমানাপ্রচীর সম্পন্ন হয়। গতকাল শরীফের জমির পাশেই সীমানাপ্রচীরের বিম ঢালাই করার জন্য শরীফের অনুমতি দেয়। কিন্তু রাতের কোন একসময় শরীফ সীমানাপ্রচীর ভাঙচুর করে দেয়।
ভুক্তভোগী ফয়েজ ও তার স্ত্রী রুবি আক্তার বলেন, টাকা দিয়ে জমি কিনার পর থেকে শরীফের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গেলাম। মামলা-হামলার হুমকি। টাকা ও দিলাম দুই লাখ। এখন আবার আমাদের বাউন্ডারি ওয়ালের সীমানাপ্রচীর শরীফ রাতে লোকজন দিয়ে ভেঙে দেয়।
এদিকে অভিযুক্ত শরীফের স্ত্রী নূর নাহারের দাবি ফয়েজরা সীমানাপ্রচীর করে তারা ফের ভাঙচুর করে এখন আমাদের ফাঁসাচ্ছে।
অন্যদিকে অভিযুক্ত শরীফ বলেন তার স্ত্রী নূর নাহার নিজেই তাদের সীমানাপ্রচীর ভাঙচুর করে। চাঁদার দাবির বিষয়টি শরীফ অস্বীকার করেন।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বলেন, সীমানাপ্রাচীর ভাঙচুর বিষয়টি আমাদের জানা নেই। তবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ জমা দিলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।