তিনি আরো বলেন,সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধে প্রমান করে শেখ হাসিনার দল আওয়ামীলীগ একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। তাই সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে দেশে শেখ হাসিনা ও আওয়ামীলীগ রাজনীতি করার অধিকার নেই। দেশে গনহত্যা ও সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আওয়ামীলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। এটাই এখন মানুষের দাবী বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জেলা শাখার সভাপতি মাও.লোকমান হোসেনের সভাপতিত্বে শুক্রবার দুুপুরের শহরের এন আহাম্মদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মামুনুল হক অভিযোগ করে বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার মহান বিজয় কয়েকমাসের মধ্যে ছিনতাই করে নিয়েছে ভিনদেশী একটি রাষ্ট্র। বাংলাদেশের হাজার বছরের ঐতিহ্য এবং এই দেশের ৭ কোটি মানুষের ইচ্ছা এবং অভিপ্রায়ের বিরুদ্ধে ভিনদেশী আরেকটি রাষ্ট্রের সংবিধানের মূলনীতি গুলো কলমের খোছাঁয় একটি প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতি হিসেবে স্থাপন করা হয়েছে। আর এর মাধ্যমে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের একটি নতুন চেতনা তৈরি করা হয়েছে। এর চেয়ে দু:খের বিষয় হলো ১৯৭২ সালের চেতনাকে সবসময় বাংলাদেশের মানুষের কাছে ৭১ সালের চেতনা হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এইভাবে ৭২ সালের চেতনার মাধ্যমে ৭১ সালের চেতনাকে ছিনতাই করা হয়েছে। গত ৫০ বছর ধরে খুনি হাসিনা নিজ দলের নেতাকর্মী ও দেশের মানুষের ওপর প্রতিশোধ নিচ্ছে।
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আরো বলেন. ছাত্র-জনতার ওপর গনহারে যেভাবে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে, এটা কোন সভ্য দেশে হতে পারেনা। শুধুমাত্র ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বছরের পর বছর হত্যা,গুম ও খুন নির্যাতন চালিয়েছে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। কিন্ত ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেনি। এদেশের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে ভারতে। ভারত কিভাবে হাজার হাজার মানুষ খুনের আসামী শেখ হাসিনাকে আশ্রয়-প্রাশ্রয় দিয়েছে, এটাই এখন বড় প্রশ্ন। কারন ভারতের প্রশ্রয়ে শেখ হাসিনা সেখানে বসে দেশের বিরুদ্ধে, জনগনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান অন্তবর্তী সরকারকে ব্যর্থ বানাতে পায়ঁতারা করছে। কিন্তু দেশের মানুষ কোনভাবেই এটা মেনে নিবেনা। অনতিবিলম্ভে ইন্টারপোলের মাধ্যমে খুনি শেখ হাসিনা ও তার দোসেরদের দেশে এনে বিচার করতে হবেই হবে। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন যুগ্ম-মহাসচিব মা. জালাল উদ্দিন আহমদে,তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজি, আতা উল্যাহ আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুর রহমান হেলাল, মো. ফয়সালসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা-উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন।