Dhaka , বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রবাসে ভাগ্য পরিবর্তন করতে গিয়ে নিষ্ঠুরতার শিকার ইমন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৩৩ Time View

কমলনগর প্রতিনিধি :লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে প্রবাসে ভাগ্য পরিবর্তন করতে গিয়ে শারীরিক মানসিক নির্যাতননের শিকার হয়েছে প্রবাস ফেরত ইমন। সে উপজেলার চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের ৫নং ওয়ার্ডের এস.এম হারুন-অর রশিদের ছেলে।

ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বিগত ৫ মাস আগে প্রবাস ফেরত নাহিদুল ইসলাম ইমনকে একই এলাকার পূর্ব সম্পর্কিত সবুজ প্রবাসে উচ্চ বেতনে চাকরির প্রস্তাব দেয়। কম্বোডিয়া থেকে সবুজ তার পরিচিত ইমনকে কল সেন্টারে কাজের ভিসার কথা বলে। যার আনুমানিক বেতন ৮০ হাজার টাকা। দুপক্ষের উপস্থিতি জনের মধ্যে এক পর্যায়ে আর্থিক লেনদেন হয়। ইসলামী ব্যাংক চরলরেন্স শাখা যার একাউন্ট নম্বর ৩২৪১। ইমন বিদেশে তার কাছ থেকে পাসপোর্স নিয়ে আটকে রাখে প্রবাসে থাকা সবুজ।
তাকে পূর্বনির্ধারিত স্থানে না দিয়ে সবুজের মনগড়া জায়গায় তাকে কাজে দেয়। প্রকৃত পক্ষে সেখানে তাকে অন্যত্রে বিক্রির করে দেওয়ার অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের। একপর্যায়ে সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে আসলে সবুজ ও তার আত্মীয় হোসেন ইমনকে রুমে তালা মেরে শারীরিকভাবে নির্যাতনে অব্যাহত রাখে। এসময় তার কাছ থেকে তাদের বানানো একটি অঙ্গীকার নামায় টিপসহি নেয় সবুজ। এব্যাপারে কোথাও মামলা মোকদ্দমা করলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
ইমনের বাবা হারুন অর রশিদ বলেন- আামি অনেক কষ্ট করে ঋণের উপর টাকা নিয়ে আমার ছেলেকে বিদেশে দিয়েছি। এতে আমার প্রায় ৭ থেকে ৮ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন। আমি ছেলের কান্নাকাটি শুনে এখান থেকে দ্রæত ভিসা করে ছেলেকে দেশে এনেছি। আমি এ প্রতারণার সুষ্ঠু বিচার চাই।

Tag :
About Author Information

Sagor Ahmed

প্রবাসে ভাগ্য পরিবর্তন করতে গিয়ে নিষ্ঠুরতার শিকার ইমন

Update Time : ০৫:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কমলনগর প্রতিনিধি :লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে প্রবাসে ভাগ্য পরিবর্তন করতে গিয়ে শারীরিক মানসিক নির্যাতননের শিকার হয়েছে প্রবাস ফেরত ইমন। সে উপজেলার চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের ৫নং ওয়ার্ডের এস.এম হারুন-অর রশিদের ছেলে।

ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বিগত ৫ মাস আগে প্রবাস ফেরত নাহিদুল ইসলাম ইমনকে একই এলাকার পূর্ব সম্পর্কিত সবুজ প্রবাসে উচ্চ বেতনে চাকরির প্রস্তাব দেয়। কম্বোডিয়া থেকে সবুজ তার পরিচিত ইমনকে কল সেন্টারে কাজের ভিসার কথা বলে। যার আনুমানিক বেতন ৮০ হাজার টাকা। দুপক্ষের উপস্থিতি জনের মধ্যে এক পর্যায়ে আর্থিক লেনদেন হয়। ইসলামী ব্যাংক চরলরেন্স শাখা যার একাউন্ট নম্বর ৩২৪১। ইমন বিদেশে তার কাছ থেকে পাসপোর্স নিয়ে আটকে রাখে প্রবাসে থাকা সবুজ।
তাকে পূর্বনির্ধারিত স্থানে না দিয়ে সবুজের মনগড়া জায়গায় তাকে কাজে দেয়। প্রকৃত পক্ষে সেখানে তাকে অন্যত্রে বিক্রির করে দেওয়ার অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের। একপর্যায়ে সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে আসলে সবুজ ও তার আত্মীয় হোসেন ইমনকে রুমে তালা মেরে শারীরিকভাবে নির্যাতনে অব্যাহত রাখে। এসময় তার কাছ থেকে তাদের বানানো একটি অঙ্গীকার নামায় টিপসহি নেয় সবুজ। এব্যাপারে কোথাও মামলা মোকদ্দমা করলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
ইমনের বাবা হারুন অর রশিদ বলেন- আামি অনেক কষ্ট করে ঋণের উপর টাকা নিয়ে আমার ছেলেকে বিদেশে দিয়েছি। এতে আমার প্রায় ৭ থেকে ৮ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন। আমি ছেলের কান্নাকাটি শুনে এখান থেকে দ্রæত ভিসা করে ছেলেকে দেশে এনেছি। আমি এ প্রতারণার সুষ্ঠু বিচার চাই।