নিজস্ব প্রতিনিধি: পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পুনর্তদন্ত ও নির্দোষ সদস্যদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) পরিবারের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে ৯ দফা দাবি জানানো হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সুবেদার জহিরুল ইসলাম, সুবেদার মোহাম্মদ ইসমাইল, হাবিলদার আবদুল রশিদ, বেল্লাল হোসেন, লেন্স নায়ক মহসিনসহ আরও অনেকে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিচারের নামে প্রহসন হয়েছে। বিডিআর সদস্যদের আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি। বাহিনীকে অকার্যকর করার জন্য প্রায় ১৮ হাজার ৫২০ জওয়ানকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। পুরো বিচার প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাব ছিল। ২০০৯ সালের সেদিনের ঘটনাটি বিডিআর বিদ্রোহ নয়। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
আরও বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত সকল প্রহসনের বিশেষ আদালতকে নির্বাহী আদেশে বাতিল করতে হবে। চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের সকল সুযোগ সুবিধাসহ চাকরিতে পুনবহাল করতে হবে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৪ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন শাহাদাত বরণকারীদের শহীদি মর্যাদা দিতে হবে। ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনকে পিলখানা ট্রাজেডি দিবস ঘোষনা করতে হবে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা পরবর্তী তদন্ত জিজ্ঞাসাবাদে নিরাপত্তা হেফাজতে যে সকল নিরীহ বিডিআর সদস্যদের হত্যা করা হয়েছে, তাদের তালিকা প্রকাশ ও পরিবারকে ক্ষতিপূরণসহ পুনর্বাসন করতে হবে। দেশের নিরাপত্তায় দায়িত্বে থাকা এ বাহীনির নাম বিজিবি নয় পুনরায় বিডিআর করার দাবিসহ ৯ টি দাবি উপস্থাপন করেন তারা।
মানববন্ধন পরবর্তী বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) সদস্যরা অন্তবর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বরাবর একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের কাছে দিয়েছেন।