Dhaka , রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২০ মে থেকে সাগরে ৬৫ দিন, সুন্দরবনে ১০০ দিন মাছ ধরা বন্ধ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মে ২০২৩
  • ১০৮ Time View

বাগেরহাট: মাছের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে আগামীকাল শনিবার (২০ মে) থেকে বঙ্গোপসাগরে ও সুন্দরবনে সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে এ নিষেধাজ্ঞা চলবে আগামী ২৩ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত এবং সুন্দরবনে চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।

এ সময়ের মধ্যে বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবনে সব ধরনের মাছ ও জলজ প্রাণী ধরতে পারবেন না জেলে বা মৎস্যজীবীরা।

মৎস্য অধিদপ্তরের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মৎস্য নৌযান দ্বারা অথবা অন্য যে কোনোভাবে সব ধরনের সামুদ্রিক মাছ নিষিদ্ধ থাকবে। এ সময়ে বাগেরহাট জেলায় প্রায় ১২ হাজার জেলেকে দুই দফায় ৮৬ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।

এছাড়া সুন্দরবনের নদী ও খালে মাছের প্রজনন স্বাভাবিক রাখতে আগামী ০১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত পর্যটকবাহী নৌযান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে সুন্দরবনে। ফলে ৩ মাস সুন্দরবনে পর্যটকদের আগমণ ও ভ্রমণ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন।

তিনি বলেন, ২০ মে থেকে মৎস্য অধিদপ্তরের জারি করা সাগরে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞার সময়ে সুন্দরবনেও মাছ শিকার বন্ধ থাকবে। এছাড়া মাছ ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন মৌসুম হওয়ায় ০১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনের নদী-খালে কোনো ধরনের মাছ ধরতে পারবেন না জেলেরা। একই সঙ্গে মাছ ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে সুন্দরবনে পর্যটকবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে । এই সময়ে সুন্দরবনে প্রবেশের জন্য জেলে ও দর্শনার্থীদের কোনো ধরনের পাস-পার্মিট দেওয়া হবে না। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ সুন্দরবনে প্রবেশ করলে আইনের আওতায় আনা হবে।

বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল বলেন, সামুদ্রিক মাছের প্রজনন বৃদ্ধিতে সামুদ্রিক মৎস্য আইন-২০২০ এর ৩ ধারার ২ উপধারা অনুযায়ী এই নিষেদ্ধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ নিষেদ্ধাজ্ঞা সঠিকভাবে প্রতিপালনের জন্য মৎস্য বিভাগ কঠোর অবস্থানে থাকবে। বাংলাদেশি সমুদ্র সীমায় অভিযান চালানো হবে। যারা এই নিষেদ্ধাজ্ঞা অমান্য করবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ সময়ে প্রায় ১২ হাজার জেলেকে দুই দফায় ৮৬ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। সুত্র: বাংলা নিউজ

Tag :
About Author Information

Happy Times

আলোচিত

২০ মে থেকে সাগরে ৬৫ দিন, সুন্দরবনে ১০০ দিন মাছ ধরা বন্ধ

Update Time : ০৮:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মে ২০২৩

বাগেরহাট: মাছের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে আগামীকাল শনিবার (২০ মে) থেকে বঙ্গোপসাগরে ও সুন্দরবনে সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে এ নিষেধাজ্ঞা চলবে আগামী ২৩ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত এবং সুন্দরবনে চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।

এ সময়ের মধ্যে বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবনে সব ধরনের মাছ ও জলজ প্রাণী ধরতে পারবেন না জেলে বা মৎস্যজীবীরা।

মৎস্য অধিদপ্তরের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মৎস্য নৌযান দ্বারা অথবা অন্য যে কোনোভাবে সব ধরনের সামুদ্রিক মাছ নিষিদ্ধ থাকবে। এ সময়ে বাগেরহাট জেলায় প্রায় ১২ হাজার জেলেকে দুই দফায় ৮৬ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।

এছাড়া সুন্দরবনের নদী ও খালে মাছের প্রজনন স্বাভাবিক রাখতে আগামী ০১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত পর্যটকবাহী নৌযান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে সুন্দরবনে। ফলে ৩ মাস সুন্দরবনে পর্যটকদের আগমণ ও ভ্রমণ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন।

তিনি বলেন, ২০ মে থেকে মৎস্য অধিদপ্তরের জারি করা সাগরে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞার সময়ে সুন্দরবনেও মাছ শিকার বন্ধ থাকবে। এছাড়া মাছ ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন মৌসুম হওয়ায় ০১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনের নদী-খালে কোনো ধরনের মাছ ধরতে পারবেন না জেলেরা। একই সঙ্গে মাছ ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে সুন্দরবনে পর্যটকবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে । এই সময়ে সুন্দরবনে প্রবেশের জন্য জেলে ও দর্শনার্থীদের কোনো ধরনের পাস-পার্মিট দেওয়া হবে না। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ সুন্দরবনে প্রবেশ করলে আইনের আওতায় আনা হবে।

বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল বলেন, সামুদ্রিক মাছের প্রজনন বৃদ্ধিতে সামুদ্রিক মৎস্য আইন-২০২০ এর ৩ ধারার ২ উপধারা অনুযায়ী এই নিষেদ্ধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ নিষেদ্ধাজ্ঞা সঠিকভাবে প্রতিপালনের জন্য মৎস্য বিভাগ কঠোর অবস্থানে থাকবে। বাংলাদেশি সমুদ্র সীমায় অভিযান চালানো হবে। যারা এই নিষেদ্ধাজ্ঞা অমান্য করবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ সময়ে প্রায় ১২ হাজার জেলেকে দুই দফায় ৮৬ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। সুত্র: বাংলা নিউজ