মায়ের জন্য আমার শাড়ি কেনার শখ বহুদিনের।
মাকে একটি জান্নাতী সবুজ শাড়িতে দেখার সাধ হয়।
প্রার্থনা করি, জান্নাতে যেন বাবার পাশে মাকে
সবুজ শাড়ি পরা দেখতে পাই।
মাঝে মাঝে মনে হয়, মাকে গোলাপী জামদানী কিনে দেই।
শাড়িটির সুতোগুলো এত দীর্ঘ হবে যেন –
একটি আস্ত ছায়াপথ ঘিরে ধরতে পারে।
মায়ের শাড়ির আঁচল মহাকাশ পর্যন্ত উঁচু
আর পাড়ের দিকটা পৃথিবীর হৃদয়ের কাছাকাছি।
মাঝে মাঝে দিয়াশলাই এর বাক্স হাতে
আসল ঢাকাই মসলিনের কারিগরের সন্ধানে বের হব ভাবি।
ধৈর্য ধরে, কারিগরের হাতের দিকে স্থির একলব্য একাগ্রতা নিয়ে
তাকিয়ে থাকব ,
শাড়িটি বোনা শেষ হলে আমার কাছে পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হতে ওটাকে
ঠিক ঠাক ঘুমোতে হবে
দিয়াশলাই এর বাক্সে।
মাকে একটি নরম সুতোর শাড়িও দেয়া যায়।
তাওয়ার উপরের রুটির মত ফুলো ফুলো নয়া শাড়িটিকে
শীতল পুকুরের মিষ্টি হীরাজলে ধুয়ে নরম করে দিব ,
মায়ের যেন ঘাম মুছতে কষ্ট না হয়।
সবচেয়ে ভালো হয় কিনে নিলে আস্ত ইরানী জাফরান বাগান,
প্রতিটি ফুল থেকে, ওযুকরা হাতে বেছে নিব লাল সুতো;
অকৃত্রিম জাফরানী রঙ্গে আরবী আতর মাখা রেশমে বানানো শাড়িটি পরিয়ে দিলে
হাসতে হাসতে মা আমাকে বাড়িয়ে দিবে সালমানের (রাঃ) বাগানের একটি আধখানা আজওয়া, যার অর্ধেক মায়ের মুখে আছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ