Dhaka , শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কমলনগরে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন দুই দফা না মানলে লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি লক্ষ্মীপুর আদালতের কর্মচারীদের কমলনগরে খাল দখল করে দোকানঘর নির্মাণের প্রতিবাদে  মানববন্ধন  ন্যায্যমূল্য না পেয়ে হতাশায় কৃষক; কোটি কোটি টাকা লোকসান লক্ষ্মীপুরে ইউনিয়ন বিভক্তির দাবিতে ফুুঁসে উঠেছে জনগণ লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মে দিবসের বর্ণাঢ্য র‌্যালিও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কমলনগরে অপহরণকৃত স্কুলছাত্রীর লাইভ নিয়ে নানা প্রশ্ন  কমলনগরে অবৈধ ইটভাটা স্থাপনের দায়ে ৯ লাখ টাকা জরিমানা আদায় কমলনগরের এলজিইডিতে দুদকের অভিযান বিএনপি নেতার উপর সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলা ; প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশ

কমলনগরে খাল দখল করে দোকানঘর নির্মাণের প্রতিবাদে  মানববন্ধন 

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
  • ১৬ Time View

কমলনগর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ বাজার এলাকায় অবৈধভাবে খাল দখল করে দোকানঘর নির্মাণ অব্যাহত রাখার  প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা। রোববার ( ৪ মে ) সকালে তোরাবগঞ্জ মতিরহাট সড়কের তুলাতুলি-মুসারখালের দখল হয়ে যাওয়া অংশের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে ওই এলাকার শতাধিক কৃষক ও এলাকাবাসী অংশ নেন। এসময় প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য ও খাল দখল করে দোকানঘর নির্মাণ অব্যাহত রাখায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কমলনগর উপজেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব মাওলানা শরিফুল ইসলাম, মানবাধিকার কর্মী এডভোকেট ফখরুল ইসলাম,  বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কমলনগর উপজেলা সভাপতি মাওলনা মোহাম্মদ উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ওমর ফারুক, ছাত্রনেতা মোঃ নাঈম হোসেন, মাওলানা মাহফুজুর রহমান জাবেরী, বিএনপি কর্মী মোঃ শাহজাহান এবং কৃষক আবুল হাসেম, আবদুল মতিন প্রমুখ।

অভিযুক্ত দখলকারী ফারজানা আক্তার  মতিরহাট বাজার এলাকার মরহুম আবি আবদুল্লাহর মেয়ে।

 জানা যায়, গত ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে হঠাৎ করে তোরাবগঞ্জ পশ্চিম বাজার সংলগ্ন এলাকায়  ফারজানা আক্তার খালের মধ্যখানে পিলার দিয়ে মাটি ভরাট শুরু করে। এতে স্থানীয় গ্রামবাসী বাঁধার মুখে কিছুদিন তিনি কাজ বন্ধ রাখেন। কিন্ত ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের দিকে তিনি আবার খালের মধ্যখানে সিমেন্টের পিলার ও কাঠ দিয়ে প্রায় ১০ফুট চওড়া ও ৪০ফুট লম্বা খাল দখলে নেন। তখন স্থানীয়রা উপজেলা ভূমি অফিসকে অবগত করেন। পরবর্তিতে ভূমি সার্ভেয়ার ও  তহশিলতার  এসে দখলে থাকা সিমেন্ট ও কাঠের সরাঞ্জম গুলো ভেঙে দখলমুক্ত করেন। এনিয়ে ২০২৩ সালের ২২ জানুয়ারি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রশাসন কর্তৃক দখলমুক্তকরণের সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সেই ফারজানা আক্তার খালকে নিজের জায়গা দাবী করে খালের মধ্যে আবার নতুনভাবে ৪টি আরসিসি পিলার তৈরি করে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা আবারো বাঁধা দিয়ে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করলে প্রশাসন কাজ বন্ধ করে দেন। এ ছাড়াও উপজেলা ভূমি অফিস গত মার্চ মাসে স্থানীয় এলাকাবাসী ও ফারজানার উপস্থিতিতে খালের সীমানা মেপে দখলের অংশ ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন । কিন্ত তিনি সেটাও অমান্য করে আবারো রাতের আঁধারে দোকানঘর নির্মাণ অব্যাহত রাখেন। এতে ফারজানার অবৈধ দখল অব্যাহত থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। বিষয়টি প্রশানের নজরে আসলে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) মোহাম্মদ আরাফাত হোছাইন গত ২৭ এপ্রিল  গিয়ে অবৈধভাবে দখল করা অংশ ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। কিন্ত ফারজানা প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে যথারিতি তার কাজ চালিয়ে যান।

জানতে চাইলে অবৈধ দখলকারী ফারজানা আক্তার বলেন, আমার কাগজপত্র সঠিক। আমি আমার জায়গায় দোকানগর করছি। এসিল্যান্ড কোন কাগজপত্র যাচাই-বাছাই না করে কাজ বন্ধ রাখতে বলছে।

এ বিষয়ে কমলনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আরাফাত হোসাইন বলেন, আমি সরেজমিনে গিয়ে গত ৩০ এপ্রিলের মধ্যে অবৈধ ভাবে গড়ে তোলা অংশের স্থাপনা সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছিলাম। কিন্তু ফারজান যেহেতু শুনেনি আগামী দুই এক দিনের মধ্যে আমরা খালের জায়গা উদ্ধার করবো।

Tag :
About Author Information

Sagor Ahmed

কমলনগরে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

কমলনগরে খাল দখল করে দোকানঘর নির্মাণের প্রতিবাদে  মানববন্ধন 

Update Time : ০৫:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

কমলনগর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ বাজার এলাকায় অবৈধভাবে খাল দখল করে দোকানঘর নির্মাণ অব্যাহত রাখার  প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা। রোববার ( ৪ মে ) সকালে তোরাবগঞ্জ মতিরহাট সড়কের তুলাতুলি-মুসারখালের দখল হয়ে যাওয়া অংশের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে ওই এলাকার শতাধিক কৃষক ও এলাকাবাসী অংশ নেন। এসময় প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য ও খাল দখল করে দোকানঘর নির্মাণ অব্যাহত রাখায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কমলনগর উপজেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব মাওলানা শরিফুল ইসলাম, মানবাধিকার কর্মী এডভোকেট ফখরুল ইসলাম,  বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কমলনগর উপজেলা সভাপতি মাওলনা মোহাম্মদ উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ওমর ফারুক, ছাত্রনেতা মোঃ নাঈম হোসেন, মাওলানা মাহফুজুর রহমান জাবেরী, বিএনপি কর্মী মোঃ শাহজাহান এবং কৃষক আবুল হাসেম, আবদুল মতিন প্রমুখ।

অভিযুক্ত দখলকারী ফারজানা আক্তার  মতিরহাট বাজার এলাকার মরহুম আবি আবদুল্লাহর মেয়ে।

 জানা যায়, গত ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে হঠাৎ করে তোরাবগঞ্জ পশ্চিম বাজার সংলগ্ন এলাকায়  ফারজানা আক্তার খালের মধ্যখানে পিলার দিয়ে মাটি ভরাট শুরু করে। এতে স্থানীয় গ্রামবাসী বাঁধার মুখে কিছুদিন তিনি কাজ বন্ধ রাখেন। কিন্ত ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের দিকে তিনি আবার খালের মধ্যখানে সিমেন্টের পিলার ও কাঠ দিয়ে প্রায় ১০ফুট চওড়া ও ৪০ফুট লম্বা খাল দখলে নেন। তখন স্থানীয়রা উপজেলা ভূমি অফিসকে অবগত করেন। পরবর্তিতে ভূমি সার্ভেয়ার ও  তহশিলতার  এসে দখলে থাকা সিমেন্ট ও কাঠের সরাঞ্জম গুলো ভেঙে দখলমুক্ত করেন। এনিয়ে ২০২৩ সালের ২২ জানুয়ারি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রশাসন কর্তৃক দখলমুক্তকরণের সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সেই ফারজানা আক্তার খালকে নিজের জায়গা দাবী করে খালের মধ্যে আবার নতুনভাবে ৪টি আরসিসি পিলার তৈরি করে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা আবারো বাঁধা দিয়ে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করলে প্রশাসন কাজ বন্ধ করে দেন। এ ছাড়াও উপজেলা ভূমি অফিস গত মার্চ মাসে স্থানীয় এলাকাবাসী ও ফারজানার উপস্থিতিতে খালের সীমানা মেপে দখলের অংশ ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন । কিন্ত তিনি সেটাও অমান্য করে আবারো রাতের আঁধারে দোকানঘর নির্মাণ অব্যাহত রাখেন। এতে ফারজানার অবৈধ দখল অব্যাহত থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। বিষয়টি প্রশানের নজরে আসলে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) মোহাম্মদ আরাফাত হোছাইন গত ২৭ এপ্রিল  গিয়ে অবৈধভাবে দখল করা অংশ ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। কিন্ত ফারজানা প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে যথারিতি তার কাজ চালিয়ে যান।

জানতে চাইলে অবৈধ দখলকারী ফারজানা আক্তার বলেন, আমার কাগজপত্র সঠিক। আমি আমার জায়গায় দোকানগর করছি। এসিল্যান্ড কোন কাগজপত্র যাচাই-বাছাই না করে কাজ বন্ধ রাখতে বলছে।

এ বিষয়ে কমলনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আরাফাত হোসাইন বলেন, আমি সরেজমিনে গিয়ে গত ৩০ এপ্রিলের মধ্যে অবৈধ ভাবে গড়ে তোলা অংশের স্থাপনা সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছিলাম। কিন্তু ফারজান যেহেতু শুনেনি আগামী দুই এক দিনের মধ্যে আমরা খালের জায়গা উদ্ধার করবো।