লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর পুলিশের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হোসেন আহম্মদ মানিক ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে মামলার বাদিনীকে হুমকি ও ভয়ভীতির অভিযোগ আসমী মানিক এর বিরুদ্ধে , এক সময় কাতার প্রবাসী মানিক লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা ৬ নং বাংগাখাঁ ইউনিয়নের রাধাপুর গ্রামের নুর আলমের ছেলে। লক্ষ্মীপুর শিশু ও নারী নির্যাতন আদালতে মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে আসামি মানিক পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে বাদিনীকে হুমকি ধুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মামলার বাদী শিজলু আক্তার।
শিজলু আক্তার লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ২ নং দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের পালের হাট সংলগ্ন ঈদগাহ বাড়ির মৃত তোফায়েল আহমেদের কনিষ্ঠ কন্যা।
মামলা ও ঘটনা সুত্রে জানাযায় মানিক প্রবাসে থাকা অবস্থায় ২০ ডিসেম্বর ২০২১ ইং তারিখে শিজলু আক্তার এর সাথে দুই পক্ষের পারিবারিক সম্মতিতে ৮ লক্ষ টাকার দেনমোহর দিয়ে বিয়ে করেন হোসেন আহমেদ মানিক । পারিবারিক ভাবে বিয়ে করা স্ত্রী কে বাপের বাড়িতে উঠিয়ে নেয়। তার পর থেকে চলে স্ত্রী সিজলু আক্তারের উপর অমানবিক নির্যাতন। নির্যাতন সইতে না পেরে স্ত্রী শিজলু গত১৫ মার্চ ২০২৩ ইং তারিখে লক্ষ্মীপুর শিশু ও নারী নির্যাতন আদালতে মামলা করেন সিজলু আক্তার । সে মামলায় মানিক আহমেদ গ্রেফতার হয়ে জামিনে এসে পালিয়ে যায়। মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে তার বিরুদ্ধে পুনোরায় গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে আদালত। এর পর গত ৪ নভেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে শিজলু আক্তার আদালতের মাধ্যমে স্বামী হোসেন আহম্মদ মানিককে তালাক প্রদান করেন। পলাতক থেকে মানিক আহমেদ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধুমকি দিয়ে যাচ্ছে। সিজলু আক্তার ও তার পরিবারের নামে বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সোস্যাল মিডিয়াতে প্রচার করছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী।
সিজলু আক্তার বলেন, পারিবারিক ভাবে মানিক আহমেদ এর সাথে বিয়ে হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ভাবে আমার উপর শারিরীক মানুষিক নির্যাতন করে, আমি নিরুপায় হয়ে আদালতে মামলা করি।
মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে মানিক আহমেদ পলাতক থেকে আমা কে ও আমার পরিবার কে হুমকি দিয়ে আসছে। আমার নামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচার করে আমার পরিবারের মানসম্মান খুন্যকরছে। আমি তার গ্রেফতার ও শাস্তি দাবি করি।এদিকে অভিযুক্ত সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী হোসেন আহম্মদ মনিকের সাথে মোবাইল ফোনে একাদিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।