কমলনগর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুচিত্র রঞ্জন দাসের বদলী প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় লোকজন।

মানববন্ধনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি’র উপজেলার শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতি দেখা গেলোও দেখা যায়নি বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কোনো নেতাকে। মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনে কমলনগর উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এ মানববন্ধন পালন করা হয়। মানববন্ধনে ৩০-৩৫ জন ব্যক্তিকে ব্যানার নিয়ে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে।মানববন্ধনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানার ও ফেস্টুন দেখা গেলেও উপস্থিত ছিলেননা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো ছাত্র প্রতিনিধি। বৈষম্যবিরোধী

ছাত্রদের নামে ব্যানার ফেস্টুন ব্যবহার করাই মানববন্ধন আয়োজন কারীদের বিরুদ্ধে কমলনগর থানায় জিডি করেন বৈষম্যাবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ফলে এ মানববন্ধন ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে নানা প্রশ্ন ও সমালোচনা।এসময় বক্তব্য রাখেন,উপজেলা জেএসডি সভাপতি ও হাজিরহাট উপকূল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল মোতালেব, চরলরেন্স ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাও, আনোয়ার হোসাইন, চরমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য তারেক রহমান রকি ও করইতলা বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জামায়াত নেতা জিল্লুর রহমান প্রমুখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জেএসডি’র সহ-সভাপতি মো:খোরশেদ আলম মেম্বার,চর কাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান মুফতি নুরুল্লাহ খালেদ,বর্তমান সদস্য মো: মহিন মেম্বার।

অন্যদিকে মানববন্ধনে  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানার ব্যবহার করার প্রতিবাদ জানিয়ে উপজেলার ছাত্র প্রতিনিধি মাইন উদ্দিন সামির ও আকরাম হোসেন জিসান বলেন, অসৎ উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমলনগর উপজেলার ব্যানার ব্যাবহার করা হয়েছে। মানববন্ধনের বিষয়ে জেলা এবং উপজেলা সমন্বয়ক আমরা কিছুই জানিনা। আমরা এ তথাকথিত মানববন্ধনের সাথে জড়িত নই। তিনি আরো বলেন, অসৎ উদ্দেশ্যে মানববন্ধনে আমাদের ব্যানার ব্যাবহার করায় আমরা কমলনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা সাধারণ সম্পাদক শরাফ উদ্দিন স্বপন বলেন, সরকারী কর্মকর্তা বদলী হওয়া স্বাভাবিক বিষয়। বদলী প্রত্যাহারের দাবিতে যারা মানববন্ধন করেছে তারা সুবিধাবাদী। সরকারের আদেশের উপর বাধা সৃষ্টি করে এ মানববন্ধন অসৎ উদ্দেশ্যে করা হয়েছে বলে তিনি আরো জানান।

কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সূচিত রঞ্জন দাশ জানান, সরকারি চাকুরীতে বদলী একটা প্রচলিত নিয়ম। সে অনুযায়ী আমার বদলী আদেশ দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। তবে মানববন্ধনের বিষয়ে আগে কিছুই জানেননা বলেও জানান তিনি।