Dhaka , শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কমলনগরে ডাকাতি মামলার ৪ আসামি গ্রেপ্তার  লক্ষ্মীপুরে বহুতল ভবনের পাইলিংয়ের কারণে ভেঙে গেছে সড়ক-দোকানপাট-আতংকে  বাসাবাড়ি সম্মানহানির তথ্য ছড়িয়ে জনমনে বিভ্রান্তির অভিযোগ সৌরভের লক্ষ্মীপুরে সিএনজি ফিলিং স্ট্রেশন বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে সিএনজি চালকেরা লক্ষ্মীপুর পাসপোর্ট কার্যালয়ে দুদকের অভিযান লক্ষ্মীপুরে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ রামগতিতে পুলিশ ক্যাম্প ভেঙ্গে সরঞ্জামাদি নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সরকারি ভুমিহীনের ঘর ইউপি সদস্যের দখলে লক্ষ্মীপুরে ফিটনেস বিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান প্রশাসনের রায়পুর পৌর জামায়াতের কর্মী সম্মেলন ২০২৫ অনুষ্ঠিত

লক্ষ্মীপুরে সিএনজি ফিলিং স্ট্রেশন বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে সিএনজি চালকেরা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৪৭ Time View

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাসে গ্যাস রিফিলের সময় সিলিন্ডার বিষ্ফোরণে হতাহতের ঘটনার পর থেকে লক্ষ্মীপুরের গ্রীনলিফ সিএনজি ফিলিং স্ট্রেশনটি বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে সিএনজি অটোরিকসার চালকেরা। গ্রাস রিফিল করতে না পেরে বাধ্য হয়ে বন্ধ রাখতে হচ্ছে সড়কে চলাচলকারী বেশিরভাগ সিএনজি অটোরিকসা। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছে তারা।
সিএনজি অটোরিকসা চালকেরা জানায়, লক্ষ্মীপুর-রায়পুর মহাসড়ক, লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়ক, মজুচৌধুরীরহাট সড়ক, লক্ষ্মীপুর-রামগঞ্জ সড়ক, জকসিন-পোদ্দার সড়কসড় জেলা এবং উপজেলার বিভিন্ন স্থানের সড়কগুলোতে চলাচলকারী হাজার হাজার সিএনজি অটোরিকসা লক্ষ্মীপুর পৌর সভার ১১ নং ওয়ার্ডে থাকা গ্রীনলিফ সিএনজি ফিলিং স্ট্রেশন থেকে গ্যাস রিফিল করতো। কিন্তু এ স্টেশনটি বন্ধ থাকায় গ্যাস নিতে পারছে না তারা। গ্যাস পাম্পটি চালু করার জন্য শতাধিত সিএনজি অটোরিক্সা চালক গত ১৮ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন জানায়।
কয়েকজন চালক বলেন, আমরা সিএনজি চালিত গাড়ি চালিয়ে সংসার চালাই। পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ডের এ গ্যাস পাম্প থেকে আমাদের গাড়িতে সহজে গ্যাস রিফিল করাতাম। কিন্তু কাছের এ পাম্পটি বন্ধ থাকায় আমরা দুর্ভোগে পড়েছি। গ্যাস রিফিল করতে পারছি না। জেলার শেষ প্রান্তে চন্দ্রগঞ্জে যে ফিলিং স্টেশনটি আছে- সেটি জেলা শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরত্বে। সেখান থেকে গ্যাস রিফিল করে আসতেই অর্ধেক ফুরিয়ে যায়। তাই দ্রুত মামলা সংক্রান্ত জটিলতা কাটিয়ে গ্রীনলিফ সিএনজি গ্যাস পাম্পটি চালু করা হোক।
জানা গেছে, গত ১০ ডিসেম্বর রাতে লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কে চলাচলকারী ‘আল মদিনা পরিবহন’ নামের একটি যাত্রীবাহী বাসের সিলিন্ডারে গ্যাস রিফিলের সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে আবুল কালাম নামে এক ব্যক্তি ও পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বাসের চালক মো. রুবেল মারা যায়। আরও দুই জন গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনার দুই মাস আগেও একই ফিলিং স্টেশনে গ্যাস রিফিলের সময় ‘মায়েশা পরিবহন’ নামক আরেকটি যাত্রীবাহী বাসের সিলিন্ডার বিষ্ফোরণ ঘটে। এতে চারজনের মৃত্যু হয়। আহত হয় আরও ৯ জন। দুর্ঘনায় আনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেন। এ দুটি ঘটনার পর জেলা প্রশাসন পাম্পটি সিনগালা করে দেয়। এছাড়া ১৭ ডিসেম্বর গ্যাস পাম্পের মালিক হাজী সোহেলসহ ওই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আরও তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন খোকন। এতে একটি বাসের ক্ষতিপূরণ বাবদ ৮০ লাখ টাকা এবং নিহত-আহতদের ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়। আদালত মামলাটি সদর থানাকে এফআইআর করার নির্দেশনা দেন।
সিএনজি ফিলিং স্টেশন কর্মরত শ্রমিকেরা বলেন ,দীর্ঘ প্রায় ১মাস বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন পাম্পে কর্মরত শ্রমিকরা মাস পেরিয়ে গেলেও বেতন না পেয়ে কষ্টে দিনাতিপাত করছেন তারা।
সিএজি মালিক সমিতি সভাপতি আলোমগীর হোসেন বলেন সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সকলের দূর্ভগের কথা চিন্তা করে গ্যাস ফিলিং স্টেশনটি চালু করার ব্যাবস্থা করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েরছন
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার বলেন,ইএই মুহুর্তে এটি খুলে দেয়া ঠিক হবে কিনা তদন্ত কমিটির মতামত পেলি তদন্ত দ্রুত শেষ করে গ্যাস ফিলিং স্টেশনটি চালু করার ব্যাবস্থা করে দিব।

Tag :
About Author Information

Sagor Ahmed

আলোচিত

কমলনগরে ডাকাতি মামলার ৪ আসামি গ্রেপ্তার 

লক্ষ্মীপুরে সিএনজি ফিলিং স্ট্রেশন বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে সিএনজি চালকেরা

Update Time : ০৬:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাসে গ্যাস রিফিলের সময় সিলিন্ডার বিষ্ফোরণে হতাহতের ঘটনার পর থেকে লক্ষ্মীপুরের গ্রীনলিফ সিএনজি ফিলিং স্ট্রেশনটি বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে সিএনজি অটোরিকসার চালকেরা। গ্রাস রিফিল করতে না পেরে বাধ্য হয়ে বন্ধ রাখতে হচ্ছে সড়কে চলাচলকারী বেশিরভাগ সিএনজি অটোরিকসা। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছে তারা।
সিএনজি অটোরিকসা চালকেরা জানায়, লক্ষ্মীপুর-রায়পুর মহাসড়ক, লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়ক, মজুচৌধুরীরহাট সড়ক, লক্ষ্মীপুর-রামগঞ্জ সড়ক, জকসিন-পোদ্দার সড়কসড় জেলা এবং উপজেলার বিভিন্ন স্থানের সড়কগুলোতে চলাচলকারী হাজার হাজার সিএনজি অটোরিকসা লক্ষ্মীপুর পৌর সভার ১১ নং ওয়ার্ডে থাকা গ্রীনলিফ সিএনজি ফিলিং স্ট্রেশন থেকে গ্যাস রিফিল করতো। কিন্তু এ স্টেশনটি বন্ধ থাকায় গ্যাস নিতে পারছে না তারা। গ্যাস পাম্পটি চালু করার জন্য শতাধিত সিএনজি অটোরিক্সা চালক গত ১৮ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন জানায়।
কয়েকজন চালক বলেন, আমরা সিএনজি চালিত গাড়ি চালিয়ে সংসার চালাই। পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ডের এ গ্যাস পাম্প থেকে আমাদের গাড়িতে সহজে গ্যাস রিফিল করাতাম। কিন্তু কাছের এ পাম্পটি বন্ধ থাকায় আমরা দুর্ভোগে পড়েছি। গ্যাস রিফিল করতে পারছি না। জেলার শেষ প্রান্তে চন্দ্রগঞ্জে যে ফিলিং স্টেশনটি আছে- সেটি জেলা শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরত্বে। সেখান থেকে গ্যাস রিফিল করে আসতেই অর্ধেক ফুরিয়ে যায়। তাই দ্রুত মামলা সংক্রান্ত জটিলতা কাটিয়ে গ্রীনলিফ সিএনজি গ্যাস পাম্পটি চালু করা হোক।
জানা গেছে, গত ১০ ডিসেম্বর রাতে লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কে চলাচলকারী ‘আল মদিনা পরিবহন’ নামের একটি যাত্রীবাহী বাসের সিলিন্ডারে গ্যাস রিফিলের সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে আবুল কালাম নামে এক ব্যক্তি ও পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বাসের চালক মো. রুবেল মারা যায়। আরও দুই জন গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনার দুই মাস আগেও একই ফিলিং স্টেশনে গ্যাস রিফিলের সময় ‘মায়েশা পরিবহন’ নামক আরেকটি যাত্রীবাহী বাসের সিলিন্ডার বিষ্ফোরণ ঘটে। এতে চারজনের মৃত্যু হয়। আহত হয় আরও ৯ জন। দুর্ঘনায় আনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেন। এ দুটি ঘটনার পর জেলা প্রশাসন পাম্পটি সিনগালা করে দেয়। এছাড়া ১৭ ডিসেম্বর গ্যাস পাম্পের মালিক হাজী সোহেলসহ ওই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আরও তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন খোকন। এতে একটি বাসের ক্ষতিপূরণ বাবদ ৮০ লাখ টাকা এবং নিহত-আহতদের ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়। আদালত মামলাটি সদর থানাকে এফআইআর করার নির্দেশনা দেন।
সিএনজি ফিলিং স্টেশন কর্মরত শ্রমিকেরা বলেন ,দীর্ঘ প্রায় ১মাস বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন পাম্পে কর্মরত শ্রমিকরা মাস পেরিয়ে গেলেও বেতন না পেয়ে কষ্টে দিনাতিপাত করছেন তারা।
সিএজি মালিক সমিতি সভাপতি আলোমগীর হোসেন বলেন সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সকলের দূর্ভগের কথা চিন্তা করে গ্যাস ফিলিং স্টেশনটি চালু করার ব্যাবস্থা করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েরছন
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার বলেন,ইএই মুহুর্তে এটি খুলে দেয়া ঠিক হবে কিনা তদন্ত কমিটির মতামত পেলি তদন্ত দ্রুত শেষ করে গ্যাস ফিলিং স্টেশনটি চালু করার ব্যাবস্থা করে দিব।