এ ঘটনায় ব্যবসায়ী রেশু মিয়া মৃদ্যা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগ করেন।
সোমবার (১০জুন) রাত ৮ ঘটিকায় লক্ষ্মীপুরের চররমনী মোহন ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য যুবলীগ নেতা কামরুল সরকারের বাড়ীর দরজায় রাস্তার ওপর এ ঘটনা ঘটে।
ব্যবসায়ী রেশু মিয়া মৃদ্ধা চররমনী মোহন ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সেকান্তর মৃদ্যার ছেলে। এ ঘটনায় তিনি ৮জনকে বিবাদী করে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন রাত ৮টার দিকে রেশুমিয়া লক্ষীপুরে মোকাম থেকে সয়াবিন বিক্রিত ২লক্ষ টাকা লুঙ্গীর কোছায় নিয়ে মটর সাইকেল যোগে চররমনীতে তার বাড়ীর দিকে রওনা হয়। সরকার বাড়ীর সামনে এসে পৌঁছলে পূর্ব থেকে ঔঁৎপেতে থাকা বিবাদীদের মধ্যে বাবলু মীর সহ তিনজন একটি মটর সাইকেল চালিয়ে রেশু মিয়াকে বহকারী মটর সাইকেলের গতিপথ রোধ করে অন্যান্য বিবাদের খবর দিয়ে এনে সকল বিবাদীরা একত্রিত হয়ে প্রাণে হত্যার ভয় দেখিয়ে রেশুর কাছে থাকা দুই লক্ষ টাকা, মানিব্যাগে থাকা পাঁচ হাজার ছয়শত টাকা ও তার ইসলামী ব্যাংকের এটিএম কার্ডসহ মানিব্যাগটি নিয়ে যায়। এ সময় রেশুকে বহনকারী মটরসাইকেল চালক ছিল মোঃ নাঈম হোসেন। তিনিও এভাবে ঘটনার বর্ননা দেন।
বিবাদীরা হলেন, ইউপি সদস্য কামরুল সরকার, তার ভাই সুমন সরকার, আজিজ মীরের ছেলে বাবলুমীর, কাশেম মীরের ছেলে আনিছ মীর, বিল্লাল কবিরাজের ছেলে সোলেমান, আবদুলগণি প্রধানের ছেলে উজ্জল প্রধান, ওসমান প্রধানের ছেলে খোরশেদ প্রধান, মুকবুল হোসেনের ছেলে মোঃ হেলাল।
লক্ষ্মীপুর গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক মোঃ কবির হোসেন জানান, বাদীর অভিযোগ পেয়ে দুপক্ষকে ডিবি কার্যায়ে হাজির করা হয়েছে। বিষয়টি মিমাংসা করতে ইউপি সদস্য কামরুল সরকারকে আগামীকাল বিকাল পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য সুমন সরকার ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি তবে এ ব্যপারে কামরুল সরকার জানান তিনি ও তার ভাই গরু বাজার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন তারা এ ঘটনার সাথে জড়িত নয় এটি মিথ্যা ঘটনা বলে তিনি দাবী করেন।