Dhaka , শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কমলনগরে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন দুই দফা না মানলে লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি লক্ষ্মীপুর আদালতের কর্মচারীদের কমলনগরে খাল দখল করে দোকানঘর নির্মাণের প্রতিবাদে  মানববন্ধন  ন্যায্যমূল্য না পেয়ে হতাশায় কৃষক; কোটি কোটি টাকা লোকসান লক্ষ্মীপুরে ইউনিয়ন বিভক্তির দাবিতে ফুুঁসে উঠেছে জনগণ লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মে দিবসের বর্ণাঢ্য র‌্যালিও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কমলনগরে অপহরণকৃত স্কুলছাত্রীর লাইভ নিয়ে নানা প্রশ্ন  কমলনগরে অবৈধ ইটভাটা স্থাপনের দায়ে ৯ লাখ টাকা জরিমানা আদায় কমলনগরের এলজিইডিতে দুদকের অভিযান বিএনপি নেতার উপর সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলা ; প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশ

ছেলের চাকরি স্থায়ীকরন চেয়ে প্রেসক্লাবের সামনে পঙ্গু বাবার আকুতি

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪
  • ১২৬ Time View

নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে হাবিবুর রহমান নামে এক যুবকের চাকরি স্থায়ীকরন চেয়ে তার পঙ্গু বাবা মো. আরশাদ হোসেন আকুতি জানিয়েছেন। এ দাবিতে রোববার (১৭ মার্চ) সকাল ১০ টা থেকে প্রায় ২ ঘন্টা তিনি লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন। হাবিবুর রহমান লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে রয়েছেন। পঙ্গু বাবা আরশাদ রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের হোটাটিয়া গ্রাামের হাজি বাড়ির বাসিন্দা। আরশাদ হোসেন জানান, তার সংসারে তিন ছেলে মেয়ে। হাবিবুর রহমান তার বড় ছেলে। ভিক্ষাবৃত্তি করেই তার সংসার চালাচ্ছেন। করোনাকালীন হাবিবুর রহমানের চুক্তিভিত্তিক চাকরিটি হয়। সংসারে অনেক খরচ। যে কয় টাকা বেতন পায়, তা দিয়ে সংসার চালানো কষ্টসাধ্য। ছেলের চাকরিটি স্থায়ীকরন হলে তাকে আর ভিক্ষাবৃত্তি করতে হবে না। আরশাদ বলেন, আমি এলাকায় ভিক্ষা করি না। এলাকার মানুষের কাছে ভিক্ষা চাইতে লজ্জা লাগে। এজন্য নোয়াখালীর চাটখিল এলাকায় গিয়ে ভিক্ষা করি। প্রধানমন্ত্রী দয়ায় আমি প্রতিবন্ধী ভাতা পায়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুতি জানাচ্ছি, তিনি যেন আমার ছেলের চাকরিটি স্থায়ী করে দেন। ছেলের চাকরি স্থায়ীকরন হলে আমার সংসারে দুঃখ লাঘব হবে। ছেলে হাবিবুর রহমান বলেন, ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর আমি ক্লিনার পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পায়। আগামী জুনে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। চাকরিটি চলে গেলে আমি অসহায় হয়ে পড়বো। সংশ্লিষ্টদের কাছে আকুতি জানাচ্ছি, যেন আমার চাকরিটি স্থায়ীকরন করে দেন। সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে হাবিবুর রহমানকে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তিনি চাকরি করছেন। তার চাকরি স্থায়ীকরন করা হবে কি না তা মন্ত্রণালয় জানেন। লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. আহাম্মদ কবীর বলেন, টেন্ডারের মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠানকে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের দায়িত্ব দেওয়া হয়। চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট মেয়াদে চাকরি করতে পারবে। এছাড়া এ চাকরি স্থায়ীকরনের সুযোগ নেই, সম্ভবও না।

Tag :
About Author Information

Sagor Ahmed

কমলনগরে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

ছেলের চাকরি স্থায়ীকরন চেয়ে প্রেসক্লাবের সামনে পঙ্গু বাবার আকুতি

Update Time : ১০:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে হাবিবুর রহমান নামে এক যুবকের চাকরি স্থায়ীকরন চেয়ে তার পঙ্গু বাবা মো. আরশাদ হোসেন আকুতি জানিয়েছেন। এ দাবিতে রোববার (১৭ মার্চ) সকাল ১০ টা থেকে প্রায় ২ ঘন্টা তিনি লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন। হাবিবুর রহমান লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে রয়েছেন। পঙ্গু বাবা আরশাদ রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের হোটাটিয়া গ্রাামের হাজি বাড়ির বাসিন্দা। আরশাদ হোসেন জানান, তার সংসারে তিন ছেলে মেয়ে। হাবিবুর রহমান তার বড় ছেলে। ভিক্ষাবৃত্তি করেই তার সংসার চালাচ্ছেন। করোনাকালীন হাবিবুর রহমানের চুক্তিভিত্তিক চাকরিটি হয়। সংসারে অনেক খরচ। যে কয় টাকা বেতন পায়, তা দিয়ে সংসার চালানো কষ্টসাধ্য। ছেলের চাকরিটি স্থায়ীকরন হলে তাকে আর ভিক্ষাবৃত্তি করতে হবে না। আরশাদ বলেন, আমি এলাকায় ভিক্ষা করি না। এলাকার মানুষের কাছে ভিক্ষা চাইতে লজ্জা লাগে। এজন্য নোয়াখালীর চাটখিল এলাকায় গিয়ে ভিক্ষা করি। প্রধানমন্ত্রী দয়ায় আমি প্রতিবন্ধী ভাতা পায়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুতি জানাচ্ছি, তিনি যেন আমার ছেলের চাকরিটি স্থায়ী করে দেন। ছেলের চাকরি স্থায়ীকরন হলে আমার সংসারে দুঃখ লাঘব হবে। ছেলে হাবিবুর রহমান বলেন, ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর আমি ক্লিনার পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পায়। আগামী জুনে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। চাকরিটি চলে গেলে আমি অসহায় হয়ে পড়বো। সংশ্লিষ্টদের কাছে আকুতি জানাচ্ছি, যেন আমার চাকরিটি স্থায়ীকরন করে দেন। সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে হাবিবুর রহমানকে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তিনি চাকরি করছেন। তার চাকরি স্থায়ীকরন করা হবে কি না তা মন্ত্রণালয় জানেন। লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. আহাম্মদ কবীর বলেন, টেন্ডারের মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠানকে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের দায়িত্ব দেওয়া হয়। চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট মেয়াদে চাকরি করতে পারবে। এছাড়া এ চাকরি স্থায়ীকরনের সুযোগ নেই, সম্ভবও না।