Dhaka , সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লক্ষ্মীপুরে বজ্রপাতে শিশু শ্রমিকের মৃত্যু

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুন ২০২৩
  • ১৮৯ Time View

নিজস্ব প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে বজ্রপাতে নাঈম (১২) নামে এক শিশু শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় মো. রাসেল (১৫) নামে এক শিশু আহত হয়। সোমবার (১২ জুন) বিকেল তিনটার দিকে লক্ষ্মীপুর শহরের দক্ষিণ তেমুহনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুর মৃতদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। নাঈম সিরাজগঞ্জ জেলার আব্দুল আলিমের ছেলে। বর্তমানে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আবিরনগর গ্রামের নানা মো. সিরাজের বাড়িতে বসবাস করতো সে। জানা যায়, পৌর শহরের দক্ষিণ তেমুহনীতে মো. রিয়াজের কাঠের ফার্নিসার দোকানে কাজ করার সময় বজ্রপাতের শিকার হয় নাঈম। ফার্নিসার দোকানের মালিক মো. রিয়াজ বাংলানিউজকে বলেন, নাঈম ও রাসেল তার ফার্নিসার দোকানে কাজ করে। সোমবার দুপুরে ভারি বৃষ্টিপাত হয়, সেই সঙ্গে বজ্রপাতও হয়। এ সময় সময় তিনিসহ রাসেল ও নাঈম তার দোকানে ছিল। হঠাৎ একটি বজ্রপাত হলে নাঈম গুরুতর আহত হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বজ্রপাতে অন্য কর্মচারী রাসেল কিছুটা আহত হয়। নাঈমের নানা মো. সিরাজ জানান, নাঈমের বাবা আবদুল আলিমের বাড়ি সিরাজগঞ্জে। কিন্তু তার বাবার সঙ্গে মা নাছিমার ছাড়াছাড়ি হয়। পরে নাছিমার সঙ্গে জাহাঙ্গীর নামে একজনের বিয়ে হয়েছে। নাঈম তাদের দুই জনের সঙ্েেগ আমার বাড়িতেই থাকতো। সে মাদরাসায় ৫ম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে পাশাপাশি ৩-৪ মাস ধরে ফার্নিসার দোকানে কাজ শিখতে যায়। সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) আনোয়ার হোসেন বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই নাঈমের মৃত্যু হয়েছে। শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) জহিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

Tag :
About Author Information

Sagor Ahmed

আলোচিত

লক্ষ্মীপুরে বজ্রপাতে শিশু শ্রমিকের মৃত্যু

Update Time : ০৬:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে বজ্রপাতে নাঈম (১২) নামে এক শিশু শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় মো. রাসেল (১৫) নামে এক শিশু আহত হয়। সোমবার (১২ জুন) বিকেল তিনটার দিকে লক্ষ্মীপুর শহরের দক্ষিণ তেমুহনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুর মৃতদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। নাঈম সিরাজগঞ্জ জেলার আব্দুল আলিমের ছেলে। বর্তমানে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আবিরনগর গ্রামের নানা মো. সিরাজের বাড়িতে বসবাস করতো সে। জানা যায়, পৌর শহরের দক্ষিণ তেমুহনীতে মো. রিয়াজের কাঠের ফার্নিসার দোকানে কাজ করার সময় বজ্রপাতের শিকার হয় নাঈম। ফার্নিসার দোকানের মালিক মো. রিয়াজ বাংলানিউজকে বলেন, নাঈম ও রাসেল তার ফার্নিসার দোকানে কাজ করে। সোমবার দুপুরে ভারি বৃষ্টিপাত হয়, সেই সঙ্গে বজ্রপাতও হয়। এ সময় সময় তিনিসহ রাসেল ও নাঈম তার দোকানে ছিল। হঠাৎ একটি বজ্রপাত হলে নাঈম গুরুতর আহত হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বজ্রপাতে অন্য কর্মচারী রাসেল কিছুটা আহত হয়। নাঈমের নানা মো. সিরাজ জানান, নাঈমের বাবা আবদুল আলিমের বাড়ি সিরাজগঞ্জে। কিন্তু তার বাবার সঙ্গে মা নাছিমার ছাড়াছাড়ি হয়। পরে নাছিমার সঙ্গে জাহাঙ্গীর নামে একজনের বিয়ে হয়েছে। নাঈম তাদের দুই জনের সঙ্েেগ আমার বাড়িতেই থাকতো। সে মাদরাসায় ৫ম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে পাশাপাশি ৩-৪ মাস ধরে ফার্নিসার দোকানে কাজ শিখতে যায়। সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) আনোয়ার হোসেন বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই নাঈমের মৃত্যু হয়েছে। শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) জহিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।