Dhaka , শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কমলনগরে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন দুই দফা না মানলে লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি লক্ষ্মীপুর আদালতের কর্মচারীদের কমলনগরে খাল দখল করে দোকানঘর নির্মাণের প্রতিবাদে  মানববন্ধন  ন্যায্যমূল্য না পেয়ে হতাশায় কৃষক; কোটি কোটি টাকা লোকসান লক্ষ্মীপুরে ইউনিয়ন বিভক্তির দাবিতে ফুুঁসে উঠেছে জনগণ লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মে দিবসের বর্ণাঢ্য র‌্যালিও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কমলনগরে অপহরণকৃত স্কুলছাত্রীর লাইভ নিয়ে নানা প্রশ্ন  কমলনগরে অবৈধ ইটভাটা স্থাপনের দায়ে ৯ লাখ টাকা জরিমানা আদায় কমলনগরের এলজিইডিতে দুদকের অভিযান বিএনপি নেতার উপর সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলা ; প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশ

ঝগড়ার পর ঘুমন্ত স্বামীকে হত্যা করেন স্ত্রী

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ মে ২০২৩
  • ১৩৭ Time View

নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে ঝগড়ার পর ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা স্বামী মহরম আলী মোহনকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত স্ত্রী দিলু বেগমকে (৩৮) ধরতে সক্ষম হয়েছেন র‌্যাব-১১ নোয়াখালী ক্যাম্পের সদস্যরা।

হত্যা মামলার রায়ের দেড় মাস পর শুক্রবার (২৬ মে) সন্ধ্যায় ফেনীর বিজয়সিংহ সার্কিট হাউস এলাকার একটি তিনতলা বাড়ির নিচতলা থেকে তাকে ধরা হয়। পরে এদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে র‌্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, স্বামীকে হত্যার ঘটনায় আসামি দিলুকে আদালত যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন। রায়ের সময় তিনি পলাতক ছিলেন। আমরা অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করেছি। তাকে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় হস্থান্তর করা হয়েছে।

দন্ডপ্রাপ্ত দিলু ফেনী জেলার দক্ষিণ চাডিপুর গ্রামের মৃত আবদুল খালেকের মেয়ে। তার স্বামী ভিকটিম মোহনের বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের কালিদাসের বাগ গ্রামে।

রায়ের পর জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. জসিম উদ্দিন জানান, দিলু বেগম পারিবারিক কলহের জেরে তার স্বামী মোহনকে হত্যা করেন। আদালত দিলু বেগমকে দোষী সাব্যস্ত করে ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ৩০ মার্চ রাতে নিজ বসতঘরে খুন হন মহরম আলী। ঘটনার রাতে তিনি তার স্ত্রী দিলু বেগম ও ৫ বছরের মেয়ে তিশাকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই রাতে মোহনের মা জাহানারা বেগম (৬০) বাড়িতে ছিলেন না। রাত ১টার দিকে তিনি ফোনে ছেলের মৃত্যুর খবর পান। মরদেহের গলায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন ছিল। পরদিন ৩১ মার্চ মা জাহানারা বেগম বাদী হয়ে ছেলেকে হত্যার অভিযোগে দিলু বেগমকে অভিযুক্ত করে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তিনি জামিনে বেরিয়ে পলাতক থাকেন।
হত্যা মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ হত্যার দায়ে দিলু বেগমকে অভিযুক্ত করে ২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়। এতে উল্লেখ করা হয়, ভিকটিম মোহন কাজের সুবাদে ফেনীত থাকতেন। তিনি নেশা করতেন। এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তার প্রায়ই ঝগড়া হতো। ঘটনার রাতে তিনি ফেনী থেকে বাড়িতে আসেন এবং ওই রাতেই তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দিলু বেগম তার স্বামী মোহনের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।

Tag :
About Author Information

Sagor Ahmed

কমলনগরে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

ঝগড়ার পর ঘুমন্ত স্বামীকে হত্যা করেন স্ত্রী

Update Time : ০৭:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে ঝগড়ার পর ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা স্বামী মহরম আলী মোহনকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত স্ত্রী দিলু বেগমকে (৩৮) ধরতে সক্ষম হয়েছেন র‌্যাব-১১ নোয়াখালী ক্যাম্পের সদস্যরা।

হত্যা মামলার রায়ের দেড় মাস পর শুক্রবার (২৬ মে) সন্ধ্যায় ফেনীর বিজয়সিংহ সার্কিট হাউস এলাকার একটি তিনতলা বাড়ির নিচতলা থেকে তাকে ধরা হয়। পরে এদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে র‌্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, স্বামীকে হত্যার ঘটনায় আসামি দিলুকে আদালত যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন। রায়ের সময় তিনি পলাতক ছিলেন। আমরা অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করেছি। তাকে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় হস্থান্তর করা হয়েছে।

দন্ডপ্রাপ্ত দিলু ফেনী জেলার দক্ষিণ চাডিপুর গ্রামের মৃত আবদুল খালেকের মেয়ে। তার স্বামী ভিকটিম মোহনের বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের কালিদাসের বাগ গ্রামে।

রায়ের পর জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. জসিম উদ্দিন জানান, দিলু বেগম পারিবারিক কলহের জেরে তার স্বামী মোহনকে হত্যা করেন। আদালত দিলু বেগমকে দোষী সাব্যস্ত করে ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ৩০ মার্চ রাতে নিজ বসতঘরে খুন হন মহরম আলী। ঘটনার রাতে তিনি তার স্ত্রী দিলু বেগম ও ৫ বছরের মেয়ে তিশাকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই রাতে মোহনের মা জাহানারা বেগম (৬০) বাড়িতে ছিলেন না। রাত ১টার দিকে তিনি ফোনে ছেলের মৃত্যুর খবর পান। মরদেহের গলায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন ছিল। পরদিন ৩১ মার্চ মা জাহানারা বেগম বাদী হয়ে ছেলেকে হত্যার অভিযোগে দিলু বেগমকে অভিযুক্ত করে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তিনি জামিনে বেরিয়ে পলাতক থাকেন।
হত্যা মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ হত্যার দায়ে দিলু বেগমকে অভিযুক্ত করে ২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়। এতে উল্লেখ করা হয়, ভিকটিম মোহন কাজের সুবাদে ফেনীত থাকতেন। তিনি নেশা করতেন। এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তার প্রায়ই ঝগড়া হতো। ঘটনার রাতে তিনি ফেনী থেকে বাড়িতে আসেন এবং ওই রাতেই তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দিলু বেগম তার স্বামী মোহনের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।