Dhaka , শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কমলনগরে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন দুই দফা না মানলে লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি লক্ষ্মীপুর আদালতের কর্মচারীদের কমলনগরে খাল দখল করে দোকানঘর নির্মাণের প্রতিবাদে  মানববন্ধন  ন্যায্যমূল্য না পেয়ে হতাশায় কৃষক; কোটি কোটি টাকা লোকসান লক্ষ্মীপুরে ইউনিয়ন বিভক্তির দাবিতে ফুুঁসে উঠেছে জনগণ লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মে দিবসের বর্ণাঢ্য র‌্যালিও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কমলনগরে অপহরণকৃত স্কুলছাত্রীর লাইভ নিয়ে নানা প্রশ্ন  কমলনগরে অবৈধ ইটভাটা স্থাপনের দায়ে ৯ লাখ টাকা জরিমানা আদায় কমলনগরের এলজিইডিতে দুদকের অভিযান বিএনপি নেতার উপর সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলা ; প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশ

লক্ষ্মীপুর ঝুমুর হোটেলে ঘোড়ার মাংস বিক্রির অভিযোগ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩
  • ১২১ Time View

লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের ঝুমুর হোটেলে গারুর মাংস বলে ঘোড়ার মাংস বিক্রির অভিযোগে হোটেল মালিক সবুজ ও চৌধুরী কসাইকে আটক করেছে পুলিশ। কয়েক ঘণ্টা পর মুচলেকা নিয়ে তাদের দু’জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বুধবার (১৭ মে) রাতে পুলিশ ঝুমুর হোটেল ও চৌধুরী কসাইয়ের গ্রামের বাড়ি চাঁদখালী মসজিদ বাড়ির ঘর থেকে এসব মাংস জব্দ করা হয়।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ঝুমুর হোটেল, মাদাম জিরো পয়েন্টে প্রায় ১-২টা ঘোড়া চোখে পড়তো। সেই ঘোড়াগুলো ছিল চৌধুরী কসাইয়ের। মাদাম থেকে একটু অদূরে সান ঘাটা নামকস্থানে প্রতিদিন সন্ধ্যায় ঘোড়াগুলো জবাই করা হয়। পরে ওইখান থেকে ঘোড়ার মাংস ঝুমুর হোটেলসহ বিভিন্ন হোটেলে বিক্রি করে চৌধুরী কসাই। তথ্য পেয়ে পুলিশ ঘোড়ার মাংস জব্দ করে। আটক করে চৌধুরী কসাই ও ঝুমুর হোটেলের মালিক সবুজকে।

ঝুমুর সিনেমা হল এলাকার বাসিন্দা ও রিকশাচালক মো. শরীফ জানান, আমার রিকশায় করে চৌধুরী কসাই সান ঘাটা থেকে ঝুমুর হোটেলে মাংস দেয়। পরে আমি শুনেছি সেগুলো ঘোড়ার মাংস।

সিএনজি চালক কবির বলেন, আমরা সবসময় ঝুমুর হোটেলে নাস্তা করি। অনেক সময় দুপুর বেলা মাংস দিয়ে খাবার খাই। আজ শুনলাম এই হোটেলে ঘোড়ার মাংস পাওয়া গেছে।

লক্ষ্মীপুর জজকোর্টের আইনজীবীর সহকারী রাসেল হোসেন বলেন, গরুর মাংস নয়, ঘোড়ার মাংস বিক্রি হয় হোটেলে বিষয়টি শুনে খুব খারাপ লাগছে। প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করে এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে এমনটাই প্রত্যাশা করে সকলেই।

ঝুমুর হোটেলের স্বত্বাধিকারী (মালিক) মো. সবুজকে হোটেলে এসে পাওয়া যায়নি। তবে ম্যানেজার মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমরা গরুর মাংস বিক্রি করি। একটি চক্র ও চৌধুরী কসাই ষড়যন্ত্র করে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য চৌধুরী কসাই ও হোটেল মালিক সবুজকে এনেছি। মামলা দেওয়ার জন্য কোনো অভিযোগকারী বা সাক্ষী ছিল না। মাংসগুলো কিসের তা পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি।

Tag :
About Author Information

কমলনগরে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

লক্ষ্মীপুর ঝুমুর হোটেলে ঘোড়ার মাংস বিক্রির অভিযোগ

Update Time : ০১:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩

লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের ঝুমুর হোটেলে গারুর মাংস বলে ঘোড়ার মাংস বিক্রির অভিযোগে হোটেল মালিক সবুজ ও চৌধুরী কসাইকে আটক করেছে পুলিশ। কয়েক ঘণ্টা পর মুচলেকা নিয়ে তাদের দু’জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বুধবার (১৭ মে) রাতে পুলিশ ঝুমুর হোটেল ও চৌধুরী কসাইয়ের গ্রামের বাড়ি চাঁদখালী মসজিদ বাড়ির ঘর থেকে এসব মাংস জব্দ করা হয়।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ঝুমুর হোটেল, মাদাম জিরো পয়েন্টে প্রায় ১-২টা ঘোড়া চোখে পড়তো। সেই ঘোড়াগুলো ছিল চৌধুরী কসাইয়ের। মাদাম থেকে একটু অদূরে সান ঘাটা নামকস্থানে প্রতিদিন সন্ধ্যায় ঘোড়াগুলো জবাই করা হয়। পরে ওইখান থেকে ঘোড়ার মাংস ঝুমুর হোটেলসহ বিভিন্ন হোটেলে বিক্রি করে চৌধুরী কসাই। তথ্য পেয়ে পুলিশ ঘোড়ার মাংস জব্দ করে। আটক করে চৌধুরী কসাই ও ঝুমুর হোটেলের মালিক সবুজকে।

ঝুমুর সিনেমা হল এলাকার বাসিন্দা ও রিকশাচালক মো. শরীফ জানান, আমার রিকশায় করে চৌধুরী কসাই সান ঘাটা থেকে ঝুমুর হোটেলে মাংস দেয়। পরে আমি শুনেছি সেগুলো ঘোড়ার মাংস।

সিএনজি চালক কবির বলেন, আমরা সবসময় ঝুমুর হোটেলে নাস্তা করি। অনেক সময় দুপুর বেলা মাংস দিয়ে খাবার খাই। আজ শুনলাম এই হোটেলে ঘোড়ার মাংস পাওয়া গেছে।

লক্ষ্মীপুর জজকোর্টের আইনজীবীর সহকারী রাসেল হোসেন বলেন, গরুর মাংস নয়, ঘোড়ার মাংস বিক্রি হয় হোটেলে বিষয়টি শুনে খুব খারাপ লাগছে। প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করে এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে এমনটাই প্রত্যাশা করে সকলেই।

ঝুমুর হোটেলের স্বত্বাধিকারী (মালিক) মো. সবুজকে হোটেলে এসে পাওয়া যায়নি। তবে ম্যানেজার মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমরা গরুর মাংস বিক্রি করি। একটি চক্র ও চৌধুরী কসাই ষড়যন্ত্র করে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য চৌধুরী কসাই ও হোটেল মালিক সবুজকে এনেছি। মামলা দেওয়ার জন্য কোনো অভিযোগকারী বা সাক্ষী ছিল না। মাংসগুলো কিসের তা পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি।