কমলনগর প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কমলনগর উপজেলা কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে দূর্ণীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিভিন্ন প্রকল্পের ঠিকাদার ও প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়ম ও দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে এগারোটা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যম্ত এ অভিযান চলে।
দুদকের চাঁদপুর সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আজগর হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।এসময় দুদকের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তবে এলজিইডির অফিস সহকারী উপস্থিত থাকলেও উপজেলা প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন না।
এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এক কোটি টাকা খরচে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অর্থায়নে উপজেলার ইমান আলী মার্কেট হতে বাদামতলী পর্যন্ত নির্মাণাধীন গ্রামীণ একটি সড়কের অনিয়ম নিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদটি দুদকের নজরে আসে। পরে ওই সড়কটি সহ বিভিন্ন অনিয়ম খতিয়ে দেখতে সরেজমিন অনুসন্ধানে আসে দুদক।
এসময় কাজের ধরণ,বরাদ্দ ও গুণগত মান যাচাইে তথ্য সংগ্রহ শেষে কোনো মন্তব্য না করেই অভিযান শেষ করে চলে যান তারা।
উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, কমলনগর উপজেলা এলজিইডি অফিস চলে অফিস সহকারী হারুনের ইশারায়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে গড়ে তুলেছেন বেপরোয়া লুটপাট সিন্ডিকেট। এমনকি চাকরি বিধি তোয়াক্কা না করে বছরের পর বছর চাকরি করছেন নিজ উপজেলায়। এলজিইডি কার্যালয়ের আওতাধীন সকল কাজের ঠিকাদার তাকে দিতে হয় নির্ধারিত কমিশন। অফিস পাড়ায় গুঞ্জন রয়েছে এ অফিসের সব কিছু চলে অফিস সহকারী হারুনের ইশারায়।
এদিকে কমলনগর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী সোহেল আনোয়ারের বদলী জনিত কারণে তার স্থলাভিষিক্ত আবদুল কাদের মুজাহিদ গতকাল সোমবার যোগদান করলেও আজ তিনি অফিস না করায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে একাধিকবার তার মুঠোফোনে কল করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
দুদক সূত্র জানায়, এলজিইডির কার্যালয়ের আওতাধীন গ্রাম-গঞ্জের রাস্তা, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণকাজে নিম্নমানের পণ্য ব্যবহার, কাজের গুণগত মান বজায় না রাখা, কাজ না করে কিংবা নামমাত্র কাজ দেখিয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এ অভিযানে আসেন তারা