জাপান থেকে আমদানি করা ৯২৬টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি নিয়ে মোংলা বন্দরে ভিড়েছে এমভি মালয়েশিয়া স্টার।
শনিবার (২০ মে) বেলা ২টায় বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে জাহাজটি নোঙর করার পর শুরু হয় গাড়ি খালাসের কার্যক্রম।
গাড়ি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা জানান, জাপান থেকে আমদানি করা ১ হাজার ৩৭৬টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ির মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে ৪৫০টি গাড়ি খালাস করা হয়েছে। বাকি ৯২৬টি গাড়ি নিয়ে এমভি মালয়েশিয়া স্টার জাহাজটি মোংলা বন্দরে এসেছে। আমদানি করা এই গাড়িগুলো এ বন্দরে খালাস করা হবে।
গাড়ি আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস্ ইম্পোটার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বারভিটা) নেতৃবৃন্দ জানান, মোংলা বন্দরের সক্ষমতা আগের তুলনায় বেড়েছে বিশেষ করে গাড়ি আমদানির জন্য এ বন্দরে অনেক সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করা হয়েছে। বছরে প্রায় ৬০ শতাংশ বা তারও বেশি গাড়ি আমরা এ বন্দর দিয়ে খালাস করি।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০০৯ সালে ৮ হাজার ৯০০টি গাড়ি আমদানির মাধ্যমে এ বন্দরে গাড়ি আমদানির কার্যক্রম শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে আমদানির পরিমান বাড়তে থাকে। বিগত সময়ের সব রেকর্ড ভেঙে ২০২১-২২ অর্থবছরে মোংলা বন্দরে ২১ হাজার ৪৮৪টি গাড়ি আমদানি করা হয়েছে।
সংস্থাটি আরো জানায়, মোংলা বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানি প্রতি বছরই ১৩ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মোট আমদানি করা গাড়ির ৬০ শতাংশই এ বন্দর দিয়ে খালাস করা হয়। ৪০ শতাংশ খালাস হয় চট্টগ্রাম বন্দরে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় মোংলা বন্দর থেকে একটি গাড়ি খালাসের পর কম সময়ে ও কম খরচে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের যেকোন স্থানে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে।
জানতে চাইলে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী বলেন, গাড়ি আমদানিকারকদের জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি। এছাড়াও স্বল্পতম সময়ে গাড়ি খালাসের সুবিধা পাচ্ছে আমদানিকারকরা।
তিনি আরো বলেন, গাড়ি রাখার জন্য বন্দরে উন্নত মানের শেড ও ইয়ার্ড রয়েছে এবং আমদানি করা গাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সার্বক্ষণিক টহল ও সিসি ক্যামেরায় নজরদারি বৃদ্ধির কারনে মোংলা বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানি বেড়েছে।