Dhaka , শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
অর্থ ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগে আনন্দ টিভি থেকে বরখাস্ত হলেন ‘প্রশান্ত’ গণঅভ্যুত্থান যখন হয় এটা আইন মেনে চলে না এটা আইন ভাঙার জন্য হয়:ফরহাদ মজহার লক্ষ্মীপুরে গুলীবিদ্ধ আমিনার শয্যাপাশে জামায়াত নেতা :ড.রেজাউল লক্ষ্মীপুরে বিএনপি দুই গ্রুপে সংঘর্ষে নিহত ১ শহিদদের রক্তের বদলা নিতে ‘যে অঙ্গীকার’ করলেন শিবির সভাপতি আ.লীগ নিষিদ্ধে সরকার একা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না : মাহফুজ আলম বাংলাদেশেকে নিয়ে একটা গভীর চক্রান্ত চলছে: এ্যানি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্রই আর টিকবে না : ফয়েজ আহম্মদ লক্ষ্মীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শিশু গুলিবিদ্ধ চুরির অপবাদে শ্রমিকদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ৪

লক্ষ্মীপুরে আ. লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করছে দুর্বত্তরা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৭০ Time View

  নিজস্ব প্রতিনিধি:  ক্ষ্মীপুরে আ. লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ হাসপাতালে নুর আলমের নিথর দেহ।

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে নুর আলম (৬০) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার জন্য খোকন নামে স্থানীয় এক বিএনপি কর্মীকে দায়ী করেছেন নিহতের পরিবার।
নুর আলমের মরদেহ জেলা সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে।

তিনি পাঁচপাড়া ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বলে জানিয়েছে নিহতের পরিবারের লোকজন। বাড়ির পাশের একটি দোকানে পোশাক সেলাইয়ের কাজ করতেন তিনি।দু ই মেয়ে ও এক ছেলের জনক নুর আলম।

নিহতের ছেলে আরিফ হোসেন  বলেন, সন্ধ্যার পর আমার বাবা ঘরে ছিলেন।

তার ফোনে একটি কল আসে, লোকজন তাকে মারতে আসছেন। তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়া মাত্রই আমাদের ঘরের পেছনে হামলাকারীরা তাকে আক্রমণ করেন। তাকে লাঠিসোঁটা দিয়ে মারধর করা হয়। তিনি পুকুরের পানিতে পড়ে যান। সেখান থেকে তুলে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। আমার বাবা তাদের বলেছিলেন ‌‌‘আমাকে মেরো না, তুলে নিয়ে যাও’। তারপরও তারা আমার বাবাকে মেরে ফেললেন।
তিনি বলেন, ঘটনার সময় আমি ঘর থেকে বেরিয়ে আমার বাবাকে মারতে দেখি। আমাকে হামলাকারী দুইজন ধরে রেখেছিল। আমি তাদের হাত থেকে ছুটে পুকুরের অন্য পাড়ে গিয়ে আশ্রয় নিই। আমার মা মমতাজ বেগম হামলাকারীদের পায়ে ধরে ছিলেন। যাতে আমার বাবাকে না মারার জন্য। কিন্তু কেউ কোনো কথা শোনেননি। বাবাকে হত্যা করেছে। আমার মাকেও মারধর করা হয়েছে।

আরিফ জানান, হামলার পর প্রথমে তার বাবাকে চন্দ্রগঞ্জের একটি হাসপাতালে, পরে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি দাবি করেন, আমাদের ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা খোকন নামের একজনকে আমি চিনেছি, যিনি হামলার নেতৃত্বে ছিলেন। তার সাথে আরও ১০/১২ জন ছিল। খোকন বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। কিন্তু বাবা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলেও কারো ক্ষতি করেননি।

সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়নাল আবেদিন বলেন, আমরা ভিকটিমকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ পাইনি। মরদেহের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক  বলেন, একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ সদর হাসপাতালে আছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

Tag :
About Author Information

Sagor Ahmed

আলোচিত

অর্থ ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগে আনন্দ টিভি থেকে বরখাস্ত হলেন ‘প্রশান্ত’

লক্ষ্মীপুরে আ. লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করছে দুর্বত্তরা

Update Time : ০৬:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

  নিজস্ব প্রতিনিধি:  ক্ষ্মীপুরে আ. লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ হাসপাতালে নুর আলমের নিথর দেহ।

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে নুর আলম (৬০) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার জন্য খোকন নামে স্থানীয় এক বিএনপি কর্মীকে দায়ী করেছেন নিহতের পরিবার।
নুর আলমের মরদেহ জেলা সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে।

তিনি পাঁচপাড়া ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বলে জানিয়েছে নিহতের পরিবারের লোকজন। বাড়ির পাশের একটি দোকানে পোশাক সেলাইয়ের কাজ করতেন তিনি।দু ই মেয়ে ও এক ছেলের জনক নুর আলম।

নিহতের ছেলে আরিফ হোসেন  বলেন, সন্ধ্যার পর আমার বাবা ঘরে ছিলেন।

তার ফোনে একটি কল আসে, লোকজন তাকে মারতে আসছেন। তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়া মাত্রই আমাদের ঘরের পেছনে হামলাকারীরা তাকে আক্রমণ করেন। তাকে লাঠিসোঁটা দিয়ে মারধর করা হয়। তিনি পুকুরের পানিতে পড়ে যান। সেখান থেকে তুলে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। আমার বাবা তাদের বলেছিলেন ‌‌‘আমাকে মেরো না, তুলে নিয়ে যাও’। তারপরও তারা আমার বাবাকে মেরে ফেললেন।
তিনি বলেন, ঘটনার সময় আমি ঘর থেকে বেরিয়ে আমার বাবাকে মারতে দেখি। আমাকে হামলাকারী দুইজন ধরে রেখেছিল। আমি তাদের হাত থেকে ছুটে পুকুরের অন্য পাড়ে গিয়ে আশ্রয় নিই। আমার মা মমতাজ বেগম হামলাকারীদের পায়ে ধরে ছিলেন। যাতে আমার বাবাকে না মারার জন্য। কিন্তু কেউ কোনো কথা শোনেননি। বাবাকে হত্যা করেছে। আমার মাকেও মারধর করা হয়েছে।

আরিফ জানান, হামলার পর প্রথমে তার বাবাকে চন্দ্রগঞ্জের একটি হাসপাতালে, পরে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি দাবি করেন, আমাদের ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা খোকন নামের একজনকে আমি চিনেছি, যিনি হামলার নেতৃত্বে ছিলেন। তার সাথে আরও ১০/১২ জন ছিল। খোকন বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। কিন্তু বাবা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলেও কারো ক্ষতি করেননি।

সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়নাল আবেদিন বলেন, আমরা ভিকটিমকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ পাইনি। মরদেহের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক  বলেন, একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ সদর হাসপাতালে আছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।